চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্রেইল কোরআন ও স্মার্টফোন বিতরণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এর ব্যবহার নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

বুধবার (২১ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভার্চুয়াল কক্ষে বিতরণ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ডোরস্ ফর ইনক্লুসিভ সোসাইটি (ডিআইএস)’ এ কার্যক্রমের আয়োজন করেন।

ডিআইএসের সভাপতি এসএম ফেরদৌস আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ শামীম উদ্দীন খান। 

আরো পড়ুন:

টানা ২৩ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে জবি

কুবির ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আল্টিমেটাম

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন এবং আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান চৌধুরী। 

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দীন খান বলেন, “প্রতিবন্ধীরা কখনো রাষ্ট্রের বোঝা নয়, যদি তাদের সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করা হয়। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সর্বোচ্চ সুযোগ দেওয়া চেষ্টা করব। সরকারের উচিত, এই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে প্রযুক্তির জ্ঞান দিয়ে দেশের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা।” 

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সুরত আলম বলেন, “জুলাই পরবর্তী বৈষম্যহীন বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এই সরকার কিছুই করতে পারেনি। অথচ এ দেশে মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশ পিছিয়ে পড়া। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস তিনি শতাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি জানেন, উন্নত রাষ্ট্রগুলো কীভাবে তাদের দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করে। তার ধারণা দিয়েই অনেক রাষ্ট্র পরিবর্তন হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কোনোভাবেই তিনি রাষ্ট্র সংস্কার করতে পারবেন না। আশা করি, সরকার আমাদের উপর সদয় দৃষ্টি দিয়ে অন্য ১০ জনের মতো বিবেচনা করবেন।”

ডিআইএসের সভাপতি এসএম ফেরদৌস আলম বলেন, “আমাদের শিক্ষকরা আমাদের যেকোনো উদ্যোগে সহযোগিতা করবেন বলে আশা রাখি। আমরা ডোরস্ ফর ইনক্লুসিভ সোসাইটি সবসময় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করব।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জনগ ষ ঠ আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন পাবিপ্রবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকুরা সায়েন্স প্রোগ্রাম অব জাপান সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এজেন্সিতে (জেএসটি) ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে যাচ্ছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) একজন শিক্ষক ও সাতজন শিক্ষার্থী।

সাতদিনের এ নলেজ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদ। আট সদস্যের এই দলটি আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক এবং ল্যাবগুলোতে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। দেশে এসে তারা সেই অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগাবেন।

আরো পড়ুন:

সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবিতে শোক

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৬৬ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

পাবিপ্রবি থেকে শিক্ষার্থীসহ এমন একটি গবেষক দল প্রথমবারের মতো বিদেশের কোনো বিশ্বদ্যিালয়ে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানসহ সব অনুষদের ডিনগণ উপস্থিত ছিলেন।

পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধায়ন করছেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান। তিনি বলেন, “এই প্রথম আমরা এই গবেষক দলটি পাঠাচ্ছি জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রম থেকে জ্ঞান আহরণের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা গবেষণায় সমৃদ্ধ হতে পারবো। সাতজন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক নিয়ে এটি এক সপ্তাহের প্রোগ্রাম।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়টির তিন সপ্তাহের প্রোগ্রামও আছে; পরবর্তীতে সেটাও আমরা চেষ্টা করবো। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি কার্যকর সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করার প্রত্যাশা করছি। চুক্তি হলে প্রতি বছর পাবিপ্রবি থেকে অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী মাস্টার্স ও পিএইচডিতে গবেষণার সুযোগ পাবেন।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল-আওয়াল বলেন, “আমাদের প্রধানত তৈরি পোশাক ও জনশক্তি রপ্তানি করি। এআই ও মেশিন লার্নিং শেখার মাধ্যমে আমরা কৃষি পণ্য রপ্তানি করতে পারব। স্বাধীনতার পর থেকেই জাপান আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। তাদের প্রযুক্তি বিশ্বের সেরা।”

তিনি বলেন, “তাদের এই নলেজ শেয়ারিং তোমরা ক্যারিয়ার গঠনে কাজে লাগাতে পারবে। তোমাদের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছাবে। আমরা এখানে যোগদানের পর থেকেই গবেষণায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি এবং পাবিপ্রবি গবেষণায় ভালো করছে।”

ঢাকা/শাহীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন পাবিপ্রবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী