বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে লন্ডনে শ্রমিক আন্দোলন ও সোভিয়েত বিপ্লবের সমর্থনে প্রচার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন এক বাঙালি বিপ্লবী। তারপর প্যারিস, বার্লিন, জেনেভা, মস্কো প্রভৃতি ইউরোপীয় শহর ঘুরে খুঁজে ফেরেন ভারতের মুক্তির দিশা। আরও দুই বিপ্লবীর সঙ্গে মিলে ‘ভারত ও বিশ্ববিপ্লব’ থিসিস লিখে পাঠান রুশ বিপ্লবের নায়ক লেনিনের কাছে। বিয়ে করেন এক ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনার ও মডেলকে, যাঁর পোর্ট্রেট এঁকেছিলেন প্রখ্যাত ইতালীয় শিল্পী আমেদেও মোদিলিয়ানি।

সবশেষে স্থায়ী হন মস্কোতে। গ্রহণ করেন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ এবং সোভিয়েত নাগরিকত্ব। পৃথিবীর কমিউনিস্ট আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালে (কমিন্টার্ন) নানামুখী কাজের সঙ্গে জড়িত হন।

স্তালিনের শাসনকালে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে যখন দমন-পীড়ন চলছিল, তখন রুশ দেশে আরও অনেকের মতো তাঁকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সেটি কার্যকর হয় ১৯৩৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। ভারতের স্বাধীনতার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করা এই বাঙালি বিপ্লবী আর কোনো দিন ফিরতে পারেননি মাতৃভূমিতে। সিরাজগঞ্জের গোলাম আম্বিয়া খান লুহানী নামের এই বাঙালি বিপ্লবীর অজানা কাহিনির নানা দিক উঠে এসেছে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের এই বইয়ে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গেও ভূকম্পন অনুভূত, নেই ক্ষয়ক্ষতির খবর

উৎসস্থল বাংলাদেশে হলেও ভূমিকম্পে কেঁপেছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা। শুক্রবার সকালে আচমকা কম্পন অনুভূত হয়েছে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৮ মিনিট নাগাদ কম্পন শুরু হয়। বেশ কয়েক সেকেন্ড সেটি বজায় ছিল। ঘরের মধ্যে পাখা, চেয়ার ও টেবিল দুলতে দেখা গেছে।

আতঙ্কে অনেকে বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। বাংলাদেশের নরসিংদী থেকে ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল।

হুগলী, নদীয়া, মুর্শিদাবাদেও অনুভূত হয়েছে মৃদু কম্পন। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। একই পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গেও। সেখানেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। বহুতলের বাসিন্দারা তড়িঘড়ি করে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। কলকাতার বহু অফিসের সামনে দেখা যায় কর্মীদের ভিড়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ