কোরবানির হাট কাঁপাতে আসছে ৩৫ মণের ‘ফণী টু’, দাম ১৫ লাখ টাকা
Published: 25th, May 2025 GMT
এবারের কোরবানির ঈদে বরিশালের বানারীপাড়ায় ‘হইচই’ ফেলেছে ‘ফণী টু’ নামের ৩৫ মণ ওজনের এক ষাঁড়। তিন বছর ধরে ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম ও তার ছেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শাকিল সুমন। ২০১৯ সালের সুপার সাইক্লোন ফণীর নামানুসারে গরুটির নাম ‘ফণী টু’ রেখেছেন আব্দুস সালাম। এবারের ঈদে ষাঁড়টির বিক্রির জন্য দাম হাকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা।
গরুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট ও উচ্চতা ৬ ফুটের মতো। গরুটি ঘাস বাদ দিয়েই গড়ে প্রতিদিন ৭০ কেজি খাবার খায় বলে জানিয়েছেন আব্দুস সালাম।
আব্দুস সালাম বলেন, গরুটি আমাদের হাতালের (খামার) একটি গাভীর বাচ্চা। এটি তিন বছর ধরে আমাদের এ হাতালে লালন-পালন করছি। বিশালাকৃতির এ গরুটি এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির চিন্তাভাবনা করছি। আল্লাহ্ রহমত করলে এটি বিক্রি করব।
তিনি বলেন, আমরা গ্রামাঞ্চলের লোক, এখানে এত বড় গরুর গ্রাহক তেমন আসে না। তবে বনিবনা হলে খামারিদের থেকে অনেক কম মূল্যে গরুটি দিয়ে দেব।
তিন বছর ধরে গরুটি শুধু প্রাকৃতিক খাবারেই বড় হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন এই গরুকে ফিড খাইয়ে বা ফরমালিনযুক্ত খাবার খাইয়ে বড় করেছি। তাহলে তাকে এমনিতেই (ফ্রি) এটি দিয়ে দেব। আমি এ গরুকে গমের ভুসি, ভূট্টার গুড়ি, ডাবলির ভুসি,সয়াবিনের ভুসি, ছোলা বুট আর ভুট্টা ভাঙা খাইয়েছি।
এছাড়াও গরুটিকে খুদ, খৈল, কলা ও ঘাস খাওয়ানো হয় বলে জানিয়েছেন আব্দু সালামের ছেলে মো.
তিনি আরও বলেন, এ গরুটিকে খুব যত্ন করে লালন-পালন করা হয়েছে। সবসময় এটা ফ্যানের নিচে থাকে। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি দেওয়া হয় এবং প্রতিদিন দুই বেলা গোসল করানো হয়।
‘ফণী-টু’ কিনতে কেউ এসেছেন কি না প্রশ্নে শাকিল সুমন বলেন, বড় গরুর ক্রেতা বরিশালে একটু কম, তারপরও ক্রেতা আসছে কিন্তু এখনও বনিবনা হয়নি। বনিবনা হয়নি বিধায় গত বছর ফণী-১ নামের এরকম একটি বড় গরু চিটাগাং নিয়ে আমাদের বিক্রি করতে হয়েছে। এবার প্রায় ৩৫ মণ ওজনের এই গরুটির দর চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত না এলেও ঢাকাতেই বসবে এসিসির সভা
চলতি মাসের ২৪ তারিখ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নির্বাহী কমিটির সভা। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর এখানেই চূড়ান্ত হবে এশিয়া কাপের সূচি।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু শনিবার বিকেলে জানান, ‘আমরা ঢাকায় এসিসির নির্বাহী সভা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিচ্ছি। সভাটি হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। আশা করছি, সভায় (সদস্য দেশের) সবাই উপস্থিত থাকবেন।’
তবে ভারতের প্রতিনিধি এই সভায় অংশ নেবেন কি না, সেটি এখনও অনিশ্চিত। এ বিষয়ে মিঠু বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) প্রতিনিধি আসবেন কি না, তা এখনই নিশ্চিত নয়। এটি তাদের বোর্ড ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা তাদের উপস্থিতির বিষয়ে আশাবাদী। যদিও না আসেন, ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়ার সুযোগ তাদের জন্য থাকছে।’
এই সভার সময় ঢাকাতেই চলবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ। ১৬ জুলাই সকালে ও রাতে দুটি ভিন্ন ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছাবে পাকিস্তান দল। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা সফর শেষে ১৭ জুলাই দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল। জানা গেছে, এই সিরিজ দেখতে এবং এসিসির সভায় অংশ নিতে ঢাকায় আসবেন এসিসি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।
২০২৬ সালের এশিয়া কাপ আয়োজনের স্বত্ব ভারতের হাতে থাকলেও এখনো ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি। এবারের এসিসি সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সম্ভাবনা রয়েছে, এ সভাতেই প্রকাশিত হবে এশিয়া কাপের চূড়ান্ত সূচি। তবে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে টুর্নামেন্টে ভারতের অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধি শেষ পর্যন্ত ঢাকায় আসবেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।