বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেছেন, ‘শিল্পবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিল্পকারখানা গলা টিপে মেরে ফেলা হচ্ছে। গ্যাস–সংকটে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। চলতি মূলধন সংকুচিত হয়েছে। আগামী ঈদে কারখানাগুলো বেতন–ভাতা দিতে পারবে কি না, সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’

ঢাকার গুলশান ক্লাবে আজ রোববার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। দেশের ব্যবসায়ী–শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতদকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি (বিসিআই), ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি), প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ) যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘১৯৭১ সালে খুঁজে খুঁজে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। ২০২৫ সালে শুধু শিল্প নয়, শিল্পোদ্যোক্তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে।’ এটাকে আমরা ষড়যন্ত্র মনে করি। শিল্প বাঁচাতে না পারলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে বলেও মন্তব্য করেন।

বিসিআইয়ের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ব্যাংকঋণের সুদের হার বেড়ে গেছে। গ্যাস–সংকটের কারণে ৬০ শতাংশের বেশি উৎপাদন হচ্ছে না কারখানায়। তিন মাস সুদ না দিলেই ঋণখেলাপি করছে ব্যাংক। আবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতন পরিশোধের ধমক দিচ্ছে সরকার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ট এমএ

এছাড়াও পড়ুন:

চমেক হাসপাতালে এসির বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) মেরামতের কাজ করার সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. শওকত। আজ সোমবার বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শওকত চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয় বিকেলে। একই বিস্ফোরণে দগ্ধ মো. তানভীর ও মো. মেশকাত নামে দুজন হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের বয়স ২৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

পুলিশ জানায়, হাসপাতালের ছাদে সাততলায় কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকক্ষে কাজ করছিলেন গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদারের তিনজন এসি টেকনিশিয়ান। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে এসির বিস্ফোরণ হলে তাঁরা দগ্ধ হন। সাততলায় যেখানে এসি কম্প্রেশর বিস্ফোরণ হয়েছে, তার ঠিক নিচে হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ড। ওয়ার্ডের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো রোগী আহত হননি।

এর আগে দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদারের লোকজন এসির কাজ করার সময় বিস্ফোরণ হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চমেক হাসপাতালে এসির বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু