গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। এ হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। তারপর থেকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তারই ফল স্বরূপ গতকাল রাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তানের ৬টি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানও।

ভারত এই হামলার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এ পরিস্থিতিতে ভারতীয় শোবিজ অঙ্গনের তারকারা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা কি এই যুদ্ধের পক্ষে নাকি বিপক্ষে? চলুন জেনে নিই এ বিষয়ে কোন তারকা কী বলছেন—

‘পদ্মবিভূষণ’ পুরস্কারজয়ী ভারতের দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা চিরঞ্জীবী মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ‘অপারেশন সিঁদুর’র পোস্টার শেয়ার করেছেন। আর ক্যাপশনে লিখেছেন, “জয় হিন্দ।”

আরো পড়ুন:

বাবা-মা হতে যাচ্ছেন তারকা দম্পতি

ভারতে নিষিদ্ধ পাকিস্তানি অভিনেতার সিনেমা, ক্ষুব্ধ প্রকাশ রাজ

বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা অনুপম খের। ক্ষমতাসীন বিজেপি ঘেঁষা এই তারকা তার এক্স অ্যাকাউন্টে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। তাতে এ অভিনেতা লেখেন, “ভারত মাতা কি জয়!” হ্যাশট্যাগে অনুপম খের লেখেন, “অপারেশন সিঁদুর”।

বলিউডের ‘খিলাড়ি’খ্যাত তারকা অভিনেতা অক্ষয় কুমার। সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও বিজেপি ঘেঁষা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে লেখেন, “জয় হিন্দ জয় মহাকাল”।

বলিউড অভিনেতা রীতেশ দেশমুখও নিজ দেশের জয় গান গেয়েছেন। তিনি লিখেন, “জয় হিন্দ কি সেনা। ভারত মাতা কি জয়! অপারেশন সিঁদুর।”

বলিউডের আলোচিত অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। বিজেপির টিকিট নিয়ে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। সক্রিয়ভাবে বিজেপির রাজনীতি করেন। এ অভিনেতাও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘হেরা ফেরি’  অভিনেতা পরেশ রাওয়াল লেখেন, “অপারেশন সিঁদুর। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী, নরেন্দ্র মোদিজি।”

ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মধুর ভান্ডারকর আজ ভোর ৫টায় এই হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে এই নির্মাতা লেখেন, আমাদের বাহিনীর সঙ্গে আমাদের প্রার্থনা থাকবে। আমরা একটি জাতি, একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি। জয় হিন্দ, বন্দে মাতরম।”

তা ছাড়াও অভিনেত্রী কাজল আগরওয়াল, নিমরত কৌর, তাপসী পান্নু, অভিনেতা বিনীত কুমার সিংসহ বেশ কজন তারকা নিজেদের অবস্থানের কথা জানান দিয়েছেন।

 

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, ইন্ডিয়া টিভি

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।

আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।

বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।

অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।

আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ