এক ছিল পুতুলের রাজ্য। সেখানে থাকতো এক নীল রঙের পুতুল। নাম- গোনজো। সে একদিন গ্রন্থাগারে দেখলো একটি ভূতুড়ে বাড়ির গল্পের বই। সে পড়ে খুব মজা পেলো। সেদিন বাড়ির পথে সে দেখলো একটা বন্ধ বাড়ি। দেখতে ভয়ানক! তার বাড়িটার ভেতরে যেতে ইচ্ছে হলো। তাই সে ভেতরে গেলো। দেখলো, খুব অন্ধকার। হঠাৎ সাদা কাপড় পরা একটা ভূত তার সামনে চলে এলো। সে ভয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে একটা ঘরে চলে এলো। দেখলো, সেখানে অনেক সোনা-গহনা। সে বললো, ‘আমি খবরের কাগজে পড়েছিলাম শহরে সোনা-গহনা চুরি হচ্ছে। এগুলো সেগুলোই নয়তো? কিন্তু ভূত কেন চুরি করতে যাবে?’ সে ঘর থেকে বের হয়ে দেখলো সাদা কাপড় পরে একটা মানুষ সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে। সে একটা বুদ্ধি করলো। তার পাশে একটি জানালার কালো পর্দা ছিল। সে কালো পর্দা গায়ে দিয়ে তার ওপর চকচকে গহনা পরে হাতে হারিকেন নিয়ে ভূতের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। ভূত তাকে দেখেই ভয় পেয়ে পালালো। আর গোনজো সেসব সোনা-গহনা যাদের, তাদের কাছে পৌঁছে দিল। তারপর তারা নিজের বাড়িতে চলে গেলো এবং আনন্দে দিন কাটাতে লাগলো!
বয়স : ৩+৩+৩ বছর; পঞ্চম শ্রেণি, মণীষা ভবন কেজি স্কুল, নাটোর
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ডাকছে এই ব্রাজিলিয়ানকে
১৯৯৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ। সেবার ঘানাকে হারিয়ে ছোটদের এই বিশ্বকাপ প্রথম জিতেছিল ব্রাজিল। কার্লোস সিজার রামোসের সেই দলে ছিলেন রোনালদিনিও, জিওভান্নি, ফাবিও সান্তোস, ফাবিও পিন্তোরা। শুধু রোনালদিনিও-ই এই দল থেকে পরে বড় মাপের তারকা হয়েছেন। অন্যরা সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি—কথাটি ঠিক আবার ভুলও!
আরও পড়ুনইন্টারের বিদায়ের পর মার্তিনেজের কড়া বার্তা, লড়তে না চাইলে চলে যাও১৯ ঘণ্টা আগেব্রাজিলের সেই অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন এখনো খেলে যাচ্ছেন। বয়স তাঁকে ৪৪ বছরে নিয়ে এসে দাঁড় করালেও গ্লাভসজোড়া তুলে রাখার যেন কোনো ইচ্ছাই তাঁর নেই। বরং তারকা না হয়েও এ বয়সে তাঁর ম্যাচ খেলার পরিসংখ্যান দেখলে কুঁড়ি-পঁচিশের ফুটবলাররাও চমকে যেতে পারেন। ২০২২ সাল থেকে ফ্লুমিনেন্সের হয়ে এ পর্যন্ত ২২২ ম্যাচ তিনি খেলেছেন! আগের তিনটি মৌসুমের একেকটিতে ৬০টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন। এ মৌসুমে সংখ্যাটা একটু কমে এখন পর্যন্ত ৩৫।
নাম তাঁর ফাবিও দেভিসন লোপেজ মাসিয়েল। ব্রাজিলিয়ান লিগ কিংবা ক্লাব বিশ্বকাপে চোখ রাখলে শুধু ‘ফাবিও’ নামে তাঁকে চিনতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় ফাবিও। যদিও ফ্লুমিনেন্স–সমর্থকেরা তাঁর এ পরিচয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। ফাবিও ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির গোলকিপার, সেটাও যেনতেন গোলকিপার নন; এই তো মাত্র পাঁচ দিন আগে গ্রুপ পর্বে পাচুকার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে দারুণ এক রেকর্ড গড়েন ফাবিও। ইতালিয়ান কিংবদন্তি জিয়ানলুইজি বুফনকে পেছনে ফেলে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে (৫০৭) ক্লিনশিট রাখার রেকর্ড গড়েন।
৪৪ বছর বয়সেও পোস্টের নিচের নিয়মিত দেখা যায় ফাবিওকে