ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাট টেস্ট, আর তারই সবচেয়ে মর্যাদার লড়াই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। তৃতীয় আসরের এই ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ১১ জুন ঐতিহাসিক লর্ডসে বসবে সেই মহারণ। তবে আলো শুধু মাঠের ২২ গজেই নয়, চুপিসারে দায়িত্বে থাকা ম্যাচ অফিসিয়ালরাও থাকবেন নজরে তাদের নির্ভুলতা আর সিদ্ধান্তেই নির্ধারিত হবে শত কোটি ভক্তের আবেগ।

এই হাই-ভোল্টেজ ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনার জন্য নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্বের অভিজ্ঞতম ম্যাচ অফিসিয়ালরা। অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকছেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গাফানি ও ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওর্থ। এই নিয়ে টানা তিনবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দায়িত্ব নিয়ে রেকর্ড গড়ছেন ইলিংওর্থ। ২০২১ ও ২০২৩ আসরের পর এবারও তিনি থাকছেন মাঝখানে।

ইলিংওর্থ শুধু ধারাবাহিক নন, পুরস্কৃতও। ২০২৪ সালে চতুর্থবারের মতো আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার (ডেভিড শেফার্ড ট্রফি) জিতেছেন এই ইংলিশ। তার সঙ্গী গাফানি অবশ্য প্রথমবার নন, ২০২৩ সালের ফাইনাল (ভারত-অস্ট্রেলিয়ার) ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টকে বিদায় বলবেন ম্যাথিউজ

খালেদের তোপের পরও সুবিধাজনক অবস্থানে নিউ জিল্যান্ড

টিভি আম্পায়ারের ভূমিকায় থাকছেন রিচার্ড কেটলবরো, যিনি এর আগেও বহু আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে অভিজ্ঞতার ছাপ রেখেছেন। চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন ভারতের নিতিন মেনন, যার জন্য এটি প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল হলেও, তার অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাপক।

সবকিছুর উর্ধ্বে যিনি থাকবেন, সেই ম্যাচ রেফারি হচ্ছেন ভারতেরই সাবেক গতি তারকা জাভাগাল শ্রীনাথ। ফাইনালের জন্য যোগ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে বরাবরের মতোই আস্থা রাখা হয়েছে তার ওপর।

বিশ্বকাপের মতো মহারণে যেমন খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স থাকে বড় প্রশ্নে, তেমনি ম্যাচ অফিসিয়ালদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি পর্যবেক্ষণ হয়ে ওঠে নির্ধারক। এই অফিসিয়ালরাই নিশ্চিত করবেন ফাইনালটি কেবল রোমাঞ্চ নয়, হোক নিখুঁত ও নিরপেক্ষ ক্রিকেটীয় লড়াই।

এবারই প্রথমবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অন্যদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া মর্যাদা ধরে রাখতে প্রস্তুত। উত্তেজনার এই লড়াইয়ে মাঠে যাঁরা আলো ছড়াবেন, তাঁদের ছায়ায় থেকে নিয়ন্ত্রণ করবেন এই অভিজ্ঞ, নির্ভরযোগ্য অফিসিয়ালরা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট স ট চ য ম প য়নশ প র ফ ইন ল আম প য় র

এছাড়াও পড়ুন:

পতেঙ্গা সৈকতে গুলিবিদ্ধ ‘ঢাকাইয়া’ আকবর নিহত 

গুলিবিদ্ধ হওয়ার একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর। রোববার সকাল আটটায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক। 

এর আগে শুক্রবার রাতে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রকাশ্যে গুলি করা হয় তাকে। এতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। একই ঘটনায় এক শিশুসহ আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। 

পুলিশের ধারণা, প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হয়েছেন তিনি। আলী আকবর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী পূর্ব মসজিদ জব্বার সওদাগর বাড়ির মোহাম্মদ মঞ্জুরের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, কারাগারে বন্দি ‘সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ’ ও বিদেশে পলাতক ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ আলী খানের সঙ্গে ঢাকাইয়া আকবরের বিরোধ রয়েছে। তাদের নিয়ে কটূক্তি করে বিভিন্ন সময় ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে পোস্ট করতেন তিনি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকাইয়া আকবর বিদেশে পালিয়ে থাকা ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ আলী খানের অনুসারী ছিলেন। তার নামে নগরের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করতেন তিনি। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গুলি কিংবা পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারতেন। কয়েক বছর আগে সাজ্জাদের সঙ্গে তার দূরুত্ব তৈরি হয়। 

২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সাজ্জাদের ভাই ওসমান আলীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়া তার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। 

সম্প্রতি সাজ্জাদ আলীর অনুসারী বর্তমানে কারাগারে বন্দী ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে বিরোধে জড়ান ঢাকাইয়া আকবর। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লক্ষীপুর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর জামিনে বের হন তিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথমবারের মতো অ্যান্টিম্যাটার পরিবহনের পাত্র তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা
  • পতেঙ্গা সৈকতে গুলিবিদ্ধ ‘ঢাকাইয়া’ আকবর নিহত 
  • আসিয়ানকে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলার আহ্বান মালয়েশিয়ার
  • নিষিদ্ধের শেকল ভেঙে কানে জাফর পানাহির স্বর্ণপাম জয়
  •  নিষিদ্ধের শেকল ভেঙে কানে স্বর্ণপাম জিতলেন জাফর পানাহি
  • মহাকালে রোমাঞ্চকর লড়াই
  • ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্মরণীয় ২৫ মুহূর্ত
  • ১০ ব্যান্ড নিয়ে প্রথমবার নজরুল কনসার্ট-অ্যালবাম
  • ‘টানা দশ মিনিট করতালির দৃশ্য কোনোদিন ভুলব না’