ভারতীয় উপ-মহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে। ৯১ বছর বয়সি এই শিল্পীকে এখনো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। আকস্মিকভাবে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, মারা গেছেন বরেণ্য এই শিল্পী।   

‘শাবানা শেখ’ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আশা ভোঁসলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। তাতে লেখা হয়— “বিখ্যাত সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে মারা গেছেন। এর মধ্য দিয়ে একটি যুগের সমাপ্তি হলো (১ জুলাই, ২০২৫)।” মূলত, ১ জুলাই এই পোস্ট করা হয়। এরপর এটি ছড়াতে থাকে। ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বরেণ্য এই শিল্পীর ভক্তরা-অনুরাগীরা। 

এ বিষয়ে কথা বলতে আশা ভোঁসলের পুত্র আনন্দ ভোঁসলের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাইমস অব ইন্ডিয়া। তিনি বলেন, “এ খবর সত্য নয়।” 

আরো পড়ুন:

স্ত্রীকে কেন ‘নিষ্ঠুর’ বললেন রাজকুমার?

মাধুরীর জীবনে যত প্রেম!

১৯৪৩ সালে সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন আশা ভোসলে। ৮ দশকের বেশি সময়ব্যাপী তার কর্মজীবন। শুধু হিন্দি নয়, অন্যান্য ২০টি ভারতীয় ভাষার পাশাপাশি বেশ কিছু বিদেশি ভাষাতেও গান রেকর্ড করেছেন।   

সংগীত জীবনে মোট ৯২৫টিরও বেশি সিনেমায় গান গেয়েছেন। মনে করা হয়, তিনি ১২০০০ এরও অধিক গান গেয়েছেন। ভারত সরকার তাকে ২০০৮ সালে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করে। ২০১১ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে সর্বাধিক সংখ্যক গান রেকর্ডকারী হিসেবে ঘোষণা করেন।  

বড় বোন লতা মঙ্গেশকরের সেক্রেটারি গণপতরাও ভোঁসলেকে প্রথম বিয়ে করেন আশা ভোঁসলে। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর আর গণপতের বয়স ছিল ৩১ বছর। ১৯৬০ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। ১৯৮০ সালে গায়ক আরডি বর্মনকে বিয়ে করেন আশা। ১৯৯৪ সালে মারা যান আশা ভোঁসলের দ্বিতীয় স্বামী আরডি বর্মন।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশ এখনো চাঁদাবাজদের ভয় করে চলছে : নাহিদ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ আজ শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় বাগেরহাটে পৌঁছেছে। সেখানে সদর উপজেলায় রেলরোডে জনসমাবেশে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসন এখনো চাঁদাবাজদের ভয় করে চলছে।’’ 

শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে করা গণ-অভ‍্যুত্থানের ইতিহাস টেনে নাহিদ বলেন, ‘‘আমরা কথা বলি পুরনো বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে, বলি পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিপক্ষে। যারা পুরনো বন্দোবস্ত, চাঁদাবাজির সংস্কৃতি, মাফিয়ার রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখছে, আপনাদের তার বিপক্ষে দাঁড়াতে হতে হবে।’’ 

নিজেদের রাজনৈতিক দল তৈরির প্রেক্ষাপটের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজদের বিপক্ষে আন্দোলন করেছিলাম। তবে বিগত এক বছরে সেই পরিবর্তন আসেনি। চাঁদাবাজরা এখনো রয়ে গেছে। তাদের প্রতিহত করতে আমরা আবারো রাজপথে নেমেছি।’’ 

আরো পড়ুন:

মাহবুবুর হত্যা: ৭ কারণ সামনে রেখে তদন্তে পুলিশ

বিল্লালের দোষ স্বীকার, আশঙ্কামুক্ত চাঁদপুরের সেই খতিব

সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসন মনে হচ্ছে, চাঁদাবাজদের ভয় পেয়ে তারা কাজ করে। দখলদারদের বিরুদ্ধে তাদের কোনো অ‍্যাকশন আমরা দেখি না। পুলিশ প্রশাসনকে জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। যদি তারা দলবাজ প্রশাসনের মতো আচরণ করেন, তাহলে তাদের পরিণতিও ফ‍্যাসিস্ট আমলের দলবাজ পুলিশ প্রশাসনের মতো হবে।’’ 

বক্তব্যে বাগেরহাটের রাস্তার নাজেহাল অবস্থা ও স্থানীয় শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার গাফিলতির বিষয়েও কথা বলেন নাহিদ। এছাড়া আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় শহীদ মিনারে চাঁদাবাজ মাফিয়ার বিরুদ্ধে মানুষের মুক্তির ইশতেহারের সমাবেশে বাগেরহাটবাসীকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া সভায় আরো অংশ নেন দলের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সচিব তাসনিম জারাসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

এর আগে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী মোড় ও রামপাল উপজেলার ফয়লায় জনসভায় অংশ নেন এনসিপি নেতারা। এ সময় স্থানীয় জনগণের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। 

ঢাকা/শহিদুল/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ