হার্ভার্ডে ভর্তির চিঠি হাতে নিয়েও খুশি হতে পারছেন না লিন
Published: 25th, May 2025 GMT
তাইওয়ানের শিক্ষার্থী ইউ-হুসুয়ান লিন। যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার স্বপ্ন তাঁর। সুযোগও পেয়েছেন। হার্ভার্ডে ভর্তির চিঠি লিনের হাতে এসেছে। আসছে সেপ্টেম্বরে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু হঠাৎই সবকিছু যেন অনিশ্চয়তার মেঘে ঢেকে গেছে।
হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কারণে লিনের এই অনিশ্চয়তা। তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে বসে রয়টার্সকে সেই গল্প বলেন লিন। তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন পূরণে আমার যাত্রা যতটা কঠিন হবে ভেবেছিলাম, তার চেয়েও বেশি কঠিন হয়েছে। এখনো বেশ কিছু অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।’
লিন আরও বলেন, ‘বছরের অর্ধেকজুড়ে যেসব পরিবর্তন এসেছে, ভেবেছিলাম তা মেনে নেওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু এ নিয়ম বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাই মনে হচ্ছে, এতে আমি সত্যি ভুক্তভোগী হয়েছি। এ জন্য আমি কিছু্টা উদ্বিগ্ন।’
এই উদ্যোগকে কেমব্রিজসহ যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান প্রচারের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এ নিয়ম মার্কিন সংবিধান ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’।
আরও পড়ুনহার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে ট্রাম্পের পরিকল্পনা সাময়িক স্থগিত করলেন আদালত২৩ মে ২০২৫যদিও গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরের একটি আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের এ আদেশ আটকে দিয়েছেন। এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার অপেক্ষায় থাকা লিনের মন থেকে অনিশ্চয়তার মেঘ কাটছে না।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সামনে এখন দুটি বিকল্প। হার্ভার্ডে পড়াশোনার স্বপ্ন আপাতত স্থগিত রাখা। কিংবা যুক্তরাজ্য বা ইউরোপের অন্য কোনো দেশে মাস্টার্সের জন্য আবেদন করা, এমনটাই বলেন লিন।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও কি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ বাতিল হচ্ছে২৩ মে ২০২৫ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এ সিদ্ধান্তের কারণে তাইওয়ানের ৫২ জন শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী হতে পারেন। তাইওয়ানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে দ্বীপটির সরকারি কেন্দ্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
তাইওয়ানের আরেক শিক্ষার্থী ভিন্স এ বছর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জনস্বাস্থ্য নিয়ে পড়াশোনা শুরু করার পরিকল্পনা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই বেশ বিচলিত বোধ করছি। তাইওয়ানের একটি ছোট শহর থেকে হার্ভার্ড অবধি আসাটা আমার জন্য একটি স্বপ্নের মতো।’
আরও পড়ুনহার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন২২ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি
মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে।
আরো পড়ুন:
জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ