রাজধানীর শ্যামলীতে চাপাতি ধরে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মুঠোফোন ও মানিব্যাগ নেওয়ার পর তাঁর গায়ের কাপড় ও জুতাও নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে শ্যামলীর একটি গলিতে এ ঘটনা ঘটে।

ছিনতাইয়ের শিকার শিমিয়ন ত্রিপুরা (৩০) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ছিনতাইয়ের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে আজ শনিবার একটি মামলা করেছেন তিনি।

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

ইমাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শ্যামলীতে এক বেসরকারি চাকরিজীবীকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর ভয় দেখিয়ে মুঠোফোন ও টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর পরনের জামা ও জুতাও নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এই ছিনতাইয়ে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে ওসি ইমাউল হক জানিয়েছেন।

ছিনতাইয়ের শিকার শিমিয়ন ত্রিপুরা মামলায় বলেছেন, তিনি ধামরাইয়ে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন, থাকেন শ্যামলীতে। গতকাল সকাল ছয়টার সময় সাভারের উদ্দেশে তিনি শ্যামলীর বাসা থেকে রওনা হন। তিনি যখন শ্যামলীর মেরি গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পূর্ব পাশে আসেন, তখন পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল এসে থামে। মোটরসাইকেল থেকে নেমে আসা তিনজন চাপাতির ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন, মানিব্যাগ, ক্রেডিট কার্ড ছিনিয়ে নেয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, টাকাপয়সা, মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার পর ছিনতাকারীরা ওই ব্যক্তির পরনে থাকা জামা ও জুতা খুলতে বাধ্য করে এবং সেগুলো নিয়ে যায় তারা।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তিউনেসিয়ায় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খবর না দেখায় কারাদণ্ড

টেলিভিশনে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজন তিউনিসীয় বন্দীকে বাড়তি আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা এবং ওই বন্দীর আইনজীবী গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।

আইনজীবী আদেল সাগাইর বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রথমে দণ্ডবিধির ৬৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই ধারা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। পরে মামলাটির রাজনৈতিক দিকটি আড়াল করতে ওই ধারা পরিবর্তন করে জনসমক্ষে অশোভন আচরণের অভিযোগ আনা হয়।

তিউনিসিয়া লিগ ফর হিউম্যান রাইটসের গাফসা শহর শাখা জানায়, ওই বন্দী তাঁর কারাকক্ষের টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। 

সাইদ ২০১৯ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ২০২১ সালে একচেটিয়াভাবে দেশটির সার্বিক ক্ষমতা দখল করেন। এর পর থেকে ডিক্রি দিয়ে শাসন করেছেন।

গত বছরের অক্টোবরে উত্তর আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পান কাইস সাইদ। তবে নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ