প্রথম ওভারেই রোহিতকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
Published: 21st, May 2025 GMT
প্লে অফে টিকে থাকার লড়াইয়ে নেমেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সেরও একই চ্যালেঞ্জ। গুরুত্বপূর্ণ ওই ম্যাচে বল হাতে নিয়েই উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফিরিয়েছেন মুম্বাইয়ের মারকুটে ব্যাটার রোহিত শর্মাকে।
মুস্তাফিজের দল দিল্লি টস জিতে বোলিং নেয়। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিং করতে আসেন মুস্তাফিজ। নিজের করা দ্বিতীয় বলেই ৫ বলে ৫ রান করা রোহিত শর্মাকে ক্যাচে পরিণত করেন। প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দেন তিনি।
পরের ওভারে বোলিং এসে অবশ্য মুস্তাফিচ ১২ রান খরচা করেন। তবে ওই ওভারেও তার কাটারের জাদুতে দু’বার উইকেট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেন তিনি।
মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ হারলেই আসর থেকে বিদায় লেখা হয়ে যাবে দিল্লির। জিতলে টিকে থাকবে প্লে অফের আশা।
টুর্নামেন্টে দিল্লি ১২ ম্যাচ খেলে ১৩ পয়েন্ট তুলেছে। সমান ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট মুম্বাইয়ের। দিল্লির বিপক্ষে মুম্বাই জিতলে ১৬ পয়েন্ট হয়ে যাবে রোহিত শর্মাদের। সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে দিল্লি জিতলেও বিদায় নিতে হবে।
অন্যদিকে দিল্লি জয় পেলে মুম্বাইকে হটিয়ে চারে উঠে যাবেন মুস্তাফিজরা। তবে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জিতলে প্লে অফ নিশ্চিত নয় দিল্লির। শেষ ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষেও জিততে হবে। অথবা শেষ ম্যাচেও মুম্বাইয়ের হার প্রার্থনা করতে হবে। চলতি আসরে এরই মধ্যে গুজরাট, বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব প্লে অফ নিশ্চিত করেছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ ল ল ক য প ট লস ম স ত ফ জ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুর্শিদাবাদ দাঙ্গা: তৃণমূলের এক নেতা ও পুলিশকে দায়ী কলকাতা হাইকোর্টের গঠন করে দেওয়া কমিটির
কলকাতা হাইকোর্টের গঠন করে দেওয়া তিন সদস্যের কমিটি মুর্শিদাবাদের দাঙ্গার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের এক স্থানীয় নেতা ও পুলিশকে দায়ী করেছে। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা গেছে।
প্রতিবেদনের এক নম্বর অনুচ্ছেদে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মেহবুব আলমের কথা উল্লেখ করে হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘আক্রমণগুলি স্থানীয় কাউন্সিলর মেহবুব আলম পরিচালনা করেছিলেন। স্থানীয় পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় এবং অনুপস্থিত ছিল।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুর্বৃত্তরা একটি পানির বোতলের দোকান ধ্বংস করেছে এবং ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকাসহ ক্যাশ বাক্স লুট করেছে। ধুলিয়ান পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত একটি শপিং মলও সম্পূর্ণভাবে লুটপাট করা হয়েছে এবং তা বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় ঘোষপাড়ায় ২৯টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, উত্তম মুর্শিদাবাদের ‘সমসেরগঞ্জ, হিজলতলা, শিউলিতলা, (এবং) ডিগ্রির বাসিন্দারা তাদের মুখ ঢেকে এসেছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর মেহবুব আলম দুর্বৃত্তদের সঙ্গে ১১ এপ্রিল ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) স্থানীয় বিধায়কও [ঘটনাস্থলে] উপস্থিত ছিলেন। তিনি ভাঙচুর দেখে চলে যান। তবে ১২ এপ্রিলও (শনিবার) সহিংসতা অব্যাহত ছিল।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াক্ফ সংশোধনী বিলকে কেন্দ্র করে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়। গত ১১ এপ্রিল তিনজন নিহত ও অনেকে আহত হন। বেশ কিছু দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং আগুন লাগানো হয়।
সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন তদারকি করার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট গত মাসে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। কমিটিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার যোগিন্দর সিং, পশ্চিমবঙ্গ আইনি পরিষেবার সদস্যসচিব সত্য অর্ণব ঘোষাল এবং পশ্চিমবঙ্গ বিচার বিভাগীয় পরিষেবার রেজিস্ট্রার সৌগত চক্রবর্তীকে রাখা হয়েছে।
গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে এক নির্দেশে বলেছিলেন, মুর্শিদাবাদের সংঘর্ষে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ওই অঞ্চলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একটি চৌকি স্থায়ী ভাবে রাখার জন্য স্থানীয় মানুষ আবেদন করেছেন। রাজ্য সরকার এই আবেদনটি বিবেচনা করে দেখতে পারেন।