কর্মীদের বীমা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মেটলাইফের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সম্প্রতি একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কার্যালয়ে এই চুক্তি সই হয়। এ সময় একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামানজার শামা খান এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার তৌহিদুল আলম।

এই চুক্তির আওতায় একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মীরা গুরুতর অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, অক্ষমতা ও জীবনহানির ক্ষেত্রে আর্থিক সুরক্ষা পাবেন। বীমা দাবি নিষ্পত্তিতে ধারাবাহিক সাফল্য, কাস্টমাইজড বীমা সেবা, অত্যাধুনিক ড্যাশবোর্ড, ক্যাশলেস আউটপেশেন্ট ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবং বীমাদাবির দ্রুত পেমেন্ট ও ঝামেলামুক্ত দাবি নিষ্পত্তির আর্থিক সক্ষমতার কারণে নিজেদের কর্মীদের বীমা সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে মেটলাইফকে নির্বাচন করেছে একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালস।  

ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিটির দুইটি বিভাগ হচ্ছে একেএস ফার্মেসি ও একেএস ডায়াগনস্টিক। উভয় বিভাগই গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা প্রদানের উদ্দেশ্যে একইসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৮ সাল থেকে একেএস ফার্মেসি দ্রুত এবং বিশেষায়িত সেবা প্রদানের মাধ্যমে কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করে আসছে।  

বাংলাদেশে মেটলাইফ নয়শো’র বেশি প্রতিষ্ঠানের ৩ লাখেরও বেশি ব্যক্তি ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের জন্য বীমা সুরক্ষা নিশ্চিত করে আসছে। ২০২৪ সালে মেটলাইফ বাংলাদেশ ২ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকার বেশি বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ক ত সই

এছাড়াও পড়ুন:

ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’

বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।

অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।

ঋত্বিক ঘটক

সম্পর্কিত নিবন্ধ