ভারত-পাকিস্তানের পারমাণিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতি কী?
Published: 7th, May 2025 GMT
পাকিস্তানের ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণহানি ও স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর এর সমুচিত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি সেনারা ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মুহুর্মুহু গোলা বর্ষণ করে চলেছে; ভারতও পাল্টা গোলা ও গুলি ছুড়ছে। ফলে সীমান্তে যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে দুই দেশ।
তবে চিরবৈরী ভারত ও পাকিস্তান বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক। দুই দেশ হামলা ও পাল্টা হামলায় প্রচলিত অস্ত্রের ব্যবহার করছে। তবে যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেলে তারা কী পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করতে পারে; পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কী নীতি রয়েছে দুই দেশের।
ফোর্বস সাময়িকীর অনলাইন সংস্করণে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতির বিষয়ে বলা হয়েছে, ভারত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে প্রচলিত নীতি মেনে চলার কথা বলে। ‘প্রথমে ব্যবহার না করার’ (নো ফার্স্ট ইউজ) নীতিতে অটল তারা। এর মানে হলো, ভারত কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না, যদি না তাদের ওপর প্রথমে পারমাণবিক হামলা হয়।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানে ভারতের হামলা নিয়ে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে
ভারতের হামলা: ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা
অন্যদিকে, পাকিস্তান এই নীতিতে বিশ্বাস করে না। ভারতের বিপরীতে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারে ছোট আকারের ট্যাকটিক্যাল ওয়ারহেড আছে বলে ধারণা করা হয়, যেগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য তৈরি, যেমন ছোট ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাসর’ দিয়ে এসব অস্ত্র ছোড়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এই ধরনের ছোট ওয়ারহেড পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কারণ- এগুলোর ব্যবহার হলে পরিস্থিতি দ্রুত বৃহৎ পরিসরের পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে।
ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে আমরা কী জানি?
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, যা কোনো পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধক্ষেত্রে বিপজ্জনক মাত্রায় উত্তেজনার ঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিআইএ) ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ১৫ লাখ সক্রিয় সামরিক সদস্য রয়েছে, যা বিশ্বে অন্যতম বৃহৎ সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, পাকিস্তানে প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার সক্রিয় সামরিক সদস্য রয়েছে।
তবে সেনাসংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও ভারতের বাহিনী চীনের সঙ্গে উত্তরের এবং উত্তর-পূর্বের বিতর্কিত সীমান্তে নজর দিতে গিয়ে অনেকটাই ছড়িয়ে আছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশানল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপনসের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারে আনুমানিক ১৬৪টি ওয়ারহেড রয়েছে, আর পাকিস্তানের আছে আনুমানিক ১৭০টি পারমাণবিক অস্ত্র।
তবে একটি বড় পার্থক্য হলো, ভারতের রয়েছে একটি পারমাণবিক ট্রায়াড (triad), অর্থাৎ তারা স্থল, আকাশ ও পানির নিচ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র ছোড়ার সক্ষমতা রাখে। এই সুবিধা পাকিস্তানের নেই।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র র
এছাড়াও পড়ুন:
এক লাখ ১০ হাজার টন সার আমদানিতে ব্যয় ৮৫০ কোটি টাকা
দেশের কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ১ লাখ ১০ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানি করবে সরকার। এ সংক্রান্ত তিনটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৫০ কোটি ৫০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি সভার অনুমোদনক্রমে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে দেশটি থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ে ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের মূল্য ৩৮৫.৫০ মার্কিন ডলার।
সভায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় চীন থেকে প্রথম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
বিএডিসি ও চীন এর মধ্যে ১০ জানুয়ারি সার আমদানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রথম লটে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫৮ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
সভায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরব থেকে সপ্তম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বিএডিসি কর্তৃক সৌদিআরব থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানি করা হয়। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারিখে চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে সৌদিআরব থেকে ৭ম লটে ৪০ হাজার (+১০%) মে. টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫১ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম ৭১৫ মার্কিন ডলার।
ঢাকা/হাসনাত/ইভা