স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে কমিশনের কাছে প্রস্তাব জমা দিল বিএনপি
Published: 6th, February 2025 GMT
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের কাছে নিজেদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি। দলটি মনে করে, একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারই পারে এই সংস্কারের কাজ বাস্তবায়ন করতে।
আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রাজধানীর মিন্টো রোডের শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে এই প্রস্তাব জমা দেন। এর আগে তাঁরা কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।
লিখিত প্রস্তাবগুলো জমা দেওয়ার পর বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যেকোনো ধরনের সংস্কার একটি চলমানপ্রক্রিয়া। একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারই পারে এই সংস্কারের কাজ বাস্তবায়ন করতে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব জমা দিয়েছি এবং বলেছি, আপনারা শুধু বিএনপি নয়, স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার প্রস্তাবগুলো রেখে যাবেন, পরবর্তী গণতান্ত্রিক সরকার এটি বাস্তবায়ন করবে।’
প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সহসম্পাদক এস এম রফিকুল ইসলাম, রফিক আল কবির, পারভেজ রেজা কাকন, পরিকল্পনাবিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম ও নার্সিংবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা খাতুন।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার ১২ সদস্যের স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন গঠন করে। এই কমিশন তাদের প্রতিবেদন এখনো চূড়ান্ত করেনি।
এদিকে গত মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে দলের পরিকল্পনা ও সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি—তিন ধাপে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। তাতে যুক্তরাজ্যের (ইউকে) ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচসি) আদলে বাংলাদেশে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা’ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপিকে যদি জনগণ পছন্দ করে আগামী নির্বাচনে সরকারে পাঠায়, তাহলে আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে আমাদের উপস্থাপিত সবকিছু বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালাব।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স ল ইসল ম সদস য ব ষয়ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ১২ দিন ধরে ১৫ জেলে নিখোঁজ
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ উপকূল থেকে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ১৫ জন জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন।
যে নৌকায় জেলেরা মাছ ধরতে গিয়েছিলেন, সেটির মালিক দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় গত সোমবার চরফ্যাশন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, তাঁর থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি হয়নি।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, ১০ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ফারুক মাঝি (৪৫) চর মাদ্রাজ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাম্রাজ মৎস্যঘাট থেকে পাঁচ দিনের বাজার-সদাই নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে রওনা হন। এর পর থেকেই তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
নৌকার মালিক দেলোয়ার বলেন, ‘মাঝির ফোন বন্ধ পেয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। আত্মীয়স্বজন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে থানায় খবর দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে।’
চরফ্যাশন থানা-পুলিশ নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নিখোঁজ ১৫ জেলের বাড়ি লালমোহন উপজেলার ধলীগৌড়নগর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন, ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফারুক মাঝি, আলম মাঝি, মো. মাসুদ, আবদুল মালেক, মো. ফারুক, নুরুল্লাহসহ মোট ১৫ জন। পরিবারগুলো বলছে, প্রতিদিন কান্না আর দুশ্চিন্তার মধ্যে সময় কাটছে তাদের।
নিখোঁজ ফারুক মাঝির ছেলে আবদুর রাজ্জাক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘১০ তারিখে (নভেম্বর) “মা বাবার দোয়া” নামে আমাদের ফিশিং বোটটি ১৫ জন জেলে নিয়ে সাগরে গেছে। এখনো পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ নেই। আমরা আত্মীয়স্বজনকে জানিয়েছি, থানায় জিডি করেছি, ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি, কিন্তু কোনো খবর পাচ্ছি না।’