সোহাগের প্রকৃত হত্যাকারীকে এখনো কেন গ্রেপ্তার করেনি সরকার?
Published: 12th, July 2025 GMT
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মব সৃষ্টিকারীদের গ্রেপ্তার না করায় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তবে কি আমরা ধরে নেব এতে সরকারের প্রশ্রয় আছে?”
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রদল আয়োজিত শহীদ ১৪২ পরিবারের সঙ্গে শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
গত বুধবার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সোহাগ। দুই দিন পর বিভিন্ন মাধ্যমে ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয় সব মহল।
আরো পড়ুন:
প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, গাছে বাঁধলেন গ্রামবাসী
ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা ছাড়া দেশ সংস্কারে তাদের সমর্থন পাওয়া যায়নি: নাহিদ ইসলাম
এ ঘটানয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“অন্যায়ের সমর্থন করে না বিএনপি। সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। গতকাল যে ঘটনাটি ঘটেছে, আমরা খুব আশ্চর্যের সাথে লক্ষ্য করেছি, স্ক্রিনে যাকে হত্যা করতে দেখা গেছে তাকে কেনো সরকার এখনো গ্রেপ্তর করেনি? আমরা কি তাহলে ধরে নেব যে, যারা বিভিন্নভাবে মব সৃষ্টি করে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে, সেখানে সরকার এবং প্রশাসনের প্রশ্রয় আছে?”
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে ষড়যন্ত্র থেমে নেই উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “আমি আজকে থেকে নয় মাস আগে বলেছিলাম যে, অদৃশ্য শত্রু আছে। আপনার নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন, ধীরে ধীরে তারা দৃশ্যমান হচ্ছে। যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এদেশের গণতন্ত্র স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, মানুষের বিভিন্ন অধিকারের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, যারা ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছিল।”
জুলাই সনদ নিয়ে তারেক রহমান বলেন, “তিন মাস আগেই বিএনপি তার সকল মতামত দিয়ে দিয়েছে।”
এখন সরকারই তা দেখবে জানিয়ে তিনি বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সামনে এলেই তা লুকানোর চেষ্টা হচ্ছে, এমনকি নন ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে।”
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন সরক র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।
লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।