গীতি, সংগীত ও উপস্থিত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে (রবি) কবিগুরু দুই দিনব্যাপী রবীন্দ্র জন্মোৎসব-১৪৩২ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
যৌন হয়রানির অভিযোগে নোবিপ্রবি আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
নিষিদ্ধ সংগঠনে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাকৃবি প্রেসক্লাবের অনুমোদন স্থগিত
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. ফিরোজ আহমেদ, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এক বার্তায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হাসান তালুকদার বলেন, “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চোখে বাংলা যেন সৃষ্টির এক অপূর্ব রূপকল্প। তার অমর সৃষ্টিকর্মের উৎস ও প্রেরণাস্থল এই পূর্ববঙ্গ। এদেশের প্রকৃতি, মাটি ও মানুষ তাঁর মননে যে নান্দনিক ভাব ও ভাষাশিল্প সৃষ্টি করেছিলো, সেটাই আজ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির গৌরবময় অর্জন। এদেশের নিসর্গে, মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে, সমাজ- রাজনীতি ভাবনায়, মানবতাবোধে, দ্রোহে ও সাহিত্যাদর্শে রবীন্দ্রনাথ মিশে আছেন অকৃত্রিম এক আত্মিক বন্ধনে।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মকে চির অম্লান করে রাখতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা। তার দর্শন, চিন্তা ও আদর্শ বাংলাদেশের অধিবাসীদের জাতীয় ঐক্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
পরে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ চত্ত্বরে রবীন্দ্র জন্মোৎসব-১৪৩২ উপলক্ষে আয়োজিত তারুণ্য মেলার উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। পরে তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
মেলার উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন তারুণ্যমেলা উপকমিটির আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান জান্নাতুল মাওয়া মুন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও রবীন্দ্র জন্মোৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব মো. মাইনুল ইসলাম।
বিকেল ৪টায় ‘রবীন্দ্রনাথের পরিবেশ চিন্তা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। উপ-উপাচার্যের সভাপতিত্বে এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাবেদ ইকবাল।
সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন তারুণ্য মেলা, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার, সুধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।
ঢাকা/হাবিবুর/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত ছ ল ন নজর ল ইসল ম অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
ঈশ্বরদীতে বর্ষা উৎসবে দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকরা
পাবনার ঈশ্বরদীতে নান্দনিক আয়োজনে দিনব্যাপী বর্ষা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকদের বর্ষাভ্রমণ, কবিতা পাঠ, সাহিত্য আড্ডা, কথামালা, সংগীত ও পুঁথি পাঠের মধ্য দিয়ে উৎসবটি শেষ হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার কবি-সাহিত্যিকরা অংশ নেন।
বর্ষা উৎসব উপলক্ষে পাকশীর পদ্মা নদীতে ভ্রমণ শেষে ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঈশ্বরদী নোঙর’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কথাসাহিত্যিক মানিক পণ্ডিত ও ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান। ঈশ্বরদী নোঙরের সভাপতি অধ্যাপক হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাংবাদিক মাহাবুবুল হক দুদু।
অনুষ্ঠানে কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন আজিজুর রহমান মুন্না, কবির হৃদয়, রেহেনা সুলতানা শিল্পী, ইসলাম রফিক, অধ্যাপক সাজিদুল ইসলাম, আবুল কাশেম অমিয় প্রমুখ। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ঢাকার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. সিরাজুল ইসলাম মামুন।