অপসারণ নয়, পররাষ্ট্র সচিব নিজেই সরে যেতে চান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 21st, May 2025 GMT
পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনকে অপসারণের কোনো বিষয় নেই, তিনি নিজেই পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চান বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। আজ বুধবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাম্প্রতিক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পররাষ্ট্র সচিব জসীম নিজেই এই অবস্থান থেকে সরে যেতে চান। তার দায়িত্ব পরিবর্তন হবে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই উনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন।’
এদিকে প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষ সহকারী সুফিউর রহমানের দায়িত্বে পরিবর্তন আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনকে সরিয়ে দেওয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, সাময়িক রুটিন কাজ পরিচালনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড.
এদিকে স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি বন্ধ করায় দিল্লিকে ঢাকা চিঠি পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তবে এখনও দেশটির সঙ্গে সই হওয়া কোনো চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
ভারতীয় নাগরিকদের পুশ-ইন সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ হোসেন বলেন, পুশ-ইনের ঘটনায় ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে দেশটি এখনও চিঠির জবাব দেয়নি। পুশ-ইনের মাধ্যমে কোনো ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে এসে থাকলে তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র উপদ ষ ট প শইন পরর ষ ট র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
নুসরাতকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে: এনসিপি
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছে এনসিপি। দলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা দেখেছি, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ চলতি মাসেই কোনো রকম বাধাবিপত্তি ছাড়াই দেশত্যাগ করেছেন। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রিত ৬২৬ জন ব্যক্তির পরিচয় এখনও প্রকাশিত হয়নি। উপরন্তু, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পতিত ফ্যাসিবাদি ও এর সমর্থকরা এখনও জনপরিসরে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এদেশের নাগরিকবিরোধী অপতৎপরতা জারি রেখেছে।
জুলাই গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে বলা হয়, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না এনে এ ধরনের লোকদেখানো ও ঢালাওভাবে আসামি করা মামলায় গ্রেপ্তার ও জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে।
এতে বলা হয়, আমরা মনে করি, বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো ও প্রশাসনের মধ্যে থাকা একটি পক্ষ এই ধরনের অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘জুলাই গণহত্যা’ এবং এর বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। অথচ এখন পর্যন্ত এই গণহত্যার বিচারে আমরা দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।
বিচার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল– ২ গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেও এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়নকল্পে আমরা কোনো প্রজ্ঞাপন দেখতে পাইনি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপি। সেই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আশু ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানাই আমরা। এছাড়াও, হরেদরে মামলা এবং মামলা বাণিজ্যের বিষয়টিকে আমলে নিয়ে মামলা গ্রহণের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানায় এনসিপি।