আগামী বছর থেকে কোরবানির পশুর হাটে হাসিল দামের ৩ শতাংশ করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এ বছর কোরবানির পশুর হাট থেকে ৫ শতাংশ হাসিল আদায় হবে। আগামী বছর থেকে ৩ শতাংশের বেশি হাসিল নেওয়া হবে না। এ ছাড়া এ বছর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ২০টি কোরবানির হাট বসবে বলে জানান তিনি।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট ও কাঁচা চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সভা শেষে রোববার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ বছর কোরবানির ঈদে মানুষ যাতে চামড়ার ন্যায্যমূল্য পান, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রতিবছরই চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়, এ কারণে চামড়া নষ্ট হয়। এটা গরিবের হক। এ বছর মানুষ চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাবেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে কোরবানির হাটে হাসিল কমানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ৫ শতাংশ হাসিল অনেক বেশি। তবে এবার হাসিল কমানো সম্ভব নয়। আগামী বছর থেকে ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরী ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ এজাজ সাংবাদিকদের জানান, দুই সিটি করপোরেশনে মোট ২০টি কোরবানির হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ১০টি ও ঢাকা দক্ষিণে ১০টি। এসব হাট বসবে মহাসড়ক থেকে দূরে। যাতে যানজট তৈরি না হয়। এ বছর কোনো অবৈধ হাট বসতে দেওয়া হবে না। দুই সিটিতে কোনো অননুমোদিত জায়গায় কোরবানির হাট বসবে না। অনুমোদিত হাটে সিসি ক্যামেরা থাকবে। আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

চামড়ার ন্যায্যমূল্য কীভাবে নিশ্চিত হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, অতীতে প্রতিটি চামড়ার দাম ২ হাজার টাকা উঠেছিল। গত কয়েক বছর চামড়ার দাম অনেক কমে গেছে। এবার যদি গরুর মালিক চামড়ার দাম ১২০০ টাকা পান, সেটা ন্যায্য হবে।

এ বছর চামড়া যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য বিনা পয়সায় জেলা ও থানায় পর্যাপ্ত লবণ বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি। তা ছাড়া চামড়া রপ্তানির জন্য এ বছর আগাম অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে চামড়া রপ্তানিতে গড়িমসি করা হতো।

গাবতলীর কোরবানির হাটের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, গাবতলী হাটের ইজারা দেওয়া হয়েছে। অন্য কোরবানির হাটও ইজারা দেওয়া হয়েছে।

আসন্ন কোরবানির ঈদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো কথা থাকলে তাঁরা আলোচনা করতে পারেন বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরি আইনটি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারসাজি করতে সংশোধন করেছিল।’

এখন কেন অধ্যাদেশটি করা জরুরি ছিল—এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারব না। তবে যে সময় যেটার দরকার পড়ে, সে সময় সেটা করা হয়।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ হ ঙ গ র আলম চ ধ র ক রব ন র হ ট বছর থ ক হ ট বসব এ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের