হেফাজতে ইসলামের ‘দুঃখপ্রকাশকে’ সাধুবাদ জানিয়েছেন ৬ নারী
Published: 7th, May 2025 GMT
প্রকাশ্য জনসভায় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যদের গালির ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের দুঃখপ্রকাশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনি নোটিশ পাঠানো এনসিপির তিন নেত্রীসহ ছয়জন নারী। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামকে সাধুবাদ জানান তাঁরা। তবে হেফাজতে ইসলামের দুঃখপ্রকাশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা কিছু বিষয়ে সংগঠনটির বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন এই নারীরা।
বিবৃতিতে ছয় নারী বলেন, ‘নারীকে পাবলিক স্পেসে গালি দেওয়ার পর লিগ্যাল নোটিশের উত্তরে তাদের ক্ষমা চাওয়াকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং গ্রহণ করি। তবে আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করেছি তারা প্রেস রিলিজে বলেছেন, নারীকে পণ্য বানানোর পশ্চিমা এজেন্ডা তাঁরা মেনে নেবেন না এবং ধর্মীয় ইস্যুতে বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেবেন না। এ ছাড়া তাঁরা বলেন, উগ্র নারীবাদীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ফ্রেমিং-এর রাজনীতি থেকে তাঁদের আমরা বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাই। কারও মতের সাথে না মিললেই তাঁকে কোনো না কোনো ট্যাগ দেওয়া যাবে না।’
ছয় নারীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্ষমাপ্রার্থনাকে মেনে নিয়েই তাঁদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, ভবিষ্যতে টেবিল টক কিংবা পাবলিক ডিবেটের মাধ্যমে নারীদের সাথে আলাপে অংশ নিতে। নারীর সমঅধিকার কোনোভাবেই পশ্চিমা এজেন্ডা নয়। সমাজে সকলেই বিরাজ করবেন নিজ নিজ ক্ষমতায় আর সেটিই সমাজের নিয়ম। আমরা আশা করব, তাঁরা নিজেদের চিন্তাচেতনাকে আরও শাণিত করবেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতি সম্মান রেখেই আমাদের ৬ নারীর আহ্বান থাকবে, নারীর সাম্য ও সামাজিক মর্যাদার বিষয় নারীই বুঝবেন এবং তাঁরা যেন সে ক্ষেত্রে এগিয়ে আসেন।’
২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানই নারীদের শক্তি তথা ক্ষমতা বোঝার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পেছনে নারীদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাই যেকোনো দ্বিমতে এক টেবিলে বসে কথা বলার পরিস্থিতি বজায় রাখবেন এবং ভবিষ্যতে একটি সামাজিক চুক্তিতে আসবেন বলে তাঁদের বিশ্বাস।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
গুরুতর অসুস্থ ফরিদা পারভীন,আইসিইউর খরচ যোগাতে পারছে না পরিবার
বরেণ্য কন্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন লিভারের রোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসুস্থতায় ভূগছেন। চার মাস আগে গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। তাকে আইসিইউ পর্যন্ত যেতে হয়েছিল। এখন তাঁর অবস্থা আরো গুরুতর। রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা।
নন্দিত এই শিল্পীর জটিল রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় রাষ্ট্রের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে তাঁর পরিবার। বিষয়টি জানান শিল্পীর স্বামী ও কিংবদন্তি বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
গাজী আবদুল হাকিম বলেন, ‘অনেক দিন ধরে তার (ফরিদা পারভীন) লিভারের রোগ। ফুসফুসে পানি জমেছে, আবার ডায়াবেটিসের সমস্যাও আছে। অনেক সমস্যা।
আইসিইউতে রাখা হয়েছিল, কিন্তু সেটা অনেক ব্যয়বহুল। প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকা খরচ। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে আমরা প্রায় নিঃস্ব। তাই আইসিইউ থেকে বের করে আনা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খুব দ্রুত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।’যন্ত্রশিল্পীদের সংগঠন বাংলাদেশ মিউজিশিয়ানস ফাউন্ডেশনের সভাপতি গাজী বলেন, ‘ফরিদা পারভীন দেশের সম্পদ, তার মতো শিল্পী অন্তত চিকিৎসাসেবাটা তো পাবে। সারা জীবন দেশের জন্য কাজ করে গেল, শিল্পের জন্য কাজ করে গেল। আমি সারা জীবন সংগীতের সাধনা করে গেলাম। আমাদের প্রতি রাষ্ট্রেরও তো দায়িত্ব আছে। বিনা চিকিৎসায় তাঁর মতো শিল্পী চলে গেলে দুর্নাম হবে দেশেরই।’
প্রসঙ্গত, চার মাস আগেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ফরিদা পারভীনকে। ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন। কিছুদিন একটু ভালো ছিলেন শিল্পী, পরে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন।