নিজের সিনেমা ‘হোমবাউন্ড’ নিয়ে এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেন বলিউড অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর। নিজের স্টাইলে লাল গালিচায় হেটে নজর কেড়েছেন সবার। সেখানে এক সাক্ষাৎকারে ‘হোমবাউন্ড’ সিনেমায় তার চরিত্র সুধাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে টেনে আনেন বিআর আম্বেডকরকে। জাহ্নবীর সেই বক্তব্য জন্ম দিয়েছে বিতর্কের।
জাহ্নবীর বক্তব্য, আম্বেডকর সমাজের জন্য যা কিছু করেছেন, সবটাই তিনি সমর্থন করেন।
মুলত, ‘হোমবাউন্ড’ সিনেমায় সুধা চরিত্রটি আম্বেডকরের সমর্থক। বাস্তবে আম্বেডকরের রাজনৈতিক আদর্শ তিনি নিজেও সমর্থন করেন বলে জানান জাহ্নবী।
অভিনেত্রী বলেন, “আম্বেডকর সমাজের বহু বিষয়ে কথা বলেছেন এবং লড়াই করেছেন। সেগুলো সমর্থন করি আমি। বিভিন্ন কারণে তাকে এই সম্মান দেওয়া হয়। সমাজের জন্য তিনি যা কিছু করেছিলেন, তা আমি সমর্থন করি। এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে আম্বেডকরকে আরও ভালভাবে বুঝেছি।’
জাহ্নবীর এই মন্তব্য শুনে নেটিজেনদের দাবি, আম্বেডকরকে ভালভাবে চেনেনই না জাহ্নবী। একজন বলেছেন, ‘কত কিছুই বললেন জাহ্নবী। কিন্তু কিছুই স্পষ্ট করে বলতে পারলেন না। আসলে আপনি কিছুই জানেন না।’ আর একজন প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আচ্ছা জাহ্নবী বলুন তো, আম্বেডকর সমাজের জন্য ঠিক কী কী করেছিলেন?’
‘হোমবাউন্ড’ ছবিতে অভিনয় করার পরে রাজনীতিতেও আগ্রহী হয়েছেন জাহ্নবী। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমাকে এত গভীরে গিয়ে ভাবতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য নির্মাতার কাছে আমি ঋণী। চলচ্চিত্র, ইতিহাস ও রাজনীতি নিয়ে আমি সব সময়েই কৌতূহলী। এ ছাড়া, তিনি যেভাবে মানুষকে সম্মান করেন এবং সবার সঙ্গে তার আচরণ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।’ সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ হ নব ক প র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
চবি ছাত্রদলের ৪২০ জনের কমিটিতে নারী মাত্র ১১
আংশিক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৪২০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নারী সদস্য রয়েছেন মাত্র ১১ জন। যা শতকরা হিসেবে তাদের অংশগ্রহণের হার মাত্র ২.৬২ শতাংশ।
এর মধ্যে, সহ-সভাপতি পদে একজন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে একজন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একজন, মানবাধিকার সম্পাদক পদে একজন, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে একজন, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক পদে একজন এবং সহ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক পদে দুইজন।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর-তালাক, অন্যজনের সঙ্গে বিয়ে
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ৬০ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ৯২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ৬৩ জন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ৬৪ জন এবং সদস্য রয়েছেন ৬২ জন।
এর আগে, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে মো. আলাউদ্দিন মহসিনকে সভাপতি ও আবদুল্লাহ আল নোমানকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি পায় চবি ছাত্রদল। এরপর নানা জটিলতা ও সাংগঠনিক স্থবিরতায় ২ বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি সংগঠনটি। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে ৪২০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, একটি কমিটির মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ২ বছর। সেখানে চবি ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস পর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেছে কেন্দ্রীয় সংসদ।
এদিকে, গত ১২ অক্টোবর চাকসু নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চবি ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে মোহাম্মদ মামুন উর রশিদ মামুনকে সংগঠনের সদস্য পদসহ স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় সংসদ। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদটি শূন্য রয়েছে।
পূর্বের আংশিক কমিটিতে সভাপতি ছিলেন মো. আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও তারা একই পদে বহাল আছেন।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী