রাস্তার ভাঙন রোধে চার গ্রামের মানুষের পাশে জনপ্রতিনিধি
Published: 24th, May 2025 GMT
বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের চারটি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা একটি কাঁচা রাস্তা। প্রতিবছর বর্ষায় হাওরের ঢেউয়ে রাস্তাটি ভেঙে পড়ে। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয়দের।
দুর্ভোগ থেকে স্থানীয়দের মুক্তি দিতে এবার নিজেই এগিয়ে এলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম। ভাঙন ঠেকাতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ গাইডওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে।
ইতোমধ্যে গাইডওয়ালের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এটি বাস্তবায়িত হলে তাদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখার সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাড্ডা গ্রামের ফয়সল আহমদের বাড়ির সামনে থেকে দশঘড়ি ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা রয়েছে। এটি ইউনিয়নের দশঘড়ি, খাগফারা, রাঙিনগর ও বাড্ডা গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের চলাচলের পথ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সোহাগ হত্যাকাণ্ড আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে: ব্যারিস্টার আনিস
পুরোনো ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
দেশে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ও সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে শনিবার বিকালে গুলশানে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিষ্টার আনিস বলেন, ‘‘রাজধানীর পুরান ঢাকায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনা নৃশংস, বর্বর, হৃদয়বিদারক। এই ঘটনায় পুরো দেশের মানুষ স্তব্ধ, ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা খারাপ হলে দিনদুপুরে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটতে পারে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানীতে একজন নিরীহ নাগরিককে এভাবে জীবন দিতে হবে— এটা কল্পনাতীত।’’
তিনি বলেন, ‘‘শুধু পুরান ঢাকার হত্যাকাণ্ডই নয়, দেশে প্রতিনিয়ত এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এমন অমানবিকতা, এমন হিংস্রতা আমাদের মানবিক মূল্যবোধ, সমাজের নৈতিকতা এবং আইনের শাসনকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’’
এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ব্যারিস্টার আনিস।
সভায় দলের কো চেয়ারম্যান এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘‘দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এখন মারাত্মক হুমকির মুখে। যারা পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা শুধু একজন মানুষকে হত্যা করেনি, তারা রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি আমাদের বিশ্বাসকেই রক্তাক্ত করেছে।’’
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে হত্যা, ধর্ষণ চাঁদাবাজি ডাকাতি ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে হাওলাদার বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। মানুষকে শান্তি দিতে হলে সরকারকে যে কোনো মূল্যে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে দমন করতে হবে।’’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর উত্তর সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আকতার, মহানগর উত্তরের নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন পাঠান, আমানত হোসেন,, দক্ষিণের নেতা সারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, মাসুক আহমেদসহ জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//