বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে গতকাল রোববার এই ইস্যুতে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানাতে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে।

আগের দিন রোববার পররাষ্ট্র স‌চিবের সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তে অপরাধ দমনে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-দিল্লি। অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল ভারত। বেড়া নির্মাণে বাংলাদেশের সহযোগিতার মনোভাব আশা করে ভারত।

বিস্তারিত আসছে.

..

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ কোটি ডলার ক্ষতির আশ

পাকিস্তান ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ কোটি ডলার লোকসান হতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি চিঠির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, “ধরে নিচ্ছি যে, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকবে যা আগামী বছর পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে। তাতে যে বাড়তি খরচ হবে তার মধ্যে রয়েছে বিকল্প রুটে বিমানগুলোর দীর্ঘ উড্ডয়নের জন্য বর্ধিত জ্বালানি খরচ।

বিমান সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়েছে জানিয়েছে, ফ্লাইটের সময় যত বেশি হবে, যাত্রীদেরও তার উপর প্রভাব পড়বে। ফ্লাইট দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞার সময়কালে প্রতি বছর ৫৯ কোটি ১০ লাখ ডলারেরও বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। নয়াদিল্লি পরের দিনই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়াসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়।

বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়কে লেখা চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষতি পোষাতে এয়ার ইন্ডিয়া সরকারের কাছে আনুপাতিক ভর্তুকির জন্য অনুরোধ করেছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রভাবিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ভর্তুকি একটি ভালো, যাচাইযোগ্য এবং ন্যায্য বিকল্প... পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভর্তুকি প্রত্যাহার করা যেতে পারে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ