সাংবাদিকতায় সততা, তথ্যনিষ্ঠতা ও দায়িত্ববোধই সবচেয়ে বড় শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম।

বুধবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকতার দক্ষতা ও নৈতিকতাবিষয়ক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘ইম্পাওয়ারিং ক্যাম্পাস জার্নালিস্টস’ শীর্ষক দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)।

উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা সবসময়ই থাকে। তবে অনেক সময় প্রক্রিয়াগত জটিলতায় কাজ বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। তারপরও আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করি। সাংবাদিকদের উচিত নির্ভুল তথ্য উপস্থাপন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা।”

আরো পড়ুন:

‘দ্য হিন্দু’র সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবেদন ভিত্তিহীন: প্রেস উইং

নাটোরের প্রবীণ সাংবাদিক নবীউর রহমান মারা গেছেন

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

সাবিনা শরমীন বলেন, “সাংবাদিকতায় নীতি ও নৈতিকতা অপরিহার্য। সততা ও গ্রহণযোগ্যতা বজায় রেখে রিপোর্টিং করতে হবে। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।”

কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করা শিক্ষার্থী সাংবাদিক ও পিআরআইপি দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালা নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফ বলেন, “আজকের কর্মশালা সবার জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা। সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, এটি প্রতিদিন নতুন গল্প তুলে ধরার এক অনন্য সুযোগ। এ মাধ্যমে যেমন মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনা যায়, তেমনি সমাজের সত্যকে তুলে ধরা যায়।”

তিনি বলেন, “জুলাইয়ের কঠিন দিনেও এই পেশা আমাদের শক্তি জুগিয়েছে। দর্শক-পাঠকের বিশ্বাস রক্ষা করাই আমাদের অঙ্গীকার। সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত শুধু ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নয়, বরং ক্ষমা, কৃতজ্ঞতা, সমবেদনা ও উদারতার গল্পও বলেন। আর এটাই সাংবাদিকতার সৌন্দর্য।”

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক মো. আবু লায়েক। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পরিচালক মো. মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর।

কী-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পিআরআইপি দপ্তরের পরিচালক মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম এবং যমুনা টেলিভিশনের ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার আখলাকুস সাফা।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ কত

এছাড়াও পড়ুন:

অনলাইন জুয়ার এজেন্ট যবিপ্রবির ছাত্র গ্রেপ্তার

অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থী আশিকুল হক অন্তুকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ। পুলিশ জানায়, অন্তু অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। 

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার পর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হয়। অন্তু ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আমতলী গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় কর্মবিরতির নেপথ্যে রাকসু বানচালের চেষ্টার অভিযোগ

২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

ডিবি পুলিশের ওসি মঞ্জুরুল হক ভুঁইয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় অন্তুসহ ৩-৪ জন ডিভাইসের মাধ্যমে অনলাইন জুয়ায় লিপ্ত ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও অন্তুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। মোবাইলের বিভিন্ন লেনদেন ও ট্রানজেকশন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত। 

ওসি জানান, অন্তু অবৈধ এজেন্ট হিসেবে জুয়া পরিচালনা করতেন এবং ‘আরমান খান’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিতেন।

ডিবি পুলিশের এএসআই আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলায় অন্তু এবং অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) অন্তুকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শিবু মণ্ডল বলেন, ‘‘অন্তুর সঙ্গে থাকা অন্যরাও জুয়ার সঙ্গে জড়িত। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। তবে তাদের নাম ও ঠিকানা শনাক্ত করার কাজ চলছে।’’ 

যবিপ্রবির একটি সূত্র জানায়, আশিকুল হক অন্তু কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল রানার অনুসারী ছিলেন। তাকে মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শহিদ মশিউর রহমান হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। 

ঢাকা/রিটন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ