ছৈয়দা খাতুনের খাটের দৈর্ঘ্য-প্রস্থের চেয়ে মাটির ঘরটি সামান্য বড়। খাটের ওপর তেল চিটচিটে একটি তোশক। দুটি বালিশও রয়েছে। এক প্রান্তে সারিবদ্ধ প্লাস্টিকের বস্তায় কিছু কাপড়, একটি ব্যাগ ও একটি ট্রাংক। খাটের একদিকে ছোটমতো একটি টেবিল। তাতে ছড়ানো-ছিটানো বাসনপত্রসহ মালামাল এবং অপর প্রান্তে একটি র‌্যাকে কিছু জিনিসিপত্র।

ঘরের ৪ ফুট বাই ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের বারান্দার দুই প্রান্তেও কিছু মালামাল। মাঝের ফাঁকা অংশটি দিয়েই ঘরে যাতায়াত ছৈয়দার। তবে আলো চলাচলের যেন জায়গা নেই। প্রায় অন্ধকার ঘরের মাথার ওপর বাঁশের সঙ্গে ঝুলছে একটি অনিরাপদ টেবিল ফ্যান। জীবনসায়াহ্নে এই ঘরেই শুয়ে-বসে কাটছে তাঁর।

ছৈয়দার মাটির ঘরটির সঙ্গে লাগোয়া গোলাপি ও আকাশি রঙের একটি দ্বিতল ভবন। ভবনের নিচতলায় একটি বারান্দাও রয়েছে। এই ভবনেই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন ছৈয়দার একমাত্র ছেলেসন্তান সাজ্জাদ হোসেন (জুয়েল)। দিনের বেশির ভাগ সময় ঘরের প্রবেশপথে বসে থাকেন ছৈয়দা। ছেলে, পুত্রবধূ আর নাতনির হাঁটাচলা দেখেন। কিন্তু মুখ থেকে কথা বেরোয় না ছৈয়দার।

ছৈয়দা খাতুনের বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের খেড়কাটি গ্রামে। জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মসাল লেখা ১৯৪৫। সেই হিসাবে বয়স ৮০ বছর। যদিও ছৈয়দার দাবি, তাঁর বয়স ১০০ বছর পার হয়েছে। হাত-মুখের চামড়া কুঁচকে গেছে। হাঁটুর ব্যথায় কাতর হয়ে পড়েছেন। লাঠিতে ভর দিয়ে চলছেন। তবে চোখে সবকিছু পরিষ্কার দেখেন। সেই চোখে যেন ঘুরপাক খাচ্ছে অব্যক্ত কথার পঙ্‌ক্তিমালা।

ব্যক্তিজীবনে আট মেয়ে ও এক ছেলেসন্তানের জননী ছৈয়দা। মেয়েদের সবাই বিবাহিত, স্বামীর বাড়িতে আছেন তাঁরা। ছৈয়দার স্বামী একামউদ্দিন শাহ দরজির কাজ করতেন। পাশাপাশি কৃষিকাজও করতেন। ২০১২ সালে মারা যান একামউদ্দিন শাহ। স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে সাজ্জাদ কিছুদিন দেখভাল করেছেন। পরবর্তী সময়ে ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে পৃথক খাওয়া শুরু করেন। রান্না থেকে শুরু করে নিজের যাবতীয় কাজ একাই করতেন। বয়সের ভারে এখন শরীর চলে না তাঁর। এই বয়সে ছৈয়দার প্রতি একমাত্র ছেলের অযত্ন ও অবহেলার অভিযোগ এনে ২৬ এপ্রিল চিরিরবন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁর ছোট মেয়ে কমলা খাতুন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সাজ্জাদ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী বিভিন্ন সময় ছৈয়দা বেগম ও তাঁর মেয়েদের নির্যাতন করেন। মায়ের ভরণপোষণ দেন না। থাকার জায়গাও দেন না। বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় মেয়েরা তাঁর মাকে দেখতেও যেতে পারছেন না। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাঠিয়ে মাকে বাড়ির বাইরে এনে সাক্ষাৎ করতে হয় মেয়েদের। ছৈয়দাকে গোসলখানাসহ পানি ব্যবহার করতে দেন না। শৌচকাজ করতে হয় বাড়ির বাইরে গিয়ে। মায়ের খাওয়ার জন্য বাইরে হোটেল ঠিক করে দিয়েছেন মেয়েরা।

গত শনিবার সকালে ছৈয়দার খোঁজ নিতে খেড়কাটি গ্রামে গিয়ে কথা হয় ছৈয়দা খাতুনের সঙ্গে। কেমন আছেন জানতে চাইলে এক চিলতে হাসিমুখে বললেন, ‘ভালো’। তারপর মাটির ঘরের বারান্দায় বসলেন। গল্প শুরু হলো। বয়স কত হয়েছে, সকালে কী খেয়েছেন? এসব প্রশ্ন করলে দোতলা ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা নাতনির দিকে তাকান ছৈয়দা। খানিকটা ভেবেচিন্তে উত্তর দিলেন, বয়স ১০০ পার হবে মনে হয়। সকালে ভাত খেয়েছেন। মেয়েরা কেন থানায় অভিযোগ করল? প্রশ্ন করতেই দাদির আগে নাতনি উত্তর দেন, ‘না, উনি জানেন না। আপনারা যে ভিডিও করতেছেন অনুমতি নিয়েছেন?’ বাইরে থেকে কেউ খাবার দিয়ে যায় কি না এমন প্রশ্নে ছৈয়দা বলেন, ‘আগে দিছিল, এখন দেয় না।’

ছৈয়দার চার মেয়ের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। ভাই-ভাবি বাড়িতে ঢুকতে দেন না দেখে প্রায় আট মাস মায়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। লায়ারজু সিদ্দিকা বলেন, ‘বাবাও অসুস্থ ছিল। তার দেখভাল করত না ভাই। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমরা বোনেরা মায়ের দেখভাল করি। বোনেরা কেউ এক মাস, কেউ দুই মাস মাকে আমাদের সঙ্গে রাখতাম। কিন্তু কিছুদিন থাকার পরেই মা ছেলেকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে যায়। আবার বাড়িতে রেখে আসি। টয়লেট ব্যবহার করা তো দূরের কথা, ভাবি বাড়ির টিউবওয়েলের পানিটা পর্যন্ত মাকে ব্যবহার করতে দেয় না।’

কমলা খাতুন বলেন, ‘থানায় অভিযোগ করার পর ২৮ এপ্রিল বাসায় পুলিশ আসছিল। মায়ের সঙ্গে ওই দিন দেখা করার সুযোগ হয়। পুলিশ তাদের মতো করে বলে গেছে। পরের দিন থেকে হোটেল থেকে খাবার পাঠানো বন্ধ আছে। শুনতেছি এখন মাকে খাবার দেয়। কিন্তু আমরা তো জানতে পারছি না। কারণ, ওই বাড়িতে আমাদের ঢুকতেই দেয় না।’ কমলা বলেন, ‘আমাদের একটাই চাওয়া, শেষ বয়সে মা একটু সেবাযত্ন পাক। ঘরটা একটু মেরামত করে দিক।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছৈয়দার স্বামী একামউদ্দিনের ১২-১৪ বিঘা জমি ছিল। মৃত্যুর আগে মেয়েদের চার শতক করে লিখে দিয়ে অবশিষ্ট সব জমি দিয়েছেন ছেলের নামে। স্ত্রীর নামে দিয়েছেন ১৫ কাঠা। বাবার মৃত্যুর পরে সাজ্জাদ বোনদের কাছে সম্পত্তি ওছিয়ত করে যাওয়ার বিষয়টি জানান।

মায়ের প্রতি এমন অবহেলার অভিযোগ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হয় ছেলে সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি স্থানীয় গমীরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁর স্ত্রীও শিক্ষকতা করেন। সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমার মা তো বাড়িতেই থাকে, আমি কি বের করে দিয়েছি? মায়ের জন্য একটা ঘর নির্মাণ করতেছি। সময় তো লাগবে। আমি তো নিচতলায় থাকি মায়ের দেখাশোনা করার জন্য। বোনেরা বাড়িতে এসে মাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।’

আপনার স্ত্রী শাশুড়িকে দেখাশোনা করেন কি না জানতে চাইলে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘কার স্ত্রী কার মাকে কতটুকু দেখবে, এটা কেউ গ্যারান্টি দিতে পারে? আমার মাকে আমি দেখব। আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো আইন খাটে না।’

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ছেলে মায়ের ভরণপোষণ ও সেবাযত্ন করেন না—এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সেটি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করে দিয়েছি। তারপরও ওই লোক বোনদের বাড়িতে ঢুকতে দেয় না, গালিগালাজ করে। সর্বশেষ ওই নারীর চার মেয়ে থানায় এসেছিল। আমরা বিষয়টি দেখতেছি।’

এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে সাজ্জাদ হোসেনকে ডেকে কথা বলেছি। তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। বোনেরা তার পেছনে লেগে আছে—এমনটাই জানিয়েছেন। তবে আমি তাঁর বাসায় গিয়ে বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করব।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ব ষয়ট করত ন

এছাড়াও পড়ুন:

সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম

সালাতুল হাজত একটি নফল নামাজ, যা বিশেষ প্রয়োজনকে সামনে রেখে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে আদায় করা হয়। এই নামাজের মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতে আল্লাহর নৈকট্য ও সাহায্য কামনা করে।

হাদিসে সালাতুল হাজতের ফজিলত ও নিয়ম বর্ণিত আছে, যা মুমিনের আল্লাহর ওপর ভরসাকে দৃঢ় করে।

সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম

সালাতুল হাজত একটি নফল নামাজ, যা সাধারণত দুই রাকাত আদায় করা হয়। তবে ইচ্ছা হলে চার বা ততোধিক রাকাতও পড়া যায়। নামাজের নিয়ম বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো:

১. অজু করা

সালাতুল হাজত নামাজের জন্য পূর্ণ পবিত্রতা প্রয়োজন। তাই প্রথমে অজু করতে হবে। অজুর ফরজ চারটি: মুখমণ্ডল ধোয়া, দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধোয়া, মাথায় মসেহ করা এবং দুই পা টাখনু পর্যন্ত ধোয়া। এ ছাড়া সুন্নত অনুযায়ী অজু করা উত্তম, যেমন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা, কুলি করা, নাকের ভেতরে পানি দেওয়া ইত্যাদি। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৫)

সালাতুল হাজত একটি নফল নামাজ, যা বিশেষ প্রয়োজনকে সামনে রেখে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে আদায় করা হয়। সাধারণ ফরজ বা নফল নামাজের মতোই পড়তে হয়।

২. নিয়ত করা

নামাজ শুরু করার আগে মনে মনে সালাতুল হাজতের নিয়ত করতে হবে। নিয়তের উদাহরণ: ‘আমি দুই রাকাত সালাতুল হাজত নফল নামাজ আল্লাহর জন্য আদায় করছি, আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে।’

নিয়ত মনে মনে করা যথেষ্ট, মুখে বলা জরুরি নয়। (সাইয়্যিদ সাবিক, ফিকহুস সুন্নাহ, পৃষ্ঠা: ১৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ২০১৮)

আরও পড়ুনইশরাকের নামাজ: সকালের আলোয় আল্লাহর নৈকট্য ০৪ জুলাই ২০২৫

৩. দুই রাকাত নামাজ আদায়

প্রথম রাকাত: তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করা। সুরা ফাতিহার পর যেকোনো সুরা পড়া, যেমন সুরা ইখলাস। তারপর রুকু, সিজদা ও অন্যান্য নিয়ম অনুসরণ করে প্রথম রাকাত সম্পন্ন করা।

দ্বিতীয় রাকাত: একইভাবে সুরা ফাতিহার পর একটি সুরা পড়া, রুকু, সিজদা ও তাশাহহুদ পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা।

এই নামাজ সাধারণ ফরজ বা নফল নামাজের মতোই পড়তে হবে, তবে খুশুখুজু (মনোযোগ) বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৪৭৮)

৪. নামাজের পর দোয়া

নামাজ শেষে আল্লাহর প্রশংসা ও দরুদ পড়ে নিজের প্রয়োজনের জন্য দোয়া করতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির আল্লাহর কাছে কোনো প্রয়োজন বা মানুষের কাছে কোনো দরকার থাকে, সে যেন অজু করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে, তারপর আল্লাহর প্রশংসা করে, নবীর ওপর দরুদ পড়ে এবং এই দোয়া পড়ে:

উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম, সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম, আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিক, ওয়া আজাইমা মাগফিরাতিক, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিরর, ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইসম। লা তাদা লি জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু, ওয়া লা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু।’

অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি সহনশীল ও দয়ালু। পবিত্র মহান আরশের প্রভু আল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রভু আল্লাহর জন্য। আমি তোমার কাছে তোমার রহমতের কারণ, ক্ষমার দৃঢ়তা, প্রতিটি পুণ্যের লাভ এবং সব পাপ থেকে মুক্তি প্রার্থনা করি। আমার কোনো গুনাহ রেখো না, যা তুমি ক্ষমা করোনি এবং কোনো দুশ্চিন্তা রেখো না, যা তুমি দূর করোনি।’ (সুনান তিরমিজি, হাদিস:: ৪৭৮)

৫. অতিরিক্ত দোয়া

ওপরের দোয়ার পর নিজের প্রয়োজন বা দরকারের জন্য নিজের ভাষায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা। দোয়া করার সময় আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা এবং ধৈর্যের সঙ্গে ফলাফলের অপেক্ষা করা।

আরও পড়ুননামাজ আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির একটি ধাপ১৭ জুলাই ২০২৫সালাতুল হাজতের সময়

সালাতুল হাজত নির্দিষ্ট কোনো সময়ের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়। এটি যেকোনো সময় আদায় করা যায়, তবে নিষিদ্ধ সময় (যেমন সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত বা ঠিক মধ্যাহ্নে) এড়িয়ে চলতে হবে। সর্বোত্তম সময় হলো:

রাতের শেষ প্রহর (তাহাজ্জুদের সময়)।

ফজর বা মাগরিব নামাজের পর।

জুমার দিনে, বিশেষ করে আসর ও মাগরিবের মাঝে। (মুহাম্মদ ইবনে সালিহ, আল-ফিকহুল মুয়াসসার, পৃষ্ঠা: ১৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ২০১৫)

সালাতুল হাজতের ফজিলত

সালাতুল হাজত নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ আছে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সালাতুল হাজত পড়ে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করেন।’ (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৪৭৮)

এই নামাজ মুমিনের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনার একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা মানসিক শান্তি ও ইমানের দৃঢ়তা বাড়ায়।

সতর্কতা

নিষিদ্ধ সময় এড়ানো: সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও মধ্যাহ্নে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকা।

খুশুখুজু: নামাজ ও দোয়ায় মনোযোগ বজায় রাখা, যাতে ইবাদত পূর্ণতা পায়।

হারাম প্রয়োজনে না: সালাতুল হাজত শুধু জায়েজ ও হালাল প্রয়োজনের জন্য পড়তে হবে।

ধৈর্য: দোয়ার ফলাফলের জন্য ধৈর্য ধরা, কারণ আল্লাহ সর্বোত্তম সময়ে প্রয়োজন পূরণ করেন। (ইবনে হাজার আসকালানি, ফাতহুল বারি, ২/৪৮০, দারুল মা’রিফা: ১৯৮৯)

সালাতুল হাজত নামাজ মুমিনের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনার একটি অসাধারণ মাধ্যম। এটি দুই রাকাত নফল নামাজ, যার পর নির্দিষ্ট দোয়া ও নিজের প্রয়োজনের জন্য দোয়া করা হয়। জীবনে ব্যস্ততার মাঝেও এই নামাজ সহজেই আদায় করা যায়।

আরও পড়ুনজীবনকে ছন্দে ফেরাবে ‘ধীর নামাজ’২৪ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ