অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত দুষ্কৃতকারীরা: মির্জা ফখরুল
Published: 27th, March 2025 GMT
দুষ্কৃতকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুধবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন মির্জা ফখরুল। তিনি হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের নির্মম ও পৈশাচিক হামলায় নাছির উদ্দিন নিহতের ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এ ধরনের লোমহর্ষক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হচ্ছে। তাই এসব দুষ্কৃতকারীকে কঠোরভাবে দমনের বিকল্প নেই।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দল, মত নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তা হলে ওত পেতে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসররা মাথাচড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ম র জ ফখর ল ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
খুন-অস্ত্রবাজিতে রয়েছে তিন স্তরের সন্ত্রাসী, নির্দেশ আসে বিদেশ থেকে
এক দল খুন, অস্ত্রবাজির পরিকল্পনা করে। আরেক দল সরাসরি হত্যা–অস্ত্রবাজিতে অংশ নেয়। অন্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকে। তিন ভাগে ভাগ হয়ে চট্টগ্রামে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারীরা। পরিকল্পনা, হামলা ও অস্ত্রবাজির পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হয় তিন ভাগে সাজানো একটি বাহিনীর মাধ্যমে—‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত সন্ত্রাসীদের নিয়ে। বিদেশে বসে নির্দেশনা দেন সাজ্জাদ।
৫০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীর বাসায় গুলিতে অংশ নেওয়া ইফতেখার ইবনে ইসহাক নামের এক সন্ত্রাসীকে ৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ এসব তথ্য জানতে পারে। দীর্ঘ দুই দশক ধরে দেশের বাইরে বসেই সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী নিয়ন্ত্রণ করছেন নগর ও জেলার বিস্তৃত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক।
কে এই সাজ্জাদ
চালিতাতলী এলাকার ঠিকাদার আবদুল গণির ছেলে সাজ্জাদ আলী মূলত অপরাধজগতে পরিচিত হন ১৯৯৯ সালে কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান খুনের পর। মামলায় সাক্ষ্য না পাওয়ায় খালাস পেলেও নগরের অপরাধজগতে তাঁকে নিয়েই শুরু হয় নতুন এক অধ্যায়।
২০০০ সালের ১২ জুলাই বহদ্দারহাটে ছাত্রলীগের ছয় নেতা–কর্মীসহ আটজনকে ব্রাশফায়ারের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত সেই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাজ্জাদ—এ অভিযোগ ওঠে বহুবার। একই বছরের অক্টোবরে একে–৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে জামিনে বেরিয়ে ২০০৪ সালে দেশ ছাড়েন। তার পর থেকেই বিদেশে বসে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন তাঁর বাহিনী। অবশ্য ‘এইট মার্ডার’ মামলা থেকে খালাস পান তিনি।
শুরুতে নুরনবী ম্যাক্সন, সরোয়ার হোসেন, আকবর আলী ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে গড়ে ওঠে এই বাহিনী। ম্যাক্সন ভারতে মারা যান, সরোয়ার দল ছাড়েন। এরপর ২০১৫ সাল থেকে নেতৃত্ব নেন ছোট সাজ্জাদ।
সাজ্জাদ বাহিনীর বর্তমান কার্যক্রম পরিচালিত হয় মোবারক হোসেন ইমন (ওপরে) ও মোহাম্মদ রায়হানের নেতৃত্বে