রাজনৈতিক দলে লেজুড়বৃত্তিক সংগঠন না রাখার সুপারি
Published: 15th, January 2025 GMT
রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিক কোনো সংগঠন না রাখার সুপারিশ করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। কমিশন বলেছে, রাজনৈতিক দলের ছাত্র, শিক্ষক ও শ্রমিক সংগঠন, ভ্রাতৃপ্রতিম বা যেকোনো নামেই হোক না কেন, না থাকার বিধান করা যেতে পারে।
বুধবার নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়। এই কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
কমিশনের সুপারিশে নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে আরও বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশনের সুপারিশে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন অংশে বলা হয়েছে- ক.
ছ. দলের সদস্যদের চাঁদা ন্যূনতম ১০০ টাকা ও কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদান হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা নেওয়ার বিধান করা। এ অনুদান ব্যাংকব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রহণের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আয়কর রিটার্নে প্রদর্শনের বিধান করা। জ. দলের তহবিল ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে বিদ্যমান ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নিবন্ধিত দলের নিরীক্ষিত আয় ও ব্যয়ের হিসাব বাধ্যতামূলকভাবে নিরীক্ষণের বিধান করা। ঝ. দলের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র, শিক্ষক ও শ্রমিক সংগঠন, ভ্রাতৃপ্রতিম বা যেকোনো নামেই হোক না কেন, না থাকার বিধান করা। ঞ. দলের যেকোনো নামেই হোক না কেন, বিদেশি শাখা না থাকার বিধান করা। ট. দলের সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য দলের তিন বছরের সদস্য পদ থাকা বাধ্যতামূলক করা। ঠ. প্রতি ৫ বছর পরপর দল নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করা। ড. পরপর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান বাতিল করা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: থ ক র ব ধ ন কর ব যবস থ র সদস য স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ডে পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন প্রধানমন্ত্রী, জানুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনা
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল মাত্র তিন মাস ক্ষমতায় থাকার পর আজ শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। ফলে আগামী বছরের শুরুতেই সেখানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম হলো।
পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আজ একটি রাজকীয় অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের জন্য নতুন একটি নির্বাচন আয়োজন করতে এ পরিষদ ভেঙে দেওয়া হলো।
অনুতিন চার্নভিরাকুল চলতি মাসের শেষ দিকে খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের আগে পার্লামেন্ট ভাঙবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে এর আগেই এ সিদ্ধান্ত এল। বিশেষত যখন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় নতুন করে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ চলছে, ঠিক তখন এ পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, একটি সংখ্যালঘু সরকার দেশ চালাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সরকার দক্ষতা ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে উপযুক্ত সমাধান হলো প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দিয়ে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা।
গত সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে পদচ্যুত করেন। এরপর ভুমজয়থাই পার্টির নেতা অনুতিন চার্নভিরাকুল দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।আরও পড়ুনথাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী ডানপন্থী ধনকুবের অনুতিন০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সেই হিসাবে আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অনুতিন গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, তিনি জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চান। এ পোস্ট থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল যে তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে যাচ্ছেন এবং জাতীয় নির্বাচনের পথ খুলছে।
গত সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে পদচ্যুত করেন। এরপর ভুমজয়থাই পার্টির নেতা অনুতিন চার্নভিরাকুল দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুনএকটি ফোনকল ফাঁস কীভাবে থাই প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক জীবনে সর্বনাশ ডেকে আনল৩০ আগস্ট ২০২৫আরও পড়ুনকম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘাতে থাই সেনা নিহত, পাল্টা বিমান হামলা থাইল্যান্ডের০৮ ডিসেম্বর ২০২৫