শিল্পবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিল্পকারখানা গলা টিপে মেরে ফেলা হচ্ছে: বিটিএমএ সভাপতি
Published: 25th, May 2025 GMT
বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেছেন, ‘শিল্পবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিল্পকারখানা গলা টিপে মেরে ফেলা হচ্ছে। গ্যাস–সংকটে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। চলতি মূলধন সংকুচিত হয়েছে। আগামী ঈদে কারখানাগুলো বেতন–ভাতা দিতে পারবে কি না, সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’
ঢাকার গুলশান ক্লাবে আজ রোববার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। দেশের ব্যবসায়ী–শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতদকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি (বিসিআই), ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি), প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ) যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘১৯৭১ সালে খুঁজে খুঁজে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। ২০২৫ সালে শুধু শিল্প নয়, শিল্পোদ্যোক্তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে।’ এটাকে আমরা ষড়যন্ত্র মনে করি। শিল্প বাঁচাতে না পারলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে বলেও মন্তব্য করেন।
বিসিআইয়ের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ব্যাংকঋণের সুদের হার বেড়ে গেছে। গ্যাস–সংকটের কারণে ৬০ শতাংশের বেশি উৎপাদন হচ্ছে না কারখানায়। তিন মাস সুদ না দিলেই ঋণখেলাপি করছে ব্যাংক। আবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতন পরিশোধের ধমক দিচ্ছে সরকার।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ট এমএ
এছাড়াও পড়ুন:
হুসাইন শওকতের দায়িত্বভার কিছুটা কমলো
একাই ছয় দপ্তর সামলানো খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হুসাইন শওকতের দায়িত্বভার কিছুটা কমানো হয়েছে। খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার এবং ওয়াসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপ-সচিব আবু সায়েদ মো. মনজুর আলমকে। বুধবার তিনি কাজ শুরু করেন।
হুসাইন শওকত ১০ মাস ধরে মূল দপ্তরের পাশাপাশি খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক, জেলা পরিষদের প্রশাসক, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের প্রশাসক এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। একসঙ্গে ছয় দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তিনি কোথাও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছিলেন না। এক দপ্তরের ফাইল নিয়ে কর্মকর্তাদের ছুটতে হচ্ছিল অন্য দপ্তরে। এতে দপ্তরগুলোর কাজে ধীরগতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
এ নিয়ে গত ৪ জুলাই দৈনিক সমকালে ‘ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার।
তিনি সমকালকে বলেন, ‘ছয় দপ্তরের দায়িত্ব একজনের পক্ষে পালন করা কষ্টকর। হুসাইন শওকতের দায়িত্ব কিছু কমানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে স্থায়ী কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। নতুন কাউকে পদায়ন করার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) দুটি পদে দায়িত্ব পালন করবেন।’
বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলমকে স্থানীয় সরকার পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পদাধিকার বলে তিনি খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বও পালন করবেন।