কাগজে-কলমে অনেকেই এবার লাহোর কালান্দার্সকে ফেভারিট হিসেবে ধরেননি। তার ওপর ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পর স্যাম বিলিংস, ড্যারিল মিচেল, ডেভিড উইসা না ফেরা এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে সিকান্দার রাজা চলে যাওয়ায় লাহোরের শক্তি অনেক কমে গিয়েছিল।

কিন্তু সব হিসাব উল্টে দিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে তারা। আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে নামবেন রিশাদ-সাকিবরা। গত চার বছরে এটা লাহোরের তৃতীয় ফাইনাল। আগের দুই ফাইনালে শিরোপা জিতেছিল লাহোর। ম্যাচটি বাংলাদেশ থেকে নাগরিক টিভিতে সরাসরি দেখা যাবে।

লাহোরের এই ফাইনালে আসার পেছনে অন্যতম অবদান রিশাদ হোসেনের। বাংলাদেশি এ লেগস্পিনার গত শুক্রবার ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। আউট করেছেন ইসলামাবাদের মিডল অর্ডারের তিন ভরসা সালমান আগা, শাদাব খান ও জিমি নিশামকে। এ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের দেওয়া আইফোন পেয়েছেন রিশাদ।

এলিমেনেটরে কিন্তু তরুণ এ লেগস্পিনার দলে ছিলেন না। কোয়ালিফায়ারে তাঁকে ফেরানো হয়। পাকিস্তানের পেসার জামান খানের জায়গায় বাংলাদেশি এ লেগিকে খেলানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল তারা। পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে রিশাদকে ফেরানোর গল্পটা বলেছেন লাহোর কালান্দার্স পরিচালক সামিন রানা, ‘সত্যিই রিশাদ তুমি আমাদের গর্বিত করেছ। তুমি চাপে ছিলে, তখন তুমি ওদের মূল ব্যাটসম্যানদের আউট করেছ, যারা স্পিনের বিপক্ষে ভালো খেলে বলেই ধরা হয়।’ পিএসএলে রিশাদ এ পর্যন্ত ছয়টি ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ১২ উইকেট। তবে ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির পর তাঁর দলে যোগ দেওয়াটা একটু কঠিনই ছিল।

ওই সংঘর্ষের মাঝে বিশেষ বিমানে ফেরার সময় রিশাদের কিছু কথায় ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ নাখোশ হয়েছিল। তবে আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ শেষে ঠিকই তিনি চলে যান লাহোর। ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষও বরণ করে নেয় তাঁকে। লাহোরের আরেক বাংলাদেশি সাকিব অবশ্য খুব একটা ভালো করছেন না। ব্যাট হাতে শুক্রবার রাতেও শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। ১৮ মে পেশোয়ারের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। বল হাতে অবশ্য সময়টা মোটামুটি কাটছে তাঁর। করাচির বিপক্ষে ১ ওভারে ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট পেলেও আর বোলিং পাননি। বাকি দুই ম্যাচে পাননি উইকেট। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প এসএল স ক ব আল হ স ন ফ ইন ল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌরসভার সাবাসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পঞ্চাশ গ্রামের মানিক মিয়া (৫৫) ও বানিয়াচং উপজেলার কাটখাল গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকের সাটারিং খোলার জন্য নিচে নামেন দুই শ্রমিক। এ সময় বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তারা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ভবন নির্মাণের ঠিকাদার।

আরো পড়ুন:

নালা থেকে উদ্ধার করা সেই শিশুকে বাঁচানো যায়নি 

মিরসরাইয়ের মেলখুম ট্রেইলে ২ তরুণের মৃত্যু 

শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীলিপ কান্ত নাথ বলেন, ‘‘সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ