দুষ্কৃতকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বুধবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন মির্জা ফখরুল। তিনি হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের নির্মম ও পৈশাচিক হামলায় নাছির উদ্দিন নিহতের ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এ ধরনের লোমহর্ষক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হচ্ছে। তাই এসব দুষ্কৃতকারীকে কঠোরভাবে দমনের বিকল্প নেই। 

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দল, মত নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তা হলে ওত পেতে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসররা মাথাচড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ম র জ ফখর ল ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

ছবিতে চুল দেখা না যাওয়ায় নাখোশ ট্রাম্প

টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নিজের ছবি দেখে নাখোশ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ছবিটিকে তিনি ‘সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ’ ছবি বলে মন্তব্য করেছেন।

টাইম ম্যাগাজিনের ১০ নভেম্বর সংখ্যায় গাজা যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। প্রচ্ছদে শিরোনামের সাথে প্রেসিডেন্টের একটি ছবি ছিল যা নীচে থেকে এবং মাথার পিছনে সূর্যের আলোয় তোলা হয়েছিল। এই ছবিটি দেখে তিনি নাখোশ হয়েছেন।

ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন , “টাইম ম্যাগাজিন আমার সম্পর্কে তুলনামূলকভাবে ভালো গল্প লিখেছিল, কিন্তু ছবিটি সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ হতে পারে।”

তিনি বলেছেন, “তারা আমার চুল অদৃশ্য করেছে এবং তারপরে আমার মাথার উপরে এমন কিছু ভাসছিল যা দেখতে ভাসমান মুকুটের মতো ছিল, কিন্তু অত্যন্ত ছোট ছিল। সত্যিই অদ্ভুত! আমি কখনই নীচের কোণ থেকে ছবি তুলতে পছন্দ করিনি, তবে এটি একটি অত্যন্ত খারাপ ছবি, এবং এটি প্রকাশ করার অযোগ্য। তারা কী করছে এবং কেন?”

ট্রাম্পের পক্ষে এই ছবির সমালোচনা করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য পরিচালক মারিয়া জাখারোভা।

টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, “এটা আশ্চর্যজনক: এই ছবি নির্বাচন করেছে তাদের মানসিকতা সম্পর্কে অনেক বেশি প্রকাশ করে, এর মধ্যে থাকা ব্যক্তির চেয়ে। কেবল অসুস্থ মানুষ, বিদ্বেষ এবং ঘৃণায় আচ্ছন্ন মানুষ - এমনকি বিকৃত ব্যক্তিরাও - এই ধরনের ছবি বেছে নিতে পারেন। একই প্রকাশনা প্রচ্ছদে বাইডেনের প্রশংসাসূচক ছবি ব্যবহার করেছে, তার শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও, গল্পটি কেবল সময়ের জন্য আত্ম-অপরাধী।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ