মসজিদে নববি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর মসজিদ। তিনি নিজে এই মসজিদ নির্মাণে অংশ নিয়েছেন এবং এর সংলগ্ন ঘরে বাকি জীবন কাটিয়েছেন। এখনো তাঁর ‘রওজা’ এই মসজিদের ভেতরেই। এই মসজিদে প্রবেশ করলে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি স্বভাবত এর অপূর্ব মিহরাবগুলোর দিকে যায়।

ইতিহাসবিদদের মতে, মিহরাবে সৌন্দর্যবর্ধনের ইতিহাস শুরু হয় ৮৮৮ হিজরিতে সুলতান কায়তবাইয়ের (১৪৬৮-১৪৯৬ খ্রি.

) নেতৃত্বে। পরবর্তী সময়ে বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ লক্ষ করেন, মিহরাবগুলো তাদের মূল রূপ ও সৌন্দর্য হারাচ্ছে। তাই তিনি ১৪০৪ হিজরিতে এর খিলানগুলো সংস্কার করেন।

মসজিদে নববিতে মোট ৫টি মিহরাব রয়েছে। এর কোনোটি নবীযুগে নির্মিত, কোনোটি পরবর্তী যুগের ‘খলিফারা’ যুক্ত করেছেন।

১. মিহরাবে নববি

মিহরাবে নববি হলো মহানবী (রা.)-এর ব্যবহৃত মিহরাব। এখনো মিহরাবটি সেই স্থানে অবস্থিত, যেখানে নবী মুহাম্মদ (সা.) নামাজের ইমামতি করতেন। আজও মসজিদে নববীর ইমাম এই একই স্থান থেকে নামাজের নেতৃত্ব দেন।

আরও পড়ুন মদিনা যাত্রায় মনের কোণে যত কথা২১ জুন ২০২৪মিহরাবে সৌন্দর্যবর্ধনের ইতিহাস শুরু হয় ৮৮৮ হিজরিতে সুলতান কায়তবাইয়ের (১৪৬৮-১৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দ) নেতৃত্বে। পরবর্তী সময়ে বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ লক্ষ করেন, মিহরাবগুলো তাদের মূল রূপ ও সৌন্দর্য হারাচ্ছে।

২. মিহরাবে তাহাজ্জুদ

মিহরাবে তাহাজ্জুদ মসজিদের উত্তর দিকের ঘরে অবস্থিত। এটি সেই স্থানের প্রতীক, যেখানে নবীজি (সা.) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। ইতিহাসবিদদের মতে, ৬৪৩ হিজরিতে ইবনে নাজ্জারের সময় এই মিহরাব ছিল, কিন্তু পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়। উসমানীয় শাসকেরা পরবর্তীকালে লাল পাথর দিয়ে আবার তা নির্মাণ করেন। মিহরাবে তাহাজ্জুদের আয়াত সোনার অক্ষরে খোদিত আছে।

৩. মিহরাবে ফাতেমা

মিহরাবে ফাতেমা নবীজির (সা.)-এর ‘হুজরা’র (কক্ষ) ভেতরে অবস্থিত। এটি মামলুক যুগে নির্মিত হয় এবং মিহরাবে নববীর সঙ্গে এর বেশ মিল রয়েছে।

৪. মিহরাবে উসমানি

মিহরাবে উসমানি মসজিদের কিবলামুখী দেয়ালে নির্মিত। এটি প্রথম নির্মাণ করেন উমাইয়া খলিফা আল-ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিক। পরে ৮৮৮ হিজরিতে সুলতান কায়তবাই এটি সংস্কার করে নতুন রূপ দেন।

৫. মিহরাবে সুলায়মানি

মিহরাবে সুলায়মানি নবম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে নির্মিত এবং মসজিদে নববীর মিম্বরের পশ্চিমে তৃতীয় স্তম্ভে অবস্থিত। ৯৪৮ হিজরিতে সুলতান সুলায়মান খান এটি পুনর্নির্মাণ করেন এবং এর নামকরণ করেন মিহরাবে সুলায়মানি। তিনি এতে সাদা ও কালো ফুলের নকশাযুক্ত পাথর স্থাপন করেন, যা আজও রয়েছে।

সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফর্মেশন ডটকম

আরও পড়ুনকাবা সম্পর্কে যে ৯টি তথ্য জানা উচিত২১ মে ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন দর য অবস থ ত পরবর ত ণ কর ন মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কোন সালের জন্য পুরস্কার —

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

পুরস্কার মল্যমান কত —

১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ —

আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—

আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।

২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।

৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।

৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।

৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।

৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।

৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।

৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।

# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলো কেন
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
  • নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • তানজানিয়ায় ‘সহিংস’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী সামিয়া
  • শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি
  • সনদ বাস্তবায়নে আবারো কমিশনের সভা আয়োজনের দাবি