টাঙ্গাইলে ৩ মাদরাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজ, উদ্বিগ্ন পরিবার
Published: 23rd, June 2025 GMT
টাঙ্গাইলের সখীপুরে তালিমঘর এলাকার তোফাজ্জল হোসেন তালীমুল কুরআন মাদরাসা ও এতিমখানা থেকে তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (২২ জুন) রাতে থেকে তারা নিখোঁজ। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, আত্মীদের বাড়ি এবং সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও সন্তানদের সন্ধান পাননি। থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
সোমবার (২৩ জুন) সখীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূইয়া বলেন, “এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
শাবিপ্রবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৪ দিনের রিমান্ডে ২ যুবক
গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগে নবীনবরণ
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন- উপজেলার বেড়বাড়ী খন্দকারপাড়ার নাজিবুল ইসলামের ছেলে সামিউল ইসলাম (১৫), বাজাইল গ্রামের সেলিম হোসাইনের ছেলে মমিনুল ইসলাম মারুফ (১৬) এবং মির্জাপুর উপজেলার পেকুয়া গ্রামের আলাল মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম (১৫)।
মাদরাসার সুপার নুরুল ইসলাম বলেন, “আজ ভোর ৪টার দিকে শিক্ষার্থীদের ছবক দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। তখন তিন শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা রাগ করে মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায়, এমনটি চিন্তা করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
নিখোঁজ সামিউল ইসলামের বাবা নাজিবুল হাসান বলেন, “ভোরের দিকে মাদরাসা থেকে জানানো হয়, আমার ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। সকালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তক্তারচালা বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তারা মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকার ঢাকা-টাঙ্গাইল মেইন রোডে গিয়ে নেমেছে। আমরা আমাদের সব আত্মীয়ের বাড়িতে খোঁজ করেছি। আমরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও সন্তানদের পাচ্ছি না।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা চিন্তিত, উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। থানায় অভিযোগ দেবে, খোঁজাখুঁজির কারণে দেরি হচ্ছে।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম ম দর স
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ আরেক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তরিকুল ইসলাম রনি নামে একজন চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার মো. তরিকুল ইসলাম রনি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসাবে কর্মরত। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ইকরামুল হক হিটলু। তিনি একই হাসপাতালে ডেন্টাল সার্জন হিসাবে কর্মরত।
ঘটনার পর পরই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক, সিভিল সার্জনসহ সকল চিকিৎসকের উপস্থিতিতে জরুরি সভা হয়। সেখানে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। তা না হলে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম রনি বলেন, সম্প্রতি হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৪৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের আগেই ডেন্টাল সার্জন ইকরামুল হক হিটলু টাকার বিনিময়ে কয়েকজনকে নিয়োগ দিতে চাপ দিয়ে আসছিলেন। তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষুব্ধ হন ডা. হিটলু। গত রোববার দুপুরে তিনি কতিপয় লোকজন নিয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহানের গাড়ির গতিরোধ করেন এবং তাকে হুমকি দেন। আজ দুপুরে ডা. হিটলু ও তার স্ত্রী ডা. শারমিন আমার কক্ষে ঢুকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে মারধর করেন তারা। খবর পেয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। তখন পালিয়ে যান অভিযুক্ত চিকিৎসক হিটলু।
ড্যাবের জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা. আহাম্মদ আলী আকন্দ বলেন, ‘আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা না হলে মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকবে। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেবা চালু থাকবে।’
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল হক সমকালকে বলেন, ‘একজন চিকিৎসক হয়ে আরেক চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকে মারধর করার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
অভিযুক্ত চিকিৎসক ইকরামুল হক হিটলুকে কল করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে পরে কথা বলব।’ পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
জামালপুর থানার ওসি ফয়সাল আতিক বলেন, ‘মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।’