জানেন কি, মসজিদে নববিতে ৫টি মিহরাব
Published: 25th, May 2025 GMT
মসজিদে নববি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর মসজিদ। তিনি নিজে এই মসজিদ নির্মাণে অংশ নিয়েছেন এবং এর সংলগ্ন ঘরে বাকি জীবন কাটিয়েছেন। এখনো তাঁর ‘রওজা’ এই মসজিদের ভেতরেই। এই মসজিদে প্রবেশ করলে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি স্বভাবত এর অপূর্ব মিহরাবগুলোর দিকে যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, মিহরাবে সৌন্দর্যবর্ধনের ইতিহাস শুরু হয় ৮৮৮ হিজরিতে সুলতান কায়তবাইয়ের (১৪৬৮-১৪৯৬ খ্রি.
মসজিদে নববিতে মোট ৫টি মিহরাব রয়েছে। এর কোনোটি নবীযুগে নির্মিত, কোনোটি পরবর্তী যুগের ‘খলিফারা’ যুক্ত করেছেন।
১. মিহরাবে নববি
মিহরাবে নববি হলো মহানবী (রা.)-এর ব্যবহৃত মিহরাব। এখনো মিহরাবটি সেই স্থানে অবস্থিত, যেখানে নবী মুহাম্মদ (সা.) নামাজের ইমামতি করতেন। আজও মসজিদে নববীর ইমাম এই একই স্থান থেকে নামাজের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন মদিনা যাত্রায় মনের কোণে যত কথা২১ জুন ২০২৪মিহরাবে সৌন্দর্যবর্ধনের ইতিহাস শুরু হয় ৮৮৮ হিজরিতে সুলতান কায়তবাইয়ের (১৪৬৮-১৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দ) নেতৃত্বে। পরবর্তী সময়ে বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ লক্ষ করেন, মিহরাবগুলো তাদের মূল রূপ ও সৌন্দর্য হারাচ্ছে।২. মিহরাবে তাহাজ্জুদ
মিহরাবে তাহাজ্জুদ মসজিদের উত্তর দিকের ঘরে অবস্থিত। এটি সেই স্থানের প্রতীক, যেখানে নবীজি (সা.) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। ইতিহাসবিদদের মতে, ৬৪৩ হিজরিতে ইবনে নাজ্জারের সময় এই মিহরাব ছিল, কিন্তু পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়। উসমানীয় শাসকেরা পরবর্তীকালে লাল পাথর দিয়ে আবার তা নির্মাণ করেন। মিহরাবে তাহাজ্জুদের আয়াত সোনার অক্ষরে খোদিত আছে।
৩. মিহরাবে ফাতেমা
মিহরাবে ফাতেমা নবীজির (সা.)-এর ‘হুজরা’র (কক্ষ) ভেতরে অবস্থিত। এটি মামলুক যুগে নির্মিত হয় এবং মিহরাবে নববীর সঙ্গে এর বেশ মিল রয়েছে।
৪. মিহরাবে উসমানি
মিহরাবে উসমানি মসজিদের কিবলামুখী দেয়ালে নির্মিত। এটি প্রথম নির্মাণ করেন উমাইয়া খলিফা আল-ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিক। পরে ৮৮৮ হিজরিতে সুলতান কায়তবাই এটি সংস্কার করে নতুন রূপ দেন।
৫. মিহরাবে সুলায়মানি
মিহরাবে সুলায়মানি নবম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে নির্মিত এবং মসজিদে নববীর মিম্বরের পশ্চিমে তৃতীয় স্তম্ভে অবস্থিত। ৯৪৮ হিজরিতে সুলতান সুলায়মান খান এটি পুনর্নির্মাণ করেন এবং এর নামকরণ করেন মিহরাবে সুলায়মানি। তিনি এতে সাদা ও কালো ফুলের নকশাযুক্ত পাথর স্থাপন করেন, যা আজও রয়েছে।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফর্মেশন ডটকম
আরও পড়ুনকাবা সম্পর্কে যে ৯টি তথ্য জানা উচিত২১ মে ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন দর য অবস থ ত পরবর ত ণ কর ন মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলার অভিযোগে নোবিপ্রবি কর্মকর্তা আটক
গত বছর জুলাইয়ে চলাকালীন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি হামলার অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা হলেন, নোবিপ্রবির আইন বিভাগের সেকশন অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা মামুনকে তার কর্মস্থল থেকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নোবিপ্রবিতে জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
শিক্ষার্থীদের ৪টি কাউন্সিল গঠন করা হবে: নোবিপ্রবি উপাচার্য
মামুন জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মালেক মেম্বারের ছেলে এবং আত্মগোপনে থাকা বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী ছিলেন।
ছাত্ররা অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনে আবদুল্লাহ আল মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দেশীয় অস্ত্র হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। বুধবার ওই ঘটনার ছবি-ভিডিও প্রকাশ হলে তাকে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয় ।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আভিযোগ তদন্তের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নোবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে নোবিপ্রবি থেকে আবদুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সুজন/মেহেদী