ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানা ঘেরাও কর্মসূচি করেছেন সহপাঠী এবং শিক্ষার্থীরা। এদিকে সাম্যের জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করে ছাত্রদল।

গতকাল শুক্রবার শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হন। তারা ‘বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্রসমাজ’-এর ব্যানারে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে, এরপর সেখান থেকে শাহবাগ থানা ঘেরাও করেন।

এ সময় সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার, সুষ্ঠু বিচার, নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। থানার ফটকে পুলিশ সদস্যরা আগে থেকে অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা তাদের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। পরে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুস সালাম, অসীম দাস, সিরাজুল ইসলাম ও চার ছাত্র প্রতিনিধি পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেন।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মুন্সী জানান, নির্দলীয় ব্যানারে তারা আন্দোলন করছেন। কারণ সাম্যের লাশ নিয়ে রাজনৈতিক টালবাহানা চলছে। তাদের মূল দাবি বিভিন্নজনের পদত্যাগ। কিন্তু যারা থানাও ঘেরাওয়ে এসেছেন, তাদের প্রধান দাবি সাম্য হত্যার বিচার।
তিনি বলেন, সাম্য হত্যার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাঁকে ছুরিকাঘাতকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা কারও ওপর হামলা, কাউকে পদত্যাগের দাবি জানাতে আসিনি। আমরা প্রধান আসামির গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি নিয়ে এসেছি।

সাম্যের সহপাঠী তৌফিক-উল ইসলাম বলেন, সাম্য হত্যার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের কোনো প্রচেষ্টা দেখছি না। পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে, তারা জড়িত থাকলেও হোতা নয়। বাকি আসামিদের কেন ধরা হচ্ছে না, তার জবাবদিহি করতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা না হলে অহিংস আন্দোলন অন্য রূপ নেবে।

গত ১৩ মে রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাম্য। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করেছে। ঘটনার রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাম্যের সঙ্গে থাকা সহপাঠীরা বলেছেন, হামলাকারী ১০-১২ জন ছিল। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রদল। তাদের দাবি, উপাচার্য-প্রক্টর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সাম্যের জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আসর নামাজের পর দোয়া অনুষ্ঠানে সাম্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। 
এ সময় ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, যেসব শিক্ষার্থী নিরাপদ শিক্ষাঙ্গনের স্বপ্ন দেখে, তারা সাম্যের শোকে বিমূঢ়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এখনও জানি না, হত্যাকাণ্ডের আড়ালে কে রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য গ র প ত র কর স ম য হত য হত য ক ণ ড ছ ত রদল সহপ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালির হার্ডওয়্যার ভালো থাকলেও সফটওয়্যার ভালো ছিল না

মানুষ এমন এক জীবন যাপন পদ্ধতি বেছে নিয়েছে যেখানে তার মস্তিষ্ক, চোখ এবং পাকস্থলির ওপর বেশি চাপ প্রয়োগ করছে। আর তাতেই গড় আয়ু পেরোনোর আগেই মরে যাচ্ছে মানুষ—এমনটাই মনে করেন ভারতের বিখ্যাত ইয়োগা গুরু বাবা রামদেব।  বলিউডজুড়ে ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যুর কারণ নিয়ে একদিকে বিতর্ক শুরু হয়েছে অন্যদিকে রামদেব বলছেন, ‘‘শেফালির হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’- ভালো ছিল না। অর্থাৎ বাইরে থেকে শেফালিকে সুস্থ মনে হলেও তিনি ভেতরে ভেতরে অসুস্থ ছিলেন।

পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা গেছে,  শেফালির রক্তচাপ দ্রুত কমে যাওয়ার কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়। তার ফলেই মৃত্যু হয়। রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে  গ্লুটাথিয়ন নামের এক রাসায়নিক। যা প্রাথমিকভাবে বয়স প্রতিরোধী ওষুধের (অ্যান্টি এজিং) মধ্যে পাওয়া যায়। শেফালির বাড়ি থেকেও বার্ধক্য প্রতিরোধকারী ওষুধের ২টি বাক্স খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ফলে সেই ওষুধের প্রভাবেও হঠাৎ কমে যেতে পারে রক্তচাপ।

অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার ভালো না মন্দ সেই বিতর্কে না গিয়ে রামদেব বলেছেন, ‘‘মানুষের স্বাভাবিক গড় আয়ু ১০০ বছর নয়, বরং ১৫০ থেকে ২০০ বছর।’’

আরো পড়ুন:

শুভ জন্মদিন জয়া আহসান

‘নাটকটি দেখে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব না’


বাবা রামদেব বলেন, ‘‘মানুষ নিজের মস্তিস্ক, চোখ, পাকস্থলীর ওপর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চাপ দিয়ে ফেলে। যে খাবার ১০০ বছরে একজন মানুষের খাওয়া উচিত, সেই খাবারই মাত্র ২৫ বছরে খেয়ে নেয় মানুষ।’’

এই যোগগুরুর বষয় ৬০ বছর পেরিয়েছে। কিন্তু তিনি যথেষ্ট সুস্থ আছেন বলে দাবি করেছেন। কেবলমাত্র সঠিক খাবার গ্রহণ এবং জীবনধারণের জন্যই সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছেন রামদেব।

রামদেবে মতে কেবলমাত্র বাইরে থেকে নয়, প্রকৃত সুস্থ থাকার অর্থ ভেতর থেকেও সবল থাকা। সুস্থ থাকার জন্য তাই নিজের জীবনে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট থাকতে হবে। খাদ্যাভাস, আচার ব্যবহার, সব কিছুর ওপরেই সুস্থ থাকা নির্ভরশীল।
 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ