জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাকিবুল হাসান (রানা) পদত্যাগ করেছেন। আজ শনিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে পদত্যাগের বিষয়টি জানান তিনি।

রাকিবুল হাসান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এর আগে শুক্রবার রাতে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পারভেজ রানা প্রান্তর পদত্যাগের ঘোষণা দেন। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রান্তর লিখেছিলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রদল এবং বিএনপির অঙ্গসংগঠনের ‘নেতা–কর্মীদের নীতিবহির্ভূত কাজের জন্য’ তিনি ‘মানসিক অস্বস্তিবোধ’ করছিলেন।

গত বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা করে একদল ব্যক্তি। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল চারজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।

‘ব্যক্তিগত কারণে’ সংগঠন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে রাকিবুল ফেসবুকে লেখেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে যে পরিবর্তন আশা করেছিলাম, তার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন চোখে পড়েনি। বরং বর্তমান পরিস্থিতিতে চরমভাবে আশাহত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছি।’

ছাত্রদলের এই নেতা লেখেন, ‘ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় আমি ভাইদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। হয়তো আমি আমার জায়গা থেকে ছাত্রদলের অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারিনি।’

রাকিবুল আরও লেখেন, ‘আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করি এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলের মতো স্বর্ণযুগ আবার ফিরে আসুক—এই প্রত্যাশা। দলের প্রতি শুভকামনা রেখে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।’

গত ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো.

রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক ও শামসুল আরেফিনকে সদস্যসচিব করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কমিটির আকার বাড়িয়ে ৪৫৮ সদস্যের করা হয়।

আরও পড়ুনপুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ১৭ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র পদত য গ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ