সালাহর হাতে আরেকটি স্বীকৃতি, আসছে আরও
Published: 24th, May 2025 GMT
কদিন আগেই জিতেছিলেন ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। এবার মোহাম্মদ সালাহ পেলেন প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরার খেতাবও। আজ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য সালাহকে সেরা খেলোয়াড় ঘোষণা করেছে।
প্রিমিয়ার লিগ ক্যারিয়ারে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বর্ষসেরা হলেন সালাহ। এর আগে ২০১৭-১৮ মৌসুমে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বর্ষসেরা হয়ে ম্যানচেস্টার সিটির দাপটও ভেঙেছেন সালাহ। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ মৌসুম বর্ষসেরা ছিলেন সিটির খেলোয়াড়েরা।
প্রিমিয়ার লিগের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ভোটাভুটিতে বর্ষসেরা হয়েছেন সালাহ। সাধারণ ফুটবল ভক্তদের পাশাপাশি একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল সেরা খেলোয়াড়ের ভোট দিয়েছেন। সালাহর সঙ্গে বর্ষসেরা হওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন ভার্জিল ফন ডাইক, রায়ান গ্রাভেনবার্চ, মরগান গিবস-হোয়াইট, আলেক্সান্দার ইসাক, ব্রায়ান এমবুয়েমো, ডেকলান রাইস ও ক্রিস উড।
কে কত ভোট পেয়েছেন জানানো না হলেও অন্যদের তুলনায় বড় ব্যবধানেই এগিয়ে থাকার কথা সালাহর। ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড শেষ হতে চলা মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে গোল করেছেন ২৮টি, করিয়েছেন আরও ১৮টি। ৩৮ ম্যাচের লিগে ৪৬টি গোলে অবদান এর আগে কেউ রাখেননি।
আগামীকাল ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলবে লিভারপুল। এই ম্যাচে সালাহ দুটি গোলে অবদান রাখতে পারলে ভেঙে দেবেন প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল-অবদানের রেকর্ড। প্রিমিয়ার লিগ ৪২ ম্যাচের থাকতে মৌসুমে ৪৭টি করে গোলে ভূমিকা রেখেছিলেন অ্যালান শিয়ারার ও অ্যান্ড্রু কোল।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে গোল্ডেন বুট আর বর্ষসেরা প্লেমেকার জেতার পথেও আছেন সালাহ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল করা নিউক্যাসল স্ট্রাইকার আলেক্সান্দার ইসাকের চেয়ে ৫ গোলে এগিয়ে তিনি। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করা জন মারফির চেয়ে এগিয়ে ৬ ব্যবধানে।
মৌসুমের শেষ ম্যাচে ইসাক ও মারফি ৫ ও ৬ গোলের ব্যবধান কমাতে না পারলে সালাহ হবেন প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড়, যিনি একই মৌসুমে গোল্ডেন বুট, বর্ষসেরা প্লেমেকার এবং বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতবেন।
দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটানো সালাহ এরই মধ্যে এরই মধ্যে একাধিক রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন। ২৪৪ গোল নিয়ে তিনি এখন লিভারপুলের সর্বকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। প্রিমিয়ার লিগের ১১তম সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে মৌসুম শুরু করে এখন তিনি ১৮৫ গোলে পঞ্চম-সর্বোচ্চ গোলের মালিক। সামনে শুধু অ্যালান শিয়ারার (২৬০), হ্যারি কেইন (২১৩), ওয়েইন রুনি (২০৮) ও অ্যান্ড্রু কোল (১৮৭)।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিকও এখন সালাহ। পেছনে ফেলেছেন ১৮৪ গোল করা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সের্হিও আগুয়েরোকে। আর প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে থিয়েরি অঁরি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নিমাঞ্জা ভিদিচ ও কেভিন ডি ব্রুইনার মতো তাঁরও বর্ষসেরা পুরস্কার এখন দুটি। এপ্রিলে লিভারপুলের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি নবায়ন করায় সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগও থাকছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিগত ১৫ বছরে নিয়োগ-পদোন্নতিতে দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ মশিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতির (আপগ্রেডেশন) ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়ে থাকলে, তা তদন্ত কমিটির কাছে লিখিতভাবে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগকারীকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে লিখিত বিবরণ ও প্রমাণসহ সিলগালা খামে অভিযোগ জমা দিতে হবে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বরাবর তথ্য ও অভিযোগপত্র পাঠাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গঠিত কমিটি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পাওয়া অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ পেশ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য, নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিগত ১৫ বছরে শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগে এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম অনুসন্ধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীনকে আহ্বায়ক ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ মশিরুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা কাকলি, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনকে সদস্য করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রইছ উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে আমরা অনেক দুর্নীতি দেখেছি। এসব দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধানে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদের আমলে তিন বছরের ভেতর সহকারী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হওয়া নজির রয়েছে। আমরা সব তথ্য অনুসন্ধান করে পরবর্তী সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেব।’
বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে রক্ষা করা হবে বলেও জানানো হয়।