‘অমন করে তাকিয়ে কী দেখছো/মাঝে মাঝে নিঃশব্দ অবহেলায়/আমার দু’চোখের কবিতাগুলো শোক হয়ে যায়/এ কেমন পৃথিবী তুমি!’ তরুণ কবি জোনায়েদ সাইফুল্লাহ নূর স্বরচিত কবিতার এই পঙ্ক্তিগুলো পাঠ করছিলেন। ৮ মে সুহৃদ সমাবেশের ‘স্বরচিত কবিতা ও পাঠ প্রতিযোগিতা’ কর্মসূচিতে এমন অনেক কথামালা সবাই আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করছিলেন।
এ যেন শব্দের ভেতর আত্মার নীরব স্রোত। যেখানে শব্দেরা গড়ে তোলে অনুভবের বাড়ি আর বিরতিগুলো হয়ে ওঠে না বলা কথার চিৎকার। এখানে প্রতিটি ছন্দে লুকিয়ে থাকে একেকটা জীবন। কবিতার এমন আবেদনকে ধারণ করে কয়েক সপ্তাহ আগে প্রতিযোগিতার জন্য স্বরচিত কবিতা আহ্বান করা হয়। ঘোষণার পর এক সপ্তাহের মধ্যে অর্ধশতাধিক কবিতা জমা পড়ে সুহৃদের ভান্ডারে। সেখান থেকে বিষয়বস্তু, কাব্যভাষা ও নির্মাণশৈলী বিবেচনায় বিচারকরা সেরা ১০টি কবিতা নির্বাচন করেন সেরা হিসেবে। বিজয়ী প্রতিযোগীরা হলেন– জোনায়েদ সাইফুল্লাহ নূর, মাহিম খান, রফিক উদ্দিন রায়হান, শরিফ উদ্দিন, নূর জালাল, কামরুন নাহার কোহিনুর, জুলকার নাইম জোবায়ের, ওসমান গনি, ফাহিদ হাছান নাইম ও জাইফ সিদ্দিক আকন্দ। প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সরকারি তিতুমীর কলেজ সুহৃদ উপদেষ্টা এবং বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর কামরুন নাহার মায়া এবং কবি ও লেখক ফরিদুল ইসলাম নির্জন।
বাংলা বিভাগের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রফেসর কামরুন্নাহার মায়াসহ অতিথি ও সুহৃদরা। অতিথির বক্তব্যে ‘সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মুক্ত চিন্তার চর্চায় এ আয়োজন তিতুমীর কলেজ সুহৃদ সমাবেশের একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে’– বলে মন্তব্য করেন প্রফেসর কামরুন্নাহার মায়া।
অনুষ্ঠান শেষে সুহৃদরা এক সংক্ষিপ্ত সভায় মিলিত হন। পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার মধ্য দিয়ে তারা আয়োজন সমাপ্ত করেন। v
আহ্বায়ক সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবর্তন আসছে নীতিমালায়, কঠিন হচ্ছে যুক্তরাজ্যে অভিবাসন
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি সরকার নতুন অভিবাসন নীতিমালার ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ব্রিটেনের সীমান্তের ‘নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়ার’ অঙ্গীকার করেছেন। সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
নতুন নীতিমালা অনুসারে, যুক্তরাজ্যে কমপক্ষে ১০ বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করার আগে কেউ অভিবাসনের যোগ্যতা অর্জন করবেন না। বর্তমান নীতিতে এ সময়সীমা পাঁচ বছর। পাশাপাশি, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার মানদণ্ডও আরও কঠোর করা হবে। পোষ্য কোটায় প্রাপ্ত বয়স্করা যুক্তরাজ্যে অভিবাসন করতে চাইলে তাদেরও ইংরেজি ভাষার প্রাথমিক জ্ঞানের প্রমাণ দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, আমাদের দেশে যারা আসতে চান, তাদেরকে (যুক্তরাজ্যের) সমাজের অংশ হওয়ার অঙ্গীকার নিতে হবে এবং আমাদের ভাষা শিখতে হবে। তিনি বলেন, অভিবাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ– যেমন কাজ, পরিবার ও পড়াশোনার মানদণ্ড আরও কঠোর করা হবে, যাতে আমাদের হাতে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে। এসবের (নীতির) প্রয়োগ আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় কঠোর হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, অভিবাসীর সংখ্যা কমাতে ও কট্টর ডানপন্থি দলগুলোর জনপ্রিয়তায় রাশ টেনে ধরতে এ নীতিমালা নিয়ে এসেছে লেবার পার্টি। স্টারমার জানান, তিনি ‘সীমান্ত উন্মুক্ত পরীক্ষার’ অবসান ঘটাতে চান। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার স্থানীয় সময় সোমবার পার্লামেন্টে এ-সংক্রান্ত শ্বেতপত্র উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। এর আগে রোববার তিনি জানান, নতুন নীতিতে যুক্তরাজ্যের মাটিতে কোনো বিদেশি নাগরিক ফৌজদারি অপরাধ করলে তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিধান যুক্ত করা হবে।