নির্মাণকাজে সিমেন্ট ব্যবহারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন
Published: 25th, May 2025 GMT
‘সাধারণ সিমেন্ট দিয়ে ছাদ ঢালাই শেষ করতে সময় লাগে অন্তত ২১ দিন। আর র্যাপিড হার্ডেনিং ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট দিয়ে একই কাজে সময় লাগে ১৪ থেকে ১৫ দিন। ফলে র্যাপিড সিমেন্টে নির্মাণ ব্যয় ও সময় দুটিই কমে। নির্মাণে সিমেন্ট ব্যবহারে তাই সবার সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’
সমকালের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন ড্রিম হোম আর্কিটেকচার অ্যান্ড বিল্ডার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও স্থপতি মর্জিনা আক্তার মনি।
অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টে ভবনের কাঠামো ও ফিনিশিং দুটিই অনেক ভালো হয়। আরেকটি সুবিধা হলো কাজের সময় হঠাৎ বৃষ্টি এলেও কোনো সমস্যা হয় না। কারণ এই সিমেন্ট খুব দ্রুত শক্ত হয়ে যায় বা জমাট বাঁধে।’
স্থপতি মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘যেহেতু র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট দ্রুত শক্ত হয়, তাই এতে নির্মাণ ব্যয় অনেক কমে আসে। সাধারণ সিমেন্ট দিয়ে ৫টি ছাদ ঢালাইয়ে সাড়ে তিন মাস লাগে, র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টে সেই কাজ করা যায় আড়াই মাসে।’
নিজের কাজের নিদর্শন রাখতে চান স্থপতি মর্জিনা আক্তার, একটি দৃষ্টিনন্দন নগরী গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। তবে দেশে নির্মাণশিল্পে নারীরা কম আসছেন বলে মনে করেন তিনি। মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘নরসিংদী পৌরসভা বা কোথাও স্থপতি হিসেবে যখন যাই, তখন অনেকে অবাক হন। কারণ সচরাচর তারা নারীকে স্থপতি হিসেবে দেখেন না।’ নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, ভৈরব, কুলিয়ারচরসহ আশপাশে আর কোনো নারী স্থপতি নেই বলে জানান তিনি।
ড্রিম হোম আর্কিটেকচার অ্যান্ড বিল্ডার্স তাঁর নেতৃত্বে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্থপতি মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘কাজের মধ্যে বেঁচে থাকতে চাই। এক দিন থাকব না নিশ্চিত; কিন্তু আমার কাজ থাকবে, যার মাধ্যমে মানুষ আমাকে মনে রাখবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স থপত
এছাড়াও পড়ুন:
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। ভক্তদের কাছে তিনি থালা অজিত নামেই পরিচিত। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছিল এটি। এরই মাঝে গুঞ্জন উড়ছে, পারিশ্রমিক বাড়াতে যাচ্ছেন অজিত।
পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজিত কুমারের পরবর্তী সিনেমা ‘একে৬৪’। এখনো সিনেমাটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। গুঞ্জন অনুযায়ী, এ সিনেমার জন্য অজিত কুমার তার পারিশ্রমিক ১৫০ কোটি রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৭-২৪১ কোটি টাকার বেশি) করতে পারেন।
আরো পড়ুন:
মুক্তির আগেই কত টাকা আয় করল ‘কানতারা টু’?
আমি খুব কেঁদেছিলাম: মোহিনী
অজিত কুমার মনে করেন—‘সাধারণ গল্পের সিনেমাকেও রাজকীয়ভাবে উপস্থাপন করা উচিত।’ এই কারণে, সিনেমাটির বাজেট সম্ভবত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপির মধ্যে হতে পারে। তবে অজিতের টিমের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা নির্মাণ করেন পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন। ‘একে৬৪’ সিনেমাও তারই নির্মাণের কথা রয়েছে। রেসিং সিজনের বিরতিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ অজিত কুমার তখন তার সিনেমার দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবেন। শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমা সব ধরণের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে, যেখানে ‘গুড ব্যাড আগলি’ কেবল অজিত ভক্তদের কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল।
ঢাকা/শান্ত