টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে সাইবার অপরাধীরা
Published: 25th, May 2025 GMT
টিকটক ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করতে জনপ্রিয় ভিডিওর মাধ্যমে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে একদল সাইবার অপরাধী। ‘ক্লিকফিক্স’ নামে পরিচিত এক কৌশল ব্যবহার করে ‘ভিডার’ ও ‘স্টিলসি’ নামের ইনফোস্টিলার ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে তারা। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ড মাইক্রো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ট্রেন্ড মাইক্রোর তথ্যমতে, ক্যাপকাট ও স্পটিফাইয়ের প্রিমিয়াম সুবিধা বিনা মূল্যে ব্যবহারের পদ্ধতি নিয়ে বেশ কিছু ভিডিও রয়েছে টিকটকে। এসব জনপ্রিয় ভিডিওতে পাওয়ারশেল কমান্ড যুক্ত করে দেয় সাইবার অপরাধীরা, এর ফলে কোডগুলো লিখলেই ব্যবহারকারীর অজান্তে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে ইনফোস্টিলার ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। এসব প্রশিক্ষণ ভিডিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হলেও লাখ লাখবার ডাউনলোড করা হয়েছে।
আরও পড়ুনটিকটক আসক্তির রহস্য জানা গেল টিকটকেরই তথ্যে১৮ অক্টোবর ২০২৪‘ভিডার’ ম্যালওয়্যার ব্যবহারকারীর ডেস্কটপের স্ক্রিনশট, লগইন তথ্য, ক্রেডিট কার্ড, কুকি, টেক্সট ফাইল, ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট ও টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন অ্যাপ ‘অথি’তে সংরক্ষিত তথ্য চুরি করলেও ‘স্টিলসি’ ম্যালওয়্যার বিভিন্ন ওয়েব ব্রাউজার ও ডিজিটাল ওয়ালেটের তথ্য চুরি করে গোপনে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠাতে থাকে।
আরও পড়ুনটিকটকেই তৈরি করা যাবে অ্যানিমেটেড ভিডিও১৬ মে ২০২৫প্রসঙ্গত, ‘ক্লিকফিক্স’ হলো একটি প্রতারণামূলক কৌশল, যেখানে ত্রুটি শনাক্ত বা ক্যাপচা যাচাইয়ের বার্তা পাঠিয়ে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করানো হয়। সাধারণত উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে এ কৌশল বেশি ব্যবহার করা হলেও সম্প্রতি ম্যাক ও লিনাক্স প্ল্যাটফর্মেও এ ধরনের হামলা শনাক্ত করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা গবেষকদের মতে, রাশিয়ার এপিটি-২৮ ও কোল্ড রিভার, উত্তর কোরিয়ার কিমসুকি এবং ইরানের মাডিডি ওয়াটারসহ একাধিক সাইবার অপরাধী দল গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে এ কৌশল ব্যবহার করে থাকে।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম য লওয় য র ব যবহ র কর ট কটক
এছাড়াও পড়ুন:
নিখোঁজের ২ মাস পরে জঙ্গলে মিলল কিশোরের কঙ্কাল
নিখোঁজ দুই মাসে পরে জঙ্গল থেকে মিলন হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরের কংঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের আমিন মডেল টাউন হাউজিংয়ের ভেতরের জঙ্গল থেকে ওই কিশোরের কঙ্কাল উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
নিহত মিলন হোসেন নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার পারুলিয়া নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে সাভারের আশুলিয়ার পাড়াগাঁও এলাকায় ইউনুস আলীর মালিকানাধীন বাড়িতে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের মডেল টাউনের পাশে নিহত মিলন হোসেনের শরীরের গেঞ্জি ও প্যান্ট পড়ে থাকতে দেখেন নিহতের মা জোসনা বেগম। একটু সমানে গিয়ে তিনি একটি কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল ওহাব বলেন, “মিলনের মা কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের জানায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কঙ্কাল উদ্ধার করে। মূলত নিখোঁজ মিলনের গেঞ্জি প্যান্ট দেখে তার মা জোসনা বেগম তার ছেলের মরদেহ বলে দাবি করেন। আমরা কঙ্কাল উদ্ধার করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠিয়েছি।”
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা জোসনা বেগম আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজের ঘটনায় মামলা করেছিলেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, “মিলন নিখোঁজের ঘটনায় তার মা আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিরেন। মিলন হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশুলিয়া থেকে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনেরগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সাভারের আশুলিয়ার পাড়াগাঁও এলাকার শামীমের রিকশার গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয় মিলন হোসেন। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। পরের দিন মিলনের মা জোসনা বেগম আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। এরপরে গত ১৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) জিডিটি মামলা হিসেবে আশুলিয়া থানায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ঢাকা/সাব্বির/এস