Samakal:
2025-11-25@18:22:23 GMT

আকাশপথ খুলে দিল পাকিস্তান

Published: 10th, May 2025 GMT

আকাশপথ খুলে দিল পাকিস্তান

সব বিমানের জন্য আকাশসীমা খুলে দিয়েছে পাকিস্তান। আজ শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। খবর আল-জাজিরা ও বিবিসির

রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাটি বলছে, দেশের আকাশসীমা সব ফ্লাইটের জন্য সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

গত কয়েক দিন ধরে চলা পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধে একমত হয় ভারত-পাকিস্তান। এমন ঘোষণার মধ্যে দেশের আকাশসীমা খুলে দেওয়ার কথা জানানো হল।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে পুরোপুরি অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে। এরপরই আলাদাভাবে দুই দেশ অস্ত্রবিরতিতে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে  পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে রাজি হয়েছে। 

এক্স হ্যান্ডেলে ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তান সবসময়ই এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। এ ক্ষেত্রে তারা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার সঙ্গে কোনো আপস করেনি।

এদিকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্তের কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি বলেন, স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল ৫টা থেকে স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী পাকিস্তানের দিকে সব ধরনের গুলি চালানো বন্ধ রাখছে।

‘পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্স ভারতীয় সময় তিনটা ৩৫ মিনিটে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্সকে ফোন করেছিলেন। তাদের দুজনের মধ্যে স্থির হয়েছে আজ ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা থেকে দুই পক্ষই সব ধরণের গুলি-গোলা চালানো এবং স্থল, আকাশ ও জলপথে সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করবে।’, উল্লেখ করেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আল্লাহকে নিয়ে বাউলের করা ‘কটূক্তি’র অভিযোগের প্রতিবাদ দ্য রেড জুলাইয়ের

আল্লাহকে নিয়ে ‘বাউলের করা কটূক্তি’র অভিযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছে দ্য রেড জুলাই নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। একই সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করে প্ল্যাটফর্মটি। এরপর সেখানে বক্তব্য দেন প্ল্যাটফর্মটির সাধারণ সম্পাদক মো. সজীব হোসাইন। তিনি বলেন, ‘এই বাউল আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করেছে, কোনোভাবেই যেন তাঁকে মুক্তি দেওয়া না হয়। যদি মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিয়ে আমরা মাঠে নামব।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্দেশে মো. সজীব হোসাইন বলেন, ‘আপনারা আপনাদের ভুল স্বীকার করবেন কি না, তা জানান।’ প্রতিবাদী বাউল সন্ধ্যা আয়োজন নিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের একজন সেখানে এসে গান গেয়েছেন এবং পক্ষ নিয়েছেন। আমরা তাঁর কাছে জানতে চাই, কোন উদ্দেশ্যে তিনি ওনার পক্ষ নিয়েছেন।’

ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের উদ্দেশে করে মো. সজীব হোসাইন বলেন, ‘আপনারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করেন। অথচ আল্লাহকে নিয়েই গালি দেওয়া হলো, কিন্তু আপনারা পক্ষেও গেলেন না, বিপক্ষেও গেলেন না। আপনারা যাবেন কোন দিকে?’ তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি অভিযুক্ত তাদের শাস্তি দিন। অন্যদের ওপর মব করবেন না। একজনের শাস্তি আরেকজনকে দেবেন না।’

পরে দ্য রেড জুলাইয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে মহান আল্লাহর শানে জঘন্য শব্দ ব্যবহার করে ধর্ম অবমাননার সুস্পষ্ট অভিযোগে আবুল সরকার নামক এক বাউলকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তারের ঘটনায় এক শ্রেণির লোক পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করছি, এটি কেবল ফৌজদারি অপরাধ নয়, বরং বাংলাদেশের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলিমের হৃদয়ে আঘাত হানার শামিল। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এই গুরুতর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ আইনি শাস্তি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অপরিহার্য দায়িত্ব। আমরা আরও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে মূল অপরাধকে আড়াল করে “কথিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার” এমন শিরোনাম ব্যবহার করে মিডিয়ায় পরিকল্পিত বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিষয়টিকে “সংস্কৃতি”, “বাক্‌স্বাধীনতা” বা “শিল্প ও শিল্পীর ওপর আঘাত” হিসেবে দেখানোর অপচেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাঁর সমর্থকেরা ‘ভিক্টিম কার্ড’ ব্যবহার করে অপরাধ ঢাকতে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিছু প্রভাবশালী মিডিয়া ও গোষ্ঠী এ ধরনের অপপ্রয়াসে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে, যা ন্যায়বিচারের পথে বড় বাধা তৈরি করছে। আমরা এই দায়িত্বহীনতা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানাই।’

এতে আরও বলা হয়, ‘দ্য রেড জুলাই সুস্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, আমরা কোনোভাবেই আইন হাতে নেওয়ার প্রবণতাকে সমর্থন করি না। যদি কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তা–ও রাষ্ট্রের সুশাসনের ঘাটতির কারণে ঘটেছে। আমাদের অবস্থান হলো, রাষ্ট্রে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুত যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অপরাধীকে রক্ষা করা, তার দোষ লঘু করা কিংবা জনতার ন্যায়সংগত ক্ষোভকে উল্টো দোষারোপ করার চেষ্টা—এসবই ন্যায়বিচার থেকে সরে আসার শামিল।’

এতে বলা হয়, ‘আমরা রাষ্ট্রের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, সমস্ত বিভ্রান্তি ও ভ্রান্ত প্রচারণার অবসান ঘটিয়ে, কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর চাপ বিবেচনা না করে মহান আল্লাহর অবমাননাকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক, কঠোর ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে অত্যন্ত সংবেদনশীল এই বিষয়কে কেন্দ্র করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর যেসব অপপ্রয়াস চলছে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ