দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান তুলেছিল। জবাবে ৩ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করে ভালো অবস্থানেই ছিল প্রোটিয়ারা। তৃতীয় দিন বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের ঘূর্ণিতে ২৪৩ রানে অলআউট হয় তারা। 

শেষ বিকেলে ৬৫ রানের লিডের স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। যদিও তৃতীয় দিন শেষে ৫ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। তবে ৭০ রানের লিডে ম্যাচ বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের নিয়ন্ত্রণেই আছে। 

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটার আশিকুর রহমান শিবলি ১০৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। 

দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের হয়ে ওপেনার মোহাম্মদ মানাক ৩৫ ও এনতান্দো জুমা ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। তিনে নামা অধিনায়ক জর্জ ফন হেরডেন ৬৩ রান করেন। এছাড়া মিডলের রিচার্ড সেলেটসোয়ানে ও লোয়ারের আন্দালি মোকগাকানে ৪৩ করে রান যোগ করেন। 

দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলকে ধসিয়ে দেওয়া রাকিবুল ৩১.

৪ ওভার হাত ঘুরান। ৬৪ রান দিয়ে তিনি ওই ৭ উইকেট নেন। এছাড়া পেসার রিপন মন্ডল নেন ২ উইকেট। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে তিয়ান ফন ভুরেন ৩ উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি উইকেট পেয়েছেন।    

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম ইন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি

পটুয়াখালীতে স্থানীয় পর্যায়ে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওই বিজ্ঞপ্তির কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সম্প্রতি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী সালিস বৈঠকে অংশ নিয়ে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা এ বিষয়ে ফেসবুকে নানা মন্তব্য তুলে ধরে ক্ষোভ জানিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা বিএনপি এই বিজ্ঞপ্তি দেয়।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টোটন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। সংকটময় মুহূর্ত আসছে, তাই দলীয় নেতা-কর্মীরা যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় না জড়ান, তাই তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে।’

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামী সংগঠন। এই দলের প্রত্যেক কর্মী জনগণের আস্থার প্রতীক এবং আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রণী সৈনিক। তাই দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো নেতা-কর্মী স্থানীয় পর্যায়ে কোনো প্রকার সালিস, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ বা পক্ষপাতদুষ্ট এবং মধ্যস্থতাকারী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না।

একই সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচি এবং জনগণের পাশে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নেতা-কর্মীদের সদা হাস্যোজ্জ্বল, ভদ্র ও অমায়িক আচরণমুখী হতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ