গাজীপুরে বিএনপির কারা নির্যাতিত ১২৭ নেতাকর্মীর মিলনমেলা
Published: 12th, July 2025 GMT
‘রিমান্ডের নামে কারাগার থেকে থানায় নিয়ে দিনের পর দিন নির্যাতন চালিয়েছে পুলিশ। বিএনপির রাজনীতি করি বলে এমন কোনো ধারা নেই যে ধারায় আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। কখনো কারাগারে বন্দি, কখনো আবার আদালত পাড়ায় ঘুরে কেটে গেছে ১৭ বছর। ৪৯টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে আমার নামে। অথচ আমি একটি অপরাধও করিনি।’
কারাগারে কাটানোর নিদারুণ দিনগুলোর কথা এভাবে বলতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম সরকার। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সি-গাল পার্কের মাঠে আয়োজিত কারা নির্যাতিত ১২৭ জন বিএনপির নেতাকর্মীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আগতদের চোখও এ সময় ছলছল করে ওঠে। শুধু আরিফুল ইসলামই নন, কারা নির্যাতিতদের মিলনমেলায় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেক নবীন ও প্রবীণ নেতাই।
কারা নির্যাতিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে শ্রীপুরের সি-গাল পার্কে শনিবার দুপুরে জড়ো হয়েছিলেন উপজেলার ১২৭ জন কারা নির্যাতিত নেতাকর্মী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা.
অশ্রুসজল চোখে তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। বাড়িতে হামলা করেছে। পরিবারকে নির্যাতন করেছে।
সংগঠনের সভাপতি আরিফুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মোতালেব, পৌর বিএনপির আহবায়ক হুমায়ুন কবির সরকার, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খায়রুল কবির মণ্ডল আজাদ, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বেপারী, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আনোয়ার হোসেন বেপারী প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ত কর ম ব এনপ র ল ইসল ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন বিএনপি সম্মেলনে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ৫ জন। গুরুতর আহত দুজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ভুতেরদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শনিবার বিকেলে কেদারপুর ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির বিরোধীপক্ষে থাকা নেতাকর্মীদের এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সম্মেলন চলাকালে তারা পাল্টা প্রতিবাদ মিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্মেলন সভার কাছে দলের আরেকপক্ষ মিছিল করছিল। তখন সম্মেলনকারীরা হামলা করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মিল্টন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইয়াসিন আরাফাতসহ ৫ জন আহত হন।
মিল্টন জানান, সম্মেলনে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তারপরও তারা মাদ্রাসার কাছে জমায়েত হন। একপর্যায়ে একদল বিএনপি কর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, সম্মেলন মূলত পাতানো।
উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের শীর্ষ নেতা সাবেক সভাপতি ইসরাত হোসেন কচি জানান, আহ্বায়ক কমিটি তাদের মতো করে ইউনিয়ন সম্মেলন ও কমিটি গঠন করছে। এতে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। শনিবার বিকেলে কেদারপুরে প্রতিবাদ করায় হামলা করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব অহিদুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ‘আমরা যখন সম্মেলনে গিয়েছি তখন কিছু দেখিনি। তবে থানার ওসি বলেছেন, কোথাও কোনো গণ্ডগোল হয়েছে। হামলায় আহতদের খোঁজ নেব।’
বাবুগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল আলম বলেন, ‘কেদারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে দু’পক্ষের উত্তেজনার খবর শুনেছি। মারামারি হয়েছে কিনা জানি না। কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।’