দেশের ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) ২০২৫-২৭ মেয়াদকালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন হবে আগামীকাল শনিবার। রাজধানীর মিন্টো রোডের শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে। নির্বাচনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সদস্য শ্রেণি থেকে ৯ জন এবং সহযোগী সদস্য শ্রেণি থেকে ৪ জন করে মোট ১৩ জন নির্বাচিত হবেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বনানীর একটি হোটেলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ‘টিম ইউনাইটেড’ প্যানেল পরিচিতি সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আইএসপিএবির সাবেক সভাপতি ও প্যানেল প্রধান আমিনুল হাকিম বলেন, ‘আজ এক সঙ্গে একই ছাদের নিচে প্রায় দুই শতাধিক সদস্য একত্র হয়েছেন। তার মানে বোঝাই যাচ্ছে আমরা কেউই আইএসপিএবিতে প্রশাসক নিয়োগের পক্ষে নই। আমাদের সংগঠন আমরা আমাদের সদস্যদের নিয়েই চালাব।’

অনুষ্ঠানে আইসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আইসপিএবির বর্তমান ও সাবেক চারজন সভাপতি উপস্থিত রয়েছেন। আমাদের সবার উপস্থিতি প্রমাণ করে আমরা আইসপিএবিতে প্রশাসক চাই না। প্রশাসক চাই না বলেই নির্বাচন ১০ মাস এগিয়ে নিয়ে এসেছি।’

নির্বাচন যথাসময়ে না হওয়ার কোনো আশঙ্কা আছে কি না, তা জানতে চাইলে আমিনুল হাকিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটা মহল চাচ্ছে আইসপিএবিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হোক, কিন্তু আমাদের সদস্যরা সেটা চায় না। আর তাই নির্বাচন যথাসময়ে হবে বলে আমরা আশা করছি। তবে একটি মহল এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে।’

অনুষ্ঠানে আইএসপিএবির সাবেক সভাপতি এসএম ইকবাল ও সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুনই-ক্যাব নির্বাচন স্থগিত, বিরক্ত সংগঠনের সদস্য ও প্রার্থীরা১৪ মে ২০২৫

নির্বাচনে সাধারণ সদস্য শ্রেণিতে ৯টি পদের বিপরীতে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন মো.

আজহারুল হক চৌধুরী, মো. ইরফান উদ্দিন, মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম, মো. আসাদুজ্জামান, মো. শরিফুল ইসলাম, মাহবুব আলম, সাব্বির আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মো. মিঠু হাওলাদার, নাজমুল করিম ভূঁইয়া, মো. রেজাউল ইসলাম, মো. নেয়ামুল হক খান, রাশেদুর রহমান এবং মইন উদ্দিন আহমেদ। সহযোগী সদস্য শ্রেণিতে চারটি পদের বিপরীতে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন তারিক হাসান, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন, মো. জুবায়ের ইসলাম, মোহাম্মদ শাহজাহান, মো. ইস্তাম্বুল হক, এ এম সাইফুল ইসলাম সেলিম, মো. নাছির উদ্দীন, রাইসুল ইসলাম ও আনোয়ার আহমেদ। অর্থাৎ মোট ২৪ জন প্রার্থী হতে ১৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন করা হবে।

নির্বাচনে পাঁচ সদস্যের অপর প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইএসপিএবির সাবেক সহসভাপতি মো. আজহারুল হক চৌধুরী। প্যানেলের সদস্যরা হলেন, মো. আজহারুল হক চৌধুরী, মো. ইরফান উদ্দিন, মো. শরিফুল ইসলাম, সাব্বির আহমেদ ও মো. রেজাউল ইসলাম।

মো. আজহারুল হক চৌধুরী আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। দিন শেষে তথ‍্যপ্রযুক্তি খাতের সবাইকে একসঙ্গেই কাজ করতে হবে। আর তাই নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের হট্টগোল না হয়, সে বিষয়ে নির্বাচন বোর্ডকে খেয়াল রাখতে বলেছি। আমাদের প্যানেলের সদস্যরা বিজয়ী হবে বলে আমি আশাবাদী।’

আরও পড়ুনঅভিভাবকশূন্য বেসিস০৬ মে ২০২৫

আইএসপিএবির সাধারণ ও সহযোগী সদস্য শ্রেণিতে ভোটার সংখ্যা যথাক্রমে ২৬৩ ও ৫৯৯। আইএসপিএবি নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রাকিব হোসেন ও মো. এরশাদ হোসেন। নির্বাচনী আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে  হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) একে এম শামছুল ইসলাম। সদস্য হিসেবে রয়েছেন লে. কর্নেল আহম্মদ (অব.) দানিয়া ইসলাম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নিহার হোসেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য শ র ণ ম হ ম মদ আম দ র স অন ষ ঠ ন ল ইসল ম র সদস য আহম দ করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবর সামা টিভির।

আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এতে পাঁচজন সেনা নিহত হন। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ‘সুপার ফোরে’ এক পা ভারতের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের মামুলি সংগ্রহ

নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।

আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের ত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শুধু গত এক সপ্তাহেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযানে তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপারেশন চলমান থাকবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত