বন্দরে জাকির খানের নামে কোরবানীর চামড়া লুটের অভিযোগ
Published: 10th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঈদের দিন বিএনপি নেতা সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি জাকির খানের নাম বিক্রি করে ২ শতাধিক পরিবারের ঘর থেকে কোরবানীর চামড়া লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বন্দরের আমিন আবাসিক, লেজারার্স আবাসিক ও রূপালী আবাসিক এলাকায় রাজু নামের সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে জাকির খানের ভয় দেখিয়ে টাকা না দিয়ে ২ শতাধিক পরিবারর কাছ থেকে কোরবানীর চামড়া লুট করে নিয়ে যায়।
তবে এ ব্যপারে জাকির থান বলেন, আমার নাম করে কেউ চাঁদা চাইলে তাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন।
স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসী রাজু দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় জাকির খানের নাম ব্যবহার করে বন্দর খেয়াঘাট এলাকায় অফিস বানিয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে। অবশেষে কোরবানীর চামড়া লুট করে নিয়ে গেছে।
আলীম নামে একজন বলেন, আমি রাজুকে বলেছি চামড়া নিয়ে যাচ্ছেন এটা গরীবের হক। তখন রাজু বলেন, এটা জাকির খানের নির্দেশ। কোন টাকা দেয়া যাবে না। আমরা দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগ দ্বারা নির্যাতিত।
এখন এ চামড়া বিক্রির কলে ছেলে ফেলেদের দিতে হবে টাকা চাইবেন না। এভাবে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরবানীর চামড়াগুলি টাকা না দিয়ে লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ক রব ন ল ট কর
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় মরা গরুর মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ২, জরিমানা
খুলনায় বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা ৪ মণ ৩০ কেজি মরা গরুর মাংসসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার নগরীর গল্লামারী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশ একটি পিকআপ জব্দ করে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. মমিন এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানার বাসিন্দা সোহেল হাওলাদারের ছেলে তামিম হাওলাদার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘পুলিশের একটি টিম গল্লামারী এমএ বারী সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী করছিল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি পিকআপ বারী সড়কে প্রবেশ করলে সন্দেহবশত চালক মো. মমিনকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, গাড়িতে ৪ মণ ৩০ কেজি গরুর মাংস রয়েছে। মাংস সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল আমিন এলাকার বাসিন্দা তামিমের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা থেকে আনা হয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এরপর ঘটনাস্থলে ডেকে নেওয়া হয় তামিমকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মাংসের প্রকৃত মালিকের নাম ও ঠিকানা পুলিশের কাছে জানায় সে। পুলিশ মাংসের প্রকৃত মালিক চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর উপজেলার সাহারেজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে। এ সময়ে তিনি পুলিশকে জনান, বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় গরুটি স্ট্রোক করলে জবাই করা হয় এবং ৬৩ হাজার টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হয়। রাত ৩টার দিকে গরুর মাংস পিকআপে করে খুলনার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়।’’
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, উল্লেখিত আসামিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগাক্রান্ত এবং মৃত গরুর মাংস সংগ্রহ করে খুলনা মহানগরের বিভিন্ন হোটেলে সরবারাহ করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে খাদ্য নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। জব্দ হওয়া মাংস পরীক্ষার জন্য ১ কেজি রাখা হয়েছে। বাকী অংশ আদালতের নির্দেশে ধব্বংস করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অপর দিকে, খুলনার কয়রা উপজেলা সদরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত একজন পঁচা মাংস বিক্রেতাকে আটক করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই সঙ্গে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জব্দকৃত মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
নূরুজ্জামান//