জেনেভায় কমনওয়েলথ মহাসচিবের প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে অংশ নেবে বাংলাদেশ
Published: 15th, May 2025 GMT
জেনেভায় কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের ৩৭তম সভা অনুষ্ঠিত হবে ১৭ মে। এ সভায় অংশ নেবে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য শিক্ষা) ডা. নাজমুল হোসেন জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে সভায় অংশ নেবেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভাটি ৭৮তম ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলির সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। এটি কমনওয়েলথের নবনিযুক্ত মহাসচিব শার্লি আয়রকোর বোতচওয়ের প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। মহাসচিব বোতচওয়ে ১ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
সভায় মহাসচিব বোতচওয়ের সঙ্গে অংশ নেবেন কমনওয়েলথভুক্ত ২৭০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতের নেতা ও উন্নয়ন অংশীদাররা। স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো ও দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোর ওপর তৈরি হওয়া চাপ মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করা এ আলোচনায় মূল বিষয়। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সাহায্য তহবিল হ্রাস পাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো চরম সংকটে পড়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন লেসোথোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেলিবে মোচোবোরোয়ানে।
এবারের সভার থিম, ‘স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ: ন্যায়সঙ্গত কমনওয়েলথের জন্য টেকসই অর্থায়ন’। এই আলোচনার মাধ্যমে মন্ত্রীরা কীভাবে নতুন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যখাতে সমতা আনা যায় সে বিষয়ে একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেবেন। এছাড়া, কমনওয়েলথভুক্ত নাগরিকের জন্য কীভাবে শক্তিশালী, পরিবেশবান্ধব ও সঠিক অর্থায়নের স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় সেটিও আলোচনায় উঠে আসবে।
এ ব্যাপারে মহাসচিব বোতচওয়ে বলেন, আমরা জানি স্বাস্থ্যে প্রতিটি বিনিয়োগ মানে মানুষের ওপর বিনিয়োগ। এটা উৎপাদনশীলতা, সমৃদ্ধি ও কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যতের ওপরও বিনিয়োগ। কমনওয়েলথ কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে ইতিহাস গড়েছে। এবার আমাদের শুধু নীতিগত আলোচনা নয়, বাস্তব পদক্ষেপের অঙ্গীকার করতে হবে। আমাদের এমন একটি অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে যা মানুষকে রক্ষা করে, বাজেটকে নয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় জলবায়ু সহনশীলতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সবার কাছে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে যেন কেউ বাদ না পড়ে।
গোলটেবিল আলোচনার জন্য নির্ধারিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য খাতে জলবায়ু অর্থায়ন প্রবেশের প্রতিবন্ধকতা, কমনওয়েলথ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স অ্যাকসেস হাব, অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় টেকসই অর্থায়ন, কমনওয়েলথে স্বাস্থ্যকর বার্ধক্যের রোডম্যাপ ও সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার সমতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল টুলে বিনিয়োগ। সভায় ২০২৪ সালের কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কেও মন্ত্রীদের অবগত করা হবে।
জেনেভা সফরের সময় মহাসচিব বোতচওয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সংস্থার প্রধান ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকগুলোর উদ্দেশ্য থাকবে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো ও ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। কমনওয়েলথ অ্যাডভাইজরি কমিটি অন হেলথ ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এই বৈঠকের জন্য সুপারিশ করা মূল ফলাফলগুলোর একটি তালিকা প্রণয়ন করে। সভাপতি হিসেবে লেসোথোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোচোবোরোয়ানে ৩৭তম স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের আলোচনার ভিত্তিতে কমনওয়েলথের ৫৬টি দেশের পক্ষ থেকে ৭৮তম ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলিতে বক্তব্য রাখবেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ব স থ যমন ত র অর থ য ন মন ত র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা মার্চে
প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।
আরো পড়ুন:
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না।
মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”
বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।
২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।
৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক