পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২২ টি স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট। এর আগে, গত ২২ মে সচিব নূর এ কুতুবুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৭টি হাটের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।

শনিবার (২৪ মে) প্রকাশিত সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে হাটের সংখ্যা বাড়িয়ে ২২টি করা হয়েছে। নতুন করে শহরে ২টি, সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে ২টি ও কদমরসুল অঞ্চলে বেড়েছে ১টি হাট।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬ মে থেকে দুই দিন এসব হাটের দরপত্র বিক্রি চলবে। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ মে। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় দরপত্র খোলা হবে এবং চূড়ান্ত ইজারাদার নির্বাচন করা হবে।

সিটি কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, সিটি এলাকার সিদ্ধিরগঞ্জের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সিআই খোলা বালুর মাঠ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডেও সাজু ডেভেলপারের খালি জায়গা (সাবেক বিডিডি এল-এর জায়গা), একই ওয়ার্ডের পূর্ব নিমাইকাশারী জনাব আব্দুল মতিন মাস্টার সাহেবের খালি জায়গা, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মনোয়ারা জুট মিলের উত্তর পাশের নুরুল হুদার খালি জায়গা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা বালুর মাঠ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এসও রোড টার্মিনাল সংলগ্ন সালাউদ্দিনের খালি জায়গা, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নাভানা সংলগ্ন কাশেমপাড়ার খালি জায়গা, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালকুড়ি ওয়াপদা রোডের ডিএনডি খাল সংলগ্ন খালি জায়গা, একই ওয়ার্ডের জালকুড়ি ডাম্পিং স্পট সংলগ্ন খালি জায়গা, জালকুড়ি উত্তর পাড়া রাজ্জাক সাহেবের খালি জায়গা, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের গোদনাইল ইব্রাহিম টেক্সটাইল মিলের খালি মাঠ, ১৮ নং ওয়ার্ডের শহিদ নগর শহিদ রেজা সাহেবের খালি জায়গা, একই ওয়ার্ডের কড়ইতলা আলমাস সাহেবের বাড়ির পূর্বপার্শ্বে কাউসার আহম্মেদের এর খালি জায়গা, কদমরসুল অঞ্চলের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সামিট পাওয়ার প্ল্যান্টের পেছনে খালি জায়গা, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাকান্দা মাঠের পশ্চিম পাশের খালি জায়গা, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া লতিফ হাজীর মোড় সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন খালি জায়গা, একই ওয়ার্ডেও সমরক্ষেত্রের মাঠ ও আলী আহাম্মদ চুনকা সড়ক কাবিলার মোড় সংলগ্ন কাশেম জামালের খালি জায়গা, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাইতাখালি গোলন্দাজের খালি জায়গা, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের চৌরাপাড়া এলাকার খালি জায়গা, একই ওয়ার্ডের উত্তর লক্ষণখোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা এবং ২৭ নং ওয়ার্ডের মুরাদপুর গ্রামের মোতালেব সাহেবের বালুর মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট বসবে।

বিজ্ঞপ্তিতে সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এ হাটের সংখ্যা বাড়তে বা কমতেও পারে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গর র হ ট ক রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ৫ পশুহাটের চারটিই পেলেন যুবদল-কৃষক দল নেতা 

কাঙ্ক্ষিত দর না পেলেও ঈদুল আজহা উপলক্ষে অস্থায়ী পাঁচটি পশুহাট ইজারা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এর মধ্যে চারটিই পেয়েছেন যুবদল, কৃষক দল ও মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশনের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ইজারা দিতে না পারা তিনটি হাট থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাসিল আদায় করা হবে।

হাটগুলো ইজারায় উপযুক্ত দর না পাওয়ায় এবার চসিকের রাজস্ব আয় কমেছে দেড় কোটি টাকার ওপরে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবার পাঁচটি হাট থেকে রাজস্ব আসবে ৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। গত বছর নগরীর সাতটি হাট থেকে আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৬ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এবার ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা রাজস্ব কমেছে। তবে তিনটি হাট থেকে চসিক হাসিল আদায় করায় সেখান থেকে কিছু আয় হবে। 

সিটি করপোরেশনের ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, হাট ইজারার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় প্রাধান্য পায়নি। সর্বোচ্চ দরদাতাকেই ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এবার প্রত্যাশিত রাজস্ব আদায় হয়নি। হাটের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কম থাকায় নতুন করে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে যে দর পাওয়া গেছে, তাতেই ইজারা দেওয়া হয়েছে।

সিটি করপোরেশন থেকে জানা গেছে, নগরের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে সিডিএ বালুর মাঠ হাটের ইজারা পেয়েছেন বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন। তিনি হাটটির দর দেন সর্বোচ্চ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তবে গতবার এই হাট ইজারা হয়েছিল ২ কোটি ২২ লাখ টাকায়। এ ছাড়া ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে টিএসপি মাঠের হাটটি ইজারা পেয়েছেন পতেঙ্গা থানা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মো. সালাউদ্দিন। হাটটির সরকারি দর ১৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা হলেও তিনি দিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। এবারের নতুন অনুমোদন পাওয়া ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাড়া আলমগীর সাহেবের মাঠের হাটটির ইজারা পেয়েছেন কৃষক দল নেতা মো. আলমগীর। হাটটির নির্ধারিত দর ছিল ৫ লাখ টাকা। আলমগীর দিয়েছেন ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর নগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম হালিশহর মুনিরনগর আনন্দবাজারসংলগ্ন হাটের ইজারা পেয়েছেন যুবদল কর্মী খুরশীদ আলম। হাটটির জন্য তিনি দর দেন ২০ লাখ ৫ হাজার টাকা। নির্ধারিত দর ছিল ১৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।

সিডিএ বালুর মাঠ হাটের দর প্রায় কোটি টাকা কম নিয়ে যুবদল নেতা নিজাম উদ্দিন বলেন, হাটটি সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন ও যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল নিয়ন্ত্রণ করতেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে কালো টাকা থাকায় গতবার অস্বাভাবিক দাম দিয়ে তারা ইজারা নিয়েছিলেন। আমাদের হাতে তো এত টাকা নেই। তার পরও নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দিয়ে নিয়েছি। 

এদিকে নগরের সবচেয়ে বড় কর্ণফুলী পশুর হাটের ইজারা পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। গত ১৮ বছর ধরে এই হাট তিনি ও তাঁর ছোট ভাই ইজারা নিচ্ছেন। এবার হাটটির নির্ধারিত দর ছিল ২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কিন্তু তারা দর দেন ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ নিয়ে ইজারাদার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, আগের তুলনায় হাটের জায়গা কমে গেছে। আবার নগরজুড়ে অবৈধ হাট বসে। এতে প্রত্যাশিত আয় হয় না। তাই এবার কম দর দিয়েছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনায় প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র চেয়ে করা রিটের শুনানি ২২ জুন
  • চট্টগ্রামে ৫ পশুহাটের চারটিই পেলেন যুবদল-কৃষক দল নেতা