Samakal:
2025-05-12@22:22:30 GMT

মায়াবী গানের সুর

Published: 12th, May 2025 GMT

মায়াবী গানের সুর

বৃষ্টিঝরা সন্ধ্যার আঁধারে শহরের পুরোনো পাড়ায় ভাঙা বাড়ির সামনে নীল। শ্যাওলাধরা দেয়াল, ভাঙা জানালা, তালাবদ্ধ দরজা। অথচ ভেতর থেকে ভেসে আসছে মায়াবী গানের সুর, যেন সময়ের ওপার থেকে কেউ ডাকে। এমন জায়গায় গান? কৌতূহলী নীল তালা ভাঙতে গেল, কিন্তু তালা অটুট। হঠাৎ বৃষ্টির শব্দ ছাপিয়ে ‘ক্লিক’– দরজা নিজেই খুলে গেল, যেন অদৃশ্য হাতের   শারা। ভয়মিশ্রিত উত্তেজনায় নীল ঢুকল। অন্ধকার ঘরে কোণে প্রাচীন গ্রামোফোন সুর ছড়াচ্ছে, কিন্তু গায়ক নেই। নীল খুঁজতে লাগল, পায়ের তলায় মেঝে কাঁপছে যেন। হঠাৎ কুয়াশা উঠে ছায়ামূর্তি ফুটল– মেয়েটির চোখে বিষাদ, ফিকে পোশাক বাতাসে দোলে। তার মুখে নীলেরই প্রতিচ্ছবি!
‘কে তুমি?’ নীলের কণ্ঠ কাঁপে।
আমি নীলা, ‘তার ফিসফিস বৃষ্টির মতো। এ বাড়ির প্রাচীন বাসিন্দা, তোমার অতীত। আমার গান অসমাপ্ত, আমার আত্মা বন্দি। মুক্তি দেবে?’
কীভাবে? ‘নীলের হৃৎপিণ্ড থমকে যায়।
উঠানে লুকানো আমার শেষ পঙ্‌ক্তি গাও।’ নীলা মিলিয়ে গেল।
বৃষ্টিভেজা উঠানে নীল পাথরের ফলক খুঁজে পেল, খোদিত পঙ্‌ক্তি– তার নিজের হাতের লেখা। সে গাইল, সুরে জেগে উঠল হারানো স্মৃতি। নীলা হাসল, কুয়াশায় মিশে গেল। বৃষ্টি থামল, গান শেষ হলো। নীল বুঝল, নীলা তারই ভুলে যাওয়া অতীত, এ বাড়ি তার নিজের হৃদয়। দরজা বন্ধ হলো, কিন্তু নীলের মনে রইল মুক্তির আলো। v
সুহৃদ ফরিদপুর

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এক দিনে তাপমাত্রা কমলো ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঠান্ডা বাতাসে স্বস্তি জনজীবনে

টানা ছয় দিন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহের পর সোমবার সকাল থেকে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেতে শুরু করেছেন দেশবাসী। এতে এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। ফলে মুক্তি মিলেছে তীব্র তাপদাহ থেকে। ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে জনজীবনে।

এদিকে তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি মিললেও ঢাকাসহ ২১ জেলায় বজ্রপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বজ্রপাত হলে ঘরের মধ্যে থাকা, ভ্রমণ এড়িয়ে চলা ও গাছের নিচে আশ্রয় না নেওয়াসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যেসব এলাকায় হঠাৎ তাপমাত্রা কমে গেছে, সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রহমান জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবারও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। 

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, খুলনা বিভাগ বাদ দিয়ে দেশের প্রায় সর্বত্র ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে গেছে। রাজশাহীতে এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে কমেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ২১ জেলায় বজ্রপাতের আভাস রয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরবর্তী ৪ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন জেলায় অস্থায়ীভাবে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি এবং বজ্রপাত হতে পারে। জেলাগুলো হলো– রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদী, রংপুর, গাইবান্ধা, শেরপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, রাঙামাটি ও বান্দরবান।

বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু
বরগুনার আমতলীতে মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কহিনুর নামে এক গৃহবধূ প্রাণ হারিয়েছেন। উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ ডালাচারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন দক্ষিণ গুলিশাখালী গ্রামে বজ্রপাতে শামীম চৌকিদার নামে একজন আহত হয়েছেন। সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মোহাম্মদ ফিরোজ নামে এক কৃষক মারা গেছেন। এ ছাড়া গতকাল হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সুজনপুর গ্রামে বজ্রপাতে আজগর আলী নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ