স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের কাছে নিজেদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি। দলটি মনে করে, একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারই পারে এই সংস্কারের কাজ বাস্তবায়ন করতে।

আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রাজধানীর মিন্টো রোডের শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে এই প্রস্তাব জমা দেন। এর আগে তাঁরা কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।

লিখিত প্রস্তাবগুলো জমা দেওয়ার পর বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যেকোনো ধরনের সংস্কার একটি চলমানপ্রক্রিয়া। একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারই পারে এই সংস্কারের কাজ বাস্তবায়ন করতে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব জমা দিয়েছি এবং বলেছি, আপনারা শুধু বিএনপি নয়, স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার প্রস্তাবগুলো রেখে যাবেন, পরবর্তী গণতান্ত্রিক সরকার এটি বাস্তবায়ন করবে।’

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সহসম্পাদক এস এম রফিকুল ইসলাম, রফিক আল কবির, পারভেজ রেজা কাকন, পরিকল্পনাবিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম ও নার্সিংবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা খাতুন।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার ১২ সদস্যের স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন গঠন করে। এই কমিশন তাদের প্রতিবেদন এখনো চূড়ান্ত করেনি।

এদিকে গত মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে দলের পরিকল্পনা ও সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি—তিন ধাপে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। তাতে যুক্তরাজ্যের (ইউকে) ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচসি) আদলে বাংলাদেশে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা’ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলন খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপিকে যদি জনগণ পছন্দ করে আগামী নির্বাচনে সরকারে পাঠায়, তাহলে আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে আমাদের উপস্থাপিত সবকিছু বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালাব।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স ল ইসল ম সদস য ব ষয়ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি-জামায়াত দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে: মজিবুর রহমান

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, দুটি রাজনৈতিক দলের ভোট এবং কর্মী বেশি। এই অহংকারে তারা দেশকে জিম্মি করে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

বিএনপি-জামায়াতসহ পুরোনো দলগুলো দেশকে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন মজিবুর রহমান। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই দুই রাজনৈতিক দলের অহংকার চূর্ণ করে দিতে জনগণের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

আজ মঙ্গলবার এবি পার্টির ডেমরা থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মজিবুর রহমান মঞ্জু। মতবিনিময় সভাটি সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি ঢাকা-৫ আসনে এবি পার্টির মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান আব্বাসীকে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

সংঘাতমুখী রাজনীতিকে না বলতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনতার পর থেকে দেশকে সংঘাত ও বিভেদের রাজনীতি উপহার দিয়েছে। তারা জাতিকে বিভক্ত করেছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সেই পুরোনো সংঘাতমুখী বিভেদের রাজনীতি আর দেখতে চায় না।

ব্যক্তিনির্ভর রাজনীতি থেকেই স্বৈরাচার জন্ম নেয় উল্লেখ করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ব্যক্তির যখন পতন ঘটে, তখন পুরো দলের পতন হয়। কিন্তু এবি পার্টি কোনো ব্যক্তিনির্ভর দল নয়। তারা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি মানবিক রাষ্ট্র গড়তে চাই, যেখানে কেউ ফুটপাতে কুকুরের সঙ্গে ঘুমাতে বাধ্য হবে না। জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনই এবি পার্টির লক্ষ্য।’

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব বারকাজ নাসির আহমদ, কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক আজিজা সুলতানা, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ এবং কেন্দ্রীয় জুলাই গণ–অভ্যুত্থানবিষয়ক সহসম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার আহ্বায়ক সুলতান আরিফসহ দলীয় নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি-জামায়াত দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে: মজিবুর রহমান