মমিন হোসেন (২০) ও রাকিব হোসেন (১৯) দুই বন্ধু। রাকিব পরিচ্ছন্নকর্মী আর মমিন দোকানের কর্মচারী। আম বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন মমিন। রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনির গাছ থেকে আম পাড়েন তারা। পরে সেই আম কলোনির বাজারে বিক্রি করে ৩০ টাকা কম–বেশি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মমিনকে খুন করে রাকিব। সোমবার রাতে তাকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার ডিএমপির মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হুসাইন মুহাম্মাদ ফারাবী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এসি হুসাইন মুহাম্মাদ ফারাবী বলেন, গত ১২ মে সন্ধ্যায় রাকিব, মমিন ও তাদের আরেক বন্ধু আলামিন মিলে এজিবি কলোনির আল হেলাল জোনের আম গাছ থেকে আম পাড়েন। পরে সেই আম এজিবি কলোনি কাঁচা বাজারে ৩৯০ টাকায় বিক্রি করেন তারা। টাকার একভাগ (১৩০ টাকা) নিয়ে আলামিন চলে যায়। বাকি ২৬০ টাকার মধ্যে রাকিব ৮০ টাকা খরচ করে। ওইদিন রাতে মতিঝিল পোস্টাল অফিসার্স কলোনির সামনে ময়লার ডাস্টবিনের পাশে মমিনকে আম বিক্রির ১০০ টাকা দেয়। তিনি ভাগের ৩০ টাকা দাবি করলে রাকিব ও মমিনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা দু’জন বাড়ি চলে যায়।
তিনি বলেন, পরের দিন একই স্থানে তাদের মধ্যে আবার টাকা নিয়ে মারামারির একপর্যায়ে রাকিব আম কাটার ছুরি দিয়ে মমিনের গলার আঘাত করে। মমিন রাস্তার উপরে পড়ে গেলে রাকিব ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক মমিনকে মৃত ঘোষণা করলে রাকিব লাশ ফেলে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ চলে যায়।
এসি বলেন, ওই ঘটনায় নিহত মমিনের বাবা ফিরোজ শেখ মতিঝিল রাকিবের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার এসআই জুলহাস উদ্দিন ৭ দিনের মধ্যে রাকিবকে গ্রেপ্তার করেন। মঙ্গলবার আসামি রাকিবকে আদালতে তোলা হয়। আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মমেকে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রীর মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রী লাভলি আক্তারের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) ভোররাত ৪টার দিকে মারা যান তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পৌর শহরের নামাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওয়াহেদ আলীকে (৭০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, লাভলির সঙ্গে তার স্বামীর প্রায়ই ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে ওয়াহেদ ছুরি দিয়ে স্ত্রীর বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এ সময় লাভলির ডাক-চিৎকারে পাশের রুমে থাকা ছোট ছেলে, ছেলের বউ এগিয়ে আসে। পরে আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
দিনাজপুরে পুকুরে গোসলে নেমে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
খেলার সময় বল পড়ে যায় পানিতে, তুলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ওয়াহেদ আলীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/শোভন/রাজীব