পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনকে অপসারণের কোনো বিষয় নেই, তিনি নিজেই পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চান বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। আজ বুধবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাম্প্রতিক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পররাষ্ট্র সচিব জসীম নিজেই এই অবস্থান থেকে সরে যেতে চান। তার দায়িত্ব পরিবর্তন হবে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই উনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন।’

এদিকে প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষ সহকারী সুফিউর রহমানের দায়িত্বে পরিবর্তন আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনকে সরিয়ে দেওয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, সাময়িক রুটিন কাজ পরিচালনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড.

মো. নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বাহরাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

এদিকে স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি বন্ধ করায় দিল্লিকে ঢাকা চিঠি পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তবে এখনও দেশটির সঙ্গে সই হওয়া কোনো চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।

ভারতীয় নাগরিকদের পুশ-ইন সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ হোসেন বলেন, পুশ-ইনের ঘটনায় ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে দেশটি এখনও চিঠির জবাব দেয়নি। পুশ-ইনের মাধ্যমে কোনো ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে এসে থাকলে তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র উপদ ষ ট প শইন পরর ষ ট র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত