চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণায় সময় চায় বিসিসিআই
Published: 11th, January 2025 GMT
হাতে আছে আর মাত্র এক দিন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রাথমিক দল আগামীকালের মধ্যে ঘোষণা করতে হবে। দল ঘোষণার পর অদলবদল করার জন্য হাতে এক মাস সময় থাকবে। তবে প্রাথমিকভাবে খেলোয়াড় তালিকা জমা দেওয়ার জন্য ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে আইসিসি।
ইংল্যান্ড অনেক আগেই প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে। আজ আর আগামীকালের মধ্যে বাকি দলগুলোও প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করার কথা। কিন্তু এর মধ্যেই আজ ক্রিকেট–বিষয়ক খবরের ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ খবর দিয়েছে, ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রাথমিক দল ঘোষণা করতে দেরি হতে পারে। বিসিসিআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, আইসিসির কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন করতে পারে তারা।
ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি। তাঁকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে রাখতে চায় নির্বাচকেরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গণভোটসহ ৫ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চাইবে জামায়াতসহ ৮ দল
জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে ঢাকায় সমাবেশ করার পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দলের নেতারা। তাঁরা আগামীকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চাইবেন বলে জানা গেছে।
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন’সহ ৫ দফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে সমাবেশ করে আট দল। সেখানে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবি কম, কিন্তু খুব সুস্পষ্ট। জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দিতে হবে।...আর জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। এই আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
ওই সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন আট দলের শীর্ষ নেতারা। সেখানে দুটি সিদ্ধান্ত হয়। সেগুলো হলো—জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি ও জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট নিয়ে দেশে চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় দাবির বিষয়ে আলোচনার জন্য বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হবে। এই সাক্ষাতে আলোচনায় ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত না এলে বুধবার ৮ দলের শীর্ষ নেতারা কঠোর কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন।
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমদ, খেলাফত মজলিসের আমির আবদুল বাসিত আজাদ ও যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির সারওয়ার কামাল আজিজী, মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মহাসচিব ইউসুফ সাদিক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, সাধারণ সম্পাদক কাজী নিজামুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।