ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির নতুন উপাচার্য ফরিদ আহমদ সোবহানী
Published: 25th, May 2025 GMT
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী। গতকাল শনিবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স রুমে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা, সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মো.
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে যোগদানের আগে ফরিদ আহমদ সোবহানী ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের বিভিন্ন অনুষদে ডিন ও অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী দক্ষিণ আফ্রিকার সোল প্লাতজে ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর, অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব বিজনেস লিডারশিপের রিসার্চ ফেলো এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজির (মারা) ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একাডেমিকসের সভাপতি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্স অর্গানাইজেশনসের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী। পরবর্তী সময়ে বেলজিয়ামের ইউনিভার্সিটি অব এন্টওয়ার্প থেকে প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি সায়েন্স মালয়েশিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। হিসাববিজ্ঞান, করপোরেট প্রতিবেদন, করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং নেতৃত্ব বিষয়ে দেশি-বিদেশি স্বীকৃত জার্নালে প্রায় ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট র ব শ বব দ য কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব