জেনেভায় কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের ৩৭তম সভা অনুষ্ঠিত হবে ১৭ মে। এ সভায় অংশ নেবে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য শিক্ষা) ডা. নাজমুল হোসেন জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে সভায় অংশ নেবেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।   

সভাটি ৭৮তম ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলির সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। এটি কমনওয়েলথের নবনিযুক্ত মহাসচিব শার্লি আয়রকোর বোতচওয়ের প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। মহাসচিব বোতচওয়ে ১ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

সভায় মহাসচিব বোতচওয়ের সঙ্গে অংশ নেবেন কমনওয়েলথভুক্ত ২৭০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতের নেতা ও উন্নয়ন অংশীদাররা। স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো ও দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোর ওপর তৈরি হওয়া চাপ মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করা এ আলোচনায় মূল বিষয়। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সাহায্য তহবিল হ্রাস পাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো চরম সংকটে পড়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন লেসোথোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেলিবে মোচোবোরোয়ানে।

এবারের সভার থিম, ‘স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ: ন্যায়সঙ্গত কমনওয়েলথের জন্য টেকসই অর্থায়ন’। এই আলোচনার মাধ্যমে মন্ত্রীরা কীভাবে নতুন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যখাতে সমতা আনা যায় সে বিষয়ে একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেবেন। এছাড়া, কমনওয়েলথভুক্ত নাগরিকের জন্য কীভাবে শক্তিশালী, পরিবেশবান্ধব ও সঠিক অর্থায়নের স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় সেটিও আলোচনায় উঠে আসবে। 

এ ব্যাপারে মহাসচিব বোতচওয়ে বলেন, আমরা জানি স্বাস্থ্যে প্রতিটি বিনিয়োগ মানে মানুষের ওপর বিনিয়োগ। এটা উৎপাদনশীলতা, সমৃদ্ধি ও কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যতের ওপরও বিনিয়োগ। কমনওয়েলথ কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে ইতিহাস গড়েছে। এবার আমাদের শুধু নীতিগত আলোচনা নয়, বাস্তব পদক্ষেপের অঙ্গীকার করতে হবে। আমাদের এমন একটি অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে যা মানুষকে রক্ষা করে, বাজেটকে নয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় জলবায়ু সহনশীলতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সবার কাছে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে যেন কেউ বাদ না পড়ে।

গোলটেবিল আলোচনার জন্য নির্ধারিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য খাতে জলবায়ু অর্থায়ন প্রবেশের প্রতিবন্ধকতা, কমনওয়েলথ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স অ্যাকসেস হাব, অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় টেকসই অর্থায়ন, কমনওয়েলথে স্বাস্থ্যকর বার্ধক্যের রোডম্যাপ ও সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার সমতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল টুলে বিনিয়োগ। সভায় ২০২৪ সালের কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কেও মন্ত্রীদের অবগত করা হবে।

জেনেভা সফরের সময় মহাসচিব বোতচওয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সংস্থার প্রধান ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকগুলোর উদ্দেশ্য থাকবে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো ও ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। কমনওয়েলথ অ্যাডভাইজরি কমিটি অন হেলথ ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এই বৈঠকের জন্য সুপারিশ করা মূল ফলাফলগুলোর একটি তালিকা প্রণয়ন করে। সভাপতি হিসেবে লেসোথোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোচোবোরোয়ানে ৩৭তম স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের আলোচনার ভিত্তিতে কমনওয়েলথের ৫৬টি দেশের পক্ষ থেকে ৭৮তম ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলিতে বক্তব্য রাখবেন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব স থ যমন ত র অর থ য ন মন ত র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ