রূপগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মসজিদের নামে সাইনবোর্ড স্থাপন, উত্তেজনা
Published: 12th, July 2025 GMT
রূপগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মসজিদের নামে জোরপূর্বক সাইনবোর্ড স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে কথিত এক যুবদল নেতা ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাড়িয়াছনি বাঘেরআগা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
জমির মালিক ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম জানান, “১৯৯১ সালের মার্চ মাসে দলিল নম্বর ২৪১২ অনুযায়ী স্থানীয় গোয়ালপাড়া এলাকার আলাতুন বেগমের কাছ থেকে আমরা—আয়েব আলী, ইয়াদ আলী ও আমি ৪১ শতক জমি ক্রয় করি।
এরপর থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু একই বছরের নভেম্বর মাসে ওই জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয় দুটি মসজিদের নামে ওয়াকফ দাবি করে জমির মালিকানা দাবি করে একটি পক্ষ।”
এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে এবং আদালত ওই জমির ওপর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাঘের আগা জামে মসজিদের সভাপতি ও কথিত যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম মাইকিং করে লোক জড়ো করেন এবং জমিতে জোরপূর্বক মসজিদের সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ওই সময় দখলে থাকা দোকানপাটের সামনেও সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং বাধা দিলে কয়েকজনকে মারধর ও মোবাইল ফোন ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বাঘের আগা জামে মসজিদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ওই জমি আমাদের গ্রামের দুটি মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত। দীর্ঘদিন আমরা দখলে ছিলাম। তাই মসজিদের জায়গা পুনর্দখল করতে গিয়ে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছি।”
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, “আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জমির দলিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে।
কেউ আদালতের আদেশ অমান্য করে থাকলে তা আদালতেই নিষ্পত্তি হবে। পাশাপাশি যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে, সেজন্য এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ মসজ দ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ মসজ দ র ন ম র পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
চার্লি কার্ককে মরণোত্তর পদক দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ডানপন্থী রাজনৈতিককর্মী চার্লি কার্ককে মরণোত্তর প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পদকে ভূষিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার কার্কের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই বেসামরিক সম্মাননা গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী এরিকা কার্ক। এ সময় তাঁর চোখে ছিল অশ্রু।
পদক দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি একজন সাহসী যোদ্ধাকে সম্মান জানাতে এবং স্মরণ করতে। তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এমনভাবে উদ্দীপনা জাগিয়েছেন, যা আমি আগে কখনো দেখিনি।’
কার্ক জীবিত থাকলে মঙ্গলবারই হতো তাঁর ৩২তম জন্মদিন। ট্রাম্পের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন কার্ক। গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে প্রচারে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীল তরুণদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কার্ক।
গত ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। টাইলার রবিনসন নামের ২২ বছর বয়সী এক তরুণকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।