সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সোনতলা গ্রামের পাশে করতোয়া নদীতে কিছু পিকনিকের নৌকা আসে। নৌকাগুলোতে শতাধিক তরুণ ছিল। নদীর পশ্চিম পাড়ে তরুণীদের দেখে একটি নৌকার তরুণেরা সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের পেটানো শুরু করেন। তখন তারা নৌকা থেকে নদীতে লাফ দিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন। তবে ওই তরুণদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। গত শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, নৌকাগুলোতে শতাধিক তরুণ ছিল। তাদের নৌকায় রান্নার সামগ্রী ও বাদ্যযন্ত্র ছিল। সন্ধ্যার কিছু আগে কয়েকটি মেয়ে নদীর পশ্চিম পাড়ে বেড়াতে আসে। তাদেরকে দেখে একটি নৌকার তরুণরা অশ্লীল গান ও নৃত্য শুরু করে। এ অবস্থায় স্থানীয় কিছু লোক লাঠি নিয়ে তরুণদের পেটানো শুরু করেন। নৃত্যে অংশ নেওয়া তরুণরা নৌকা থেকে নদীতে লাফিয়ে রক্ষা পান।

উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

রাকিবুল হাসান বলেন, ‘ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আমাকে থামাতে পারবে না: ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ

অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আমাকে থামাতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা নিষেধাজ্ঞাকে ‘অশ্লীল ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। আলজাজিরাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এটিকে গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধের সমালোচনার প্রতিশোধ বলে উল্লেখ করেন।

আলবানিজ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা আমাকে থামাতে পারবে না। ইসরায়েল যে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ চালাচ্ছে, তা বলতে আমি অব্যাহত থাকব। তিনি এটিকে ‘মাফিয়াদের ভয়ভীতির কৌশল’ বলে আখ্যায়িত  করেন। 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আলবানিজের বিরুদ্ধে ‘ইসরায়েলবিরোধী রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ চালানোর অভিযোগ এনেছিলেন। জবাবে তিনি বলেন, আমি শুধু আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে কথা বলছি। গাজার ভয়াবহতা শুধু ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফল নয়, বরং এসব থেকে লাভবান কোম্পানিগুলোর জন্যও।

রয়টার্স জানায়, আলবানিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শুক্রবার সংস্থাটির এক মুখপাত্র  এ কথা বলেন।  ইইউর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র আনুয়ার এল আনুউনি বলেছেন, ফ্রান্সেস্কা আলবানিজের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমরা হতাশ। জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার ওপর ইইউর জোরালো সমর্থন রয়েছে বলেও যোগ করেন তিনি।

দ্য আরব নিউজ জানায়, দখলদার ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সঙ্গে গত সপ্তাহে দেখা করেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ১৫ জন কথিত ইমাম। এ ছাড়া দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা ঘুরে দেখেন তারা। ইমামদের এ দলটি এখনও ইসরায়েলে অবস্থান করছে। তারা দাবি করছেন, মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে তারা ইসরায়েলে গেছেন। তবে সুন্নি মুসলিমদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এই ইমামদের কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, ইউরোপের এই কথিত ইমামরা মুসলিমদের প্রতিনিধি নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ