রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
Published: 15th, May 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ এর ব্যানারে শহরে আয়োজিত এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস.
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নাগরিক কমিটির পক্ষে মোস্তাক আহমেদ কিরণ, ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি নান্নু রহমান, ঈশ্বরদী সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস. আলমগীর, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম স্বপন, সামসুজ্জোহা পিপ্পু, আবু সাঈদ লিটন, মনিরুজ্জামান টুটুল, রফিকুল ইসলাম রকি, ইমরুল কায়েস সুমন, রফিকুল ইসলাম নয়ন, ছাত্র সমন্বয়ক ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন সাংবাদিক ওহেদুজ্জামান টিপু।
প্রসঙ্গত, রূপপুর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহেদুল হাছানকে অপসারণের দাবিতে প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্প্রতি আন্দোলনে নামেন। তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। পরবর্তীতে প্রকল্পের পক্ষ থেকে প্রথমে ১৮ জন ও পরে ৮ জনকে বরখাস্ত করা হয়। এক নোটিশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় শৃঙ্খলাবিরোধী বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ ও কর্তব্যে অবহেলা করার দায়ে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একইসঙ্গে প্রকল্প এলাকায় প্রবেশাধিকার বিষয়ে অপর একটি পত্রে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে ২৬ কর্মকর্তা কর্মচারীকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ বন্ধ করা হলো।
তবে বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় অবৈধভাবে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রকৌশলী জানান, তারা সবাই দক্ষতার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানে ন্যায্য দাবি নিয়ে কথা বলায় তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে এনপিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহেদুল হাছান সমকালকে বলেন, যথাযথ তদন্ত ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প বন ব যবস থ প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান ও ধামুইরহাট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি ও ইউএনওর অপসারণের দাবিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলার মঙ্গলকোঠা আবাসিক এলাকায় ধামুইরহাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার লোকজনের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। ময়লা ফেলতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালাম ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে মঙ্গলকোঠা এলাকার এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুই নারীকে মারধর করেন।
গৃহবধূ সামিরন খাতুন বলেন, ‘পৌরসভার লোকজন গাড়িতে করে আমাদের এলাকায় ময়লা ফেলতে এলে এলাকার সবাই মিলে বাধা দিই। বসতবাড়ির আশপাশে ময়লা ফেললে সমস্যা হবে বলে ইউএনওকে ময়লা না ফেলতে এলাকাবাসী অনুরোধ করেন। কিন্তু ইউএনও আমাদের কথা না শুনে আমাকেসহ মিতুকে (অন্তঃসত্ত্বা নারী) নিজেই লাঠি দিয়ে মারধর করেন। আমরা ইউএনওর অপসারণসহ তাঁর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে স্থানীয় আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘ইউএনও আমার গর্ভবতী স্ত্রীর গায়ে তুলেছে সবার সামনে। একজন ইউএনওর আচরণ এমন হলে আমরা বিচার কার কাছে পাব?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা একটি খাস জমিতে ময়লা ফেলতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি ওই এলাকায় গেলে এলাকার কিছু লোক তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেখানে কয়েকজন অবৈধ দখলদার নারী-পুরুষ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আনসারদের গায়ে হাত তোলেন। নারীদের মারধরের অভিযোগের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ‘সেখানে কারও গায়ে হাত তোলা হয়নি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, আজ মানববন্ধন করে কিছু লোক ইউএনওর বিরুদ্ধে নারীকে মারধরের অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।