হাতে আছে আর মাত্র এক দিন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রাথমিক দল আগামীকালের মধ্যে ঘোষণা করতে হবে। দল ঘোষণার পর অদলবদল করার জন্য হাতে এক মাস সময় থাকবে। তবে প্রাথমিকভাবে খেলোয়াড় তালিকা জমা দেওয়ার জন্য ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে আইসিসি।

ইংল্যান্ড অনেক আগেই প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে। আজ আর আগামীকালের মধ্যে বাকি দলগুলোও প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করার কথা। কিন্তু এর মধ্যেই আজ ক্রিকেট–বিষয়ক খবরের ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ খবর দিয়েছে, ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রাথমিক দল ঘোষণা করতে দেরি হতে পারে। বিসিসিআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, আইসিসির কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন করতে পারে তারা।

ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি। তাঁকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে রাখতে চায় নির্বাচকেরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষকদের কর্ম: ঝিনাইদহে ৪৬২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হ

ঝিনাইদহে ১১তম গ্রেডে বেতনের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। জেলার ৯০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৬২টিতে বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। পরীক্ষা না দিয়ে বাড়িতে ফিরে যায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

গত ৮ নভেম্বর তিন দফা দাবিতে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সমবেত হয়। সেখানে তাদের প্রধান দাবি ছিল ১১ গ্রেড কিন্তু প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় তারা এই আন্দোলন করছেন।

আরো পড়ুন:

জবিতে ভর্তির আবেদন ৫ ডিসেম্বর ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বৃদ্ধি

জাবিতে আইএইজির ১৫তম এশিয়ান আঞ্চলিক সম্মেলন

কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে স্কুলে যায় কিন্তু শিক্ষকরা পরীক্ষা না নেওয়ায় তারা বাড়িতে ফিরে যায়। শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করছে।  

ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক অফিস সুত্রে জানা গেছে, জেলার মোট ৯০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৪৬টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়েছে। বাকি ৪৬২ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়নি। এরমধ্যে শৈলকুপা উপজেলায় ১৮১টি ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ১৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটিও পরীক্ষা হয়নি। মহেশপুর উপজেলার ১৫২টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৫০টির মধ্যে মাত্র ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়েছে। কোটচাঁদপুরে ৭৪টির মধ্যে ৬৮টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়েছে ও ঝিনাইদহ সদরে ২১৬টির মধ্যে ৭টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেয়নি শিক্ষকরা।   

অভিভাবকরা পরীক্ষা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, ‘‘এই শাটডাউনটা পরীক্ষার পরে করলেও তো সমস্যা ছিল না।’’ 

কালীগঞ্জ উপজেলার হেলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশানুর রহমান জানায়, পরীক্ষা দিতে সে বিদ্যালয়ে আসে। স্যারেরা বলে আজকে পরীক্ষা হবে না। তোমরা হার্ডবোর্ড রেখে খেলা করো।

কালীগঞ্জ উপজেলার এসবিজিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশফাকুল কবীর বলেন, ‘‘আমাদের দাবি না মানার কারণে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।’’

কালীগঞ্জ উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিহার সুলতানা বলেন, ‘‘আমরা গত ৮ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১১তম গ্রেডের জন্য সমাবেশ করেছিলাম। তথন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম জানিয়েছিলেন, আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় আমরা কমপ্লিট শাটডাউন করছি।’’ 

ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘‘জেলার ৬ উপজেলার মধ্যে শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কোনো বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়নি। বাকি ৪ উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয় ছাড়া পরীক্ষা হয়েছে। জেলার ৪৬২ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।’’

ঢাকা/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ