পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা লগি-বৈঠার হত্যাকাণ্ডকে স্মরণ করিয়ে দেয়: জনতা পার্টি
Published: 12th, July 2025 GMT
পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ। দলটি বলেছে, এ ঘটনা ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা দিয়ে আওয়ামী হত্যাকাণ্ডকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
আজ শনিবার জনতা পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মিলন এবং মহাসচিব শওকত মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গত বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামের এক ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ীকে হত্যা করে একদল ব্যক্তি। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে চারজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।
জনতা পার্টি বলেছে, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক যে দ্বন্দ্বেই হোক না কেন, বিএনপির অঙ্গসংগঠনসমূহের একশ্রেণির দুর্বৃত্ত নেতা ব্যবসায়ী সোহাগকে মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে পৈশাচিক কায়দায় বিবস্ত্র করে পাথর মেরে মেরে হত্যা করেছেন। খুনিরা এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সময় পাশবিক উল্লাসে মেতে ওঠেন। এ ঘটনায় গোটা দেশবাসী স্তব্ধ ও মূক হয়ে গেছেন। এ ঘটনা ২০০৬ সালে লগি–বৈঠা দিয়ে আওয়ামী হত্যাকাণ্ডকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের ক্ষমতাচ্যুতি সত্ত্বেও একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মনমানসিকতায় ফ্যাসিবাদ এখনো গেড়ে বসে আছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, সম্প্রতি খুলনায় যুবদল নেতা হত্যাকাণ্ড এবং চাঁদপুরে ইমামের ওপর আক্রমণ তারই প্রমাণ।
জনতা পার্টি বলেছে, সংস্কার, বিচার, নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মধ্যে এ ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রমাণ করে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধ করাই এখন সময়ের দাবি। অথচ এ বিষয়ে সরকার ক্রমাগতই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হত য ক ণ ড ব যবস য় প রক শ এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট