দুষ্কৃতকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বুধবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন মির্জা ফখরুল। তিনি হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের নির্মম ও পৈশাচিক হামলায় নাছির উদ্দিন নিহতের ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এ ধরনের লোমহর্ষক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হচ্ছে। তাই এসব দুষ্কৃতকারীকে কঠোরভাবে দমনের বিকল্প নেই। 

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দল, মত নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তা হলে ওত পেতে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসররা মাথাচড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ম র জ ফখর ল ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপতৎপরতার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলের আহ্বান জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু)।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ হয়ে কাটা পাহাড়ের রাস্তা ধরে গোলচত্বরে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘খুনি হাসিনার বিচার চাই, গণহত্যার বিচার চাই’ বলে স্লোগান দেন।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন চাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মো. ইব্রাহীম, যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা, শামসুন নাহার হলের ভিপি ফাইরোজ ফেরদৌস ও শাহজালাল হলের ভিপি মো. আলাউদ্দিন।

চাকসুর সহসভাপতি মো. ইব্রাহীম বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ যেসব সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের অপতৎপরতা এখনো অব্যাহত আছে। শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, তা সুশীল সমাজের জন্য লজ্জাজনক।

মো. ইব্রাহীম আরও বলেন, ‘আমরা চাই, আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের বিচার করা হোক। ১৭ নভেম্বর হাসিনার রায়ে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হোক, আমরা তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করি।’

বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হারেজুল ইসলাম, সহ–সাহিত্য সম্পাদক জিহাদ হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার, সহ–ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

আগামী সোমবার জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ আজ এ তারিখ নির্ধারণ করেন। অপর দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মামলার অন্য দুই আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। এর মধ্যে মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটি প্রথম মামলা। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি আন্দোলনকারীদের দমন ও হত্যার নির্দেশ দেন, যার ফলে বিভিন্ন স্থানে হত্যার ঘটনা ঘটে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ